পরিচ্ছেদঃ ৩১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১২০৬-[১৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ফাজ্রের (ফজরের) দু’ রাক্’আত (সুন্নাত) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে। সে যেন (জামা’আত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত) ডান পাশে শুয়ে থাকে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ فَلْيَضْطَجِعْ على يَمِينه» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: ফাজ্রের (ফজরের) সুন্নাত আদায়ের পর শয়ন করা সম্পর্কে একাধিক অভিমত রয়েছে নিম্নে তা আলোচনা করা হল-
১। তা সুন্নাত এ অভিমত ইমাম শাফি‘ঈ ও তার অনুসারীদের।
২। তা মুস্তাহাব এ অভিমত একদল সাহাবী ও তাবি‘ঈদের, সাহাবীদের মধ্যে আবূ মূসা আল আশ্‘আরী, রাফি‘ ইবনু খাদীজ, আনাস ইবনু মালিক ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) প্রমুখদের। তাবি‘ঈদের মধ্যে মুহাম্মাদ, ‘উরওয়াহ্ ইবনুয্ যুবায়র, আবূ বাকর ইবনু ‘আবদুর রহমান, খারিজাহ্ ইবনু যায়দ, ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও সুলায়মান ইবনু ইয়াসার প্রমুখদের।
৩। তা ওয়াজিব এ অভিমত আবূ মুহাম্মাদ ‘আলী ইবনু হাযম এর। তিনি মুহাল্লা গ্রন্থে (৩/১৯৬) বলেন, যিনিই ফাজ্রের (ফজরের) দুই রাক্‘আত সুন্নাত আদায় করেবেন তার ফাজ্রের (ফজরের) ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিশুদ্ধ হবে না। যদিনা তিনি ডান কাতে শয়ন করেন। এটা তার পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি। তার পূর্বে কেউ এ অভিমত পেশ করেনি।
৪। তা মাকরূহ ও বিদ্‘আত, এ অভিমত সাহাবীদের মধ্যে ইবনু মাস্‘ঊদ ও ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর। তবে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে ভিন্ন মতও বণিত হয়েছে।
৫। তা উত্তমের বিপরীত কাজ, এ অভিমত হাসান বসরী (রহঃ)-এর
৬। এ শয়ন মূল উদ্দেশ্য নয়। মূল উদ্দেশ্য হল ফাজ্রের (ফজরের) সুন্নাত ও নফলের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করা। তা যে কোন উপায়ে হতে পারে। ইমাম শাফি‘ঈ থেকে এ অভিমত বর্ণনা করা হয়েছে।
৭। যিনি রাতে নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেন তার জন্য তা মুস্তাহাব। অন্যের জন্য তা বিধি সম্মত নয়।
৮। ঘরে সুন্নাত আদায়কারীর জন্য তা মুস্তাহাব, মসজিদে আদায়কারীর জন্য তা মুস্তাহাব নয়। কিছু সালাফদের থেকে এ অভিমত বর্ণিত হয়েছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকেও তা বর্ণিত হয়েছে।
উপরোক্ত অভিমতগুলোর মধ্যে থেকে ২য়, অভিমত তথা তা মুস্তাহাব এ অভিমতই অগ্রগণ্য।