পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নাত ও এর ফযীলত
১১৭৭-[১৯] ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইরশাদ করতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ যুহরের পূর্বে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর চার রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ), তাহাজ্জুদের চার রাক্’আত সালাত আদায় করার সমান। আর এ সময় সকল জিনিস আল্লাহ তা’আলার পবিত্রতার ঘোষণা করে। তারপর তিনি (কুরআনের আয়াত) পড়লেন, ’’সকল জিনিসের ছায়া ডান দিক ও বাম দিক হতে আল্লাহ তা’আলার জন্যে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করে ঝুঁকে থাকে। আর এরা সবই বিনয়ী’’- (সূরাহ্ আন্ নাহল ১৬: ৪৮)। (তিরমিযী, বায়হাক্বী ফী শু’আবুল ঈমান)[1]
عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ بَعْدَ الزَّوَالِ تُحْسَبُ بِمِثْلِهِنَّ فِي صَلَاةِ السَّحَرِ. وَمَا مِنْ شَيْءٍ إِلَّا وَهُوَ يُسَبِّحُ اللَّهَ تِلْكَ السَّاعَةَ ثُمَّ قَرَأَ: (يَتَفَيَّأُ ظِلَالُهُ عَنِ الْيَمِينِ وَالشَّمَائِلِ سُجَّدًا لَهُ وهم داخرون) رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: (تُحْسَبُ بِمِثْلِهِنَّ فِي صَلَاةِ السَّحَرِ) শেষ রাতের অর্থাৎ তাহাজ্জুদের অনুরূপ সংখ্যক সালাতের মর্যাদার সমান গণ্য করা হয়। কোন কোন মাশায়েখ বলেন, এর হিকমাত এই যে, এ দু’টি সময় রহমাত নাযিল হওয়ার সময়। দিনের অর্ধকালে সূর্য ঢলার পর আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং ‘ইবাদাত কবূল করা হয়। রাতের অর্ধকাল অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত রহমাত নাযিল হয়। অতএব এ দু’টি সময়ে রহমাত নাযিল হওয়ার মধ্যে যেমন সামঞ্জস্য রয়েছে। অনুরূপ এ দু’সময়ের সালাতের মধ্যেও সামঞ্জস্য রয়েছে। ফলে উভয় সময়ই একটি আরেকটির সমমর্যাদার। তাই এ দু’ওয়াক্তের সালাতও সমমর্যাদার অধিকারী।