পরিচ্ছেদঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৮২-[২৯] নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর সঙ্গে মক্কায় ছিলাম। আসমান মেঘাচ্ছন্ন ছিল। ইবনু ’উমার (রাঃ) সকাল হয়ে যাওয়ার আশংকা করলেন। তখন তিনি এক রাক্’আত বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নিলেন। তারপর আসমান পরিষ্কার হয়ে গেলে দেখলেন, এখনো অনেক রাত অবশিষ্ট আছে। তা তিনি আরো এক রাক্’আত আদায় করে জোড়া করে নিলেন। এরপর দু’ দু’ রাক্’আত করে (নফল) আদায় করতেন। তারপর যখন আবার সকাল হয়ে যাওয়ার আশংকা করলেন তিনি বিতরের এক রাক্’আত আদায় করতেন। (মালিক)[1]
وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ بِمَكَّةَ وَالسَّمَاءُ مُغَيِّمَةٌ فَخَشِيَ الصُّبْحَ فَأَوْتَرَ بِوَاحِدَةٍ ثُمَّ انْكَشَفَ فَرَأَى أَنَّ عَلَيْهِ لَيْلًا فَشَفَعَ بِوَاحِدَةٍ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فَلَمَّا خَشِيَ الصُّبْح أوتر بِوَاحِدَة. رَوَاهُ مَالك
ব্যাখ্যা: যখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) ফাজ্র (ফজর) উদয় হওয়ার আশংকা করতেন তখন তিনি শুধুমাত্র এক রাক্‘আত বিতর আদায় করতেন তার পূর্বে কোন জোর সংখ্যক সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) যোগ করতেন না। মুয়াত্ত্বার বর্ণনায় যখন মেঘ দূরীভূত হত, তখন তিনি তার বিতর সালাত এক রাক্‘আতের মাধ্যমে জোড়া করতেন (বিতর সালাত ভাঙ্গতেন)। কারণ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বিতর সালাত ভিন্ন এক রাক্‘আত সালাত আদায়ের মাধ্যমে ভাঙ্গার প্রবক্তা। এ প্রসঙ্গে মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বিতর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, যখন আমি ঘুমানোর পূর্বে বিতর পড়ে নেই, অতঃপর রাতে সালাত আদায়ের ইচ্ছা করি তখন এক রাক্‘আত সালাতের মাধ্যমে উক্ত বিতরকে জোড়ায় পরিণত করি, এরপর দু’ দু’ রাক্‘আত করে সালাত আদায় করি। সালাত শেষে আমি আবার এক রাক্‘আত বিতর আদায় করি। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাতের শেষ সালাত হিসেবে বিতর আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
মির‘আত প্রণেতা বলেনঃ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বিতর সালাত ভাঙ্গার যে ‘আমল করেছেন তা তার ব্যক্তিগত মত ও ইজতিহাদ। এ ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন বর্ণনা তার নিকট নেই।