পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা
১২৪১-[১] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কোন মাসে রোযাহীন কাটাতেন। এমনকি আমরা মনে করতাম, তিনি হয়তো এ মাসে সওম পালন করবেন না। আবার তিনি সওম পালন করতে থাকতেন। আমরা ধারণা করতাম, তিনি বুঝি এ মাসে সওম পালন করা ছাড়বেন না। তুমি যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাত্রে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা অবস্থায় দেখতে চাও, তাহলে দেখতে পাবে তিনি সালাত আদায় করেছেন। আবার তুমি যদি ঘুম অবস্থায় দেখতে চাও তাহলে দেখতে পাবে তিনি ঘুমাচ্ছেন। (বুখারী)[1]
بَابُ الْقَصْدِ فِي الْعَمَلِ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى يُظَنَّ أَنْ لَا يَصُومَ مِنْهُ وَيَصُومُ حَتَّى يُظَنَّ أَنْ لَا يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئًا وَكَانَ لَا تَشَاءُ أَنْ تَرَاهُ مِنَ اللَّيْلِ مُصَلِّيًا إِلَّا رَأَيْتَهُ وَلَا نَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের অর্থ হলো আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তুমি যদি তাহাজ্জুদ পড়া অবস্থায় দেখতে চাইতে দেখতে পেতে আবার রাত্রিতে নিদ্রিত অবস্থায় দেখতে চাইলেও দেখতে পারতে। তার সকল কর্মকান্ড ও ‘ইবাদাত ছিল ভারসাম্যপূর্ণ এবং মাধ্যম পন্থার। কোন ‘ইবাদাতেই তিনি সীমালঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ী করতেন না। রাতের প্রথমার্ধে তিনি ঘুমাতেন দ্বিতীয়ার্ধে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন, রমাযান ছাড়া কোন মাসেই তিনি পূর্ণ এক মাস সওম পালন করতেন না।