হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৬২

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬২-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে তিনটি বিষয়ে ওয়াসিয়্যাত করেছেনঃ প্রতি মাসে তিনটি করে সওম পালন করতে, যুহা’র দু’ রাক্’আত সালাত (ইশরাক অথবা চাশ্‌ত/চাশত) পড়তে এবং ঘুমাবার পূর্বে বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوِتْرِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: أَوْصَانِي خَلِيلِي بِثَلَاثٍ: صِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّام من كل شهر وركعتي الضُّحَى وَأَن أوتر قبل أَن أَنَام

ব্যাখ্যা: أَوْصَانِي..... আমাকে ওয়াসিয়্যাত করলেন, এর অর্থ হলো অঙ্গীকারে আবদ্ধ করলেন এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের আদেশ করলেন।

এখানে প্রতি মাসে তিনটি সিয়াম পালন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ, যা আইয়্যামে বীজ নামে পরিচিত।

رَكْعَتَي الضُّحى অর্থাৎ প্রতি দিনে দু’ রাক্‘আত সালাতুয্ যুহা আদায় করা। যেমন- ইমাম আহমাদ বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেছেন যে, দু’ রাক্‘আত সালাতুয্ যুহার সর্বনিম্ন রাক্‘আত সংখ্যা, আর দু’ রাক্‘আতই মানব দেহের ৩৬০টি জোড়ার সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। যে জোড়াগুলোর উপর সে প্রতিদিন সকাল করে। যেমন- সহীহ মুসলিমে আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন, তার পক্ষ থেকে দু’ রাক্‘আত সালাতুয্ যুহাই যথেষ্ট হবে এবং উল্লেখিত হাদীসে সালাতুয্ যুহা মুস্তাহাব, এ বিবরণই রয়েছে- যদিও তার সর্বনিম্ন সংখ্যা দু’ রাক্‘আত।

أَنْ أوْتِرَ قبل أَن أَنَام অর্থাৎ ঘুমানোর পূর্বে বিতর আদায় করার অর্থ হলো বিতরের পরে ঘুমাতে হবে পূর্বে নয়। তবে বিতরের পর ঘুমানো আবশ্যকও নয়। তবে তার (আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর) প্রতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘুমানোর পূর্বেই বিতর আদায় করার নির্দেশটি এমনও হতে পারে যে, ঘুমের কারণে তার বিতর ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি বিতর ছুটে যাওয়ার আশংকা করবে তার জন্য পূর্বেই বিতর আদায় করা উত্তম, আর যার এমন আশংকা নেই তার জন্য দেরিতে যথাসময়ে (রাতের শেষাংশে) আদায় করাই উত্তম।

হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রার প্রতি ঘুমানোর পূর্বে বিতর আদায়ের ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ এবং ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কথা, বিতরের শেষ সময় হলো সাহরী পর্যন্ত। এ হাদীসদ্বয়ের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। কেননা প্রথম হাদীসটি (আবূ হুরায়রার বর্ণিত) বিতর ছুটে যাওয়ার আশংকা বা জাগ্রত হওয়ার ব্যাপারে সংশয়ের ক্ষেত্রে আর ২য় হাদীসটি (‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বর্ণিত) যে আন্তরিকভাবে জাগ্রত হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ