হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২৩৭-[১৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলো এবং তাঁকে বলল, অমুক লোক রাত্রে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে কিন্তু ভোরে উঠে চুরি করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খুব তাড়াতাড়ি তার সালাত তাকে এ ’আমল থেকে বাধা দিবে, তার যে ’আমলের কথা তুমি বলছ। (আহমাদ, বায়হাক্বী’র শু’আবুল ’ঈমান)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى فَقَالَ: إِن فلَانا يُصَلِّي بِاللَّيْلِ فَإِذَا أَصْبَحَ سَرَقَ فَقَالَ: إِنَّهُ سَيَنْهَاهُ مَا تَقُولُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

ব্যাখ্যা: আগন্তুক ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। যে রাতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে, আর দিনে চুরি করে তার সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আল্লামা ত্বীবী বলেন, হাদীসের ভাষা প্রমাণ করে যে, সে সালাত আদায়কারী। যে রাতের সালাত আদায়কারী হয় সে দিনের সালাত বর্জন করতে পারে না। সুতরাং তার জন্য এ দৃষ্টান্ত যে, ঐ সালাত তাকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে, অতঃপর সে তার চৌর্য বৃত্তি থেকে তাওবাহ্ করবেই।

হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হলোঃ তার ঐ রাতের সালাতই নিশ্চিত তাকে চৌর্যবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে রাখবে এবং সত্তর তাওবাহ্ করবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (سَيَنْهَاهُ) শব্দের মধ্যে (س) অক্ষরটি ‘তানফীস’ মূলে সময়সাপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং বলা হবে যে, সালাত যে তাকে পাপ থেকে বিরত রাখবে তার জন্য সময়ের প্রয়োজন, সময়ের আবহে তার অন্তরের মধ্যে এমন একটি ভাবের উদয় হবে যা তাকে পাপ (বা ঐ চৌর্যবৃত্তি) থেকে বিরত রাখবে। যেমন পবিত্র কুরআনের আয়াতঃ ‘‘নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে’’- (সূরাহ্ আল ‘আনকাবূত ২৯ : ৪৫)। এর ব্যাখ্যা হলোঃ নিশ্চয় নিয়মিত সালাত আদায় তাকে অশ্লীল গর্হিত কাজ বর্জনে উদ্ধুব্ধ করবে এবং এক সময় তাকে বিরত করেই ফেলবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ