পরিচ্ছেদঃ ৩২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন
১২১৫-[৫] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে মুসলিম রাত্রে পাক-পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকর করে ঘুমিয়ে যায়, তারপর রাত্রে জেগে উঠে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ তাকে (দুনিয়া ও আখিরাতে) অবশ্যই কল্যাণ দান করেন। (আহমাদ, আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَبِيتُ عَلَى ذِكْرٍ طَاهِرًا فَيَتَعَارَّ مِنَ اللَّيْل فَيسْأَل اللَّهُ خَيْرًا إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: এখানে রাতে ঘুম যাওয়ার কালকে বুঝানো হয়েছে। আর যিকর দ্বারা ঐ সকল যিকর আযকারকে বুঝানো হয়েছে যেগুলো শয়নকালে পাঠ করা মুস্তাহাব, আবার কুরআন তিলাওয়াত এবং সাধারণ যিকরও হতে পারে। আর এটা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) অবস্থায় পাঠের কথা বলা হয়েছে। মাঝরাতে যদি কেউ জাগে তাহলে আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করবে, চাই তা দুনিয়ার কল্যাণ হোক চাই আখিরাতের কল্যাণ। তবে একটি বর্ণনায় দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের কথা নাম ধরেই উল্লেখ আছে।