পরিচ্ছেদঃ ২৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দু’বার সালাত আদায় করা
১১৫৫-[৬] ইয়াযীদ ইবনু ’আমির (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। সে সময় তিনি লোকজন নিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন। আমি (এক পাশে) বসে থাকলাম। তাঁদের সঙ্গে জামা’আতে অংশগ্রহণ করলাম না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে এদিকে ফিরে আমাকে বসা অবস্থায় দেখে বললেন। তুমি কি মুসলিম না, হে ইয়াযীদ! সালাত আদায় করনি। আমি বললাম। হ্যাঁ! আমি মুসলিম হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, তাহলে লোকদের সঙ্গে সালাতে অংশগ্রহণ করতে তোমাকে নিষেধ করেছে কে? আমি বললাম, আমি আমার ঘরে সালাত আদায় করে এসেছি। আমার ধারণা ছিল আপনিও সালাত আদায় করে ফেলেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যখন মসজিদে আসবে আর লোকজনকে জামা’আতে সালাত আদায় করতে দেখবে। তখন তুমিও সালাতে অংশগ্রহণ করবে। যদি তুমি এর পূর্বে (একবার) সালাত আদায় করেও থাকো। আর এ (দ্বিতীয়বারের) সালাত তোমার জন্যে নফল হিসেবে গণ্য হবে। আর পূর্বের পড়া সালাত ফরয হিসেবে আদায় হবে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن يَزِيدَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ فَجَلَسْتُ وَلَمْ أَدْخُلْ مَعَهُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَآنِي جَالِسا فَقَالَ: «ألم تسلم يَا زيد؟» قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَسْلَمْتُ. قَالَ: «وَمَا مَنَعَكَ أَنْ تَدْخُلَ مَعَ النَّاسِ فِي صَلَاتِهِمْ؟» قَالَ: إِنِّي كُنْتُ قَدْ صَلَّيْتُ فِي مَنْزِلِي أَحْسَبُ أَنْ قَدْ صَلَّيْتُمْ. فَقَالَ: «إِذَا جِئْتَ الصَّلَاةَ فَوَجَدْتَ النَّاسَ فَصَلِّ مَعَهُمْ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ تَكُنْ لَكَ نَافِلَةً وَهَذِه مَكْتُوبَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: সকলের জেনে রাখা উচিত যে, একই সালাত দু’বার পড়া হলে তার হুকুমের ব্যাখ্যায় ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়, অর্থাৎ কোন বারেরটা ফরয আর কোন বারেরটা নফল হবে প্রথমবারেরটা ফরয হবে না দ্বিতীয় বারেরটা?
ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) তার প্রথম মতে বলেছেন, যদি প্রথমবারেরটা একাকী পড়ে থাকে আর দ্বিতীয়টি জামা‘আতের সাথে পড়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয়টাই ফরয ধরা হবে এবং তিনি তার দ্বিতীয় মতে বলেছেন, প্রথমবারের সালাতই ফরয হবে। হানাফী মাযহাবের মতও এটা। আর এটাই সহীহ মত ইয়াযীদ বিন আসওয়াদ ও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত মিহজান কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মাধ্যমে।