পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০২৮-[৬] অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, সূরাহ্ সাদ-এ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবো কি-না? উত্তরে তিনি (ইবনু ’আব্বাস) ’’তাঁর বংশধরের মধ্যে থেকে দাঊদ ও সুলায়মান’’ পাঠ করতে করতে এই বাক্য পৌঁছলেন- ’’সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর’’- (সূরাহ্ আল আন্’আম ৮৪-৯০)। অতঃপর বললেন, তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ লোকদের মধ্যে গণ্য যাদের প্রতি আগের নবীর আনুগত্য করার নির্দেশ ছিল। (বুখারী)[1]
بَابُ سُجُوْدِ الْقُرْانِ
وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ مُجَاهِدٌ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: أَأَسْجُدُ فِي (ص) فَقَرَأَ: (وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسليمَان) حَتَّى أَتَى (فبهداهم اقتده) فَقَالَ: نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّنْ أَمر أَن يَقْتَدِي بهم. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (لَيْسَ مِنْ عَزَائِمِ السُّجُوْدِ) ‘আবশ্যকীয় সিজদা্ নয়’ অর্থাৎ যে সকল সূরাতে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করার নির্দেশ অথবা উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে এটি তার অন্তর্ভুক্ত নয়। দাঊদ (আঃ) সিজদা্ করেছিলেন এখানে তার বর্ণনা এসেছে আর আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বাণী فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ ‘‘আপনি তাদের অনুসরণ করুন’’- এ নির্দেশ পালনার্থে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেছেন। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় কোন কোন সুন্নাত আমল কোন কোন সুন্নাতের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ‘আল্লামা ‘আয়নী বলেনঃ হানাফী ও শাফি‘ঈদের মধ্যে এতে কোন বিরোধ নেই যে, সূরাহ্ ‘সাদ’-এ সিজদা্ আছে। মতভেদ শুধু এ বিষয়ে যে, এটি গুরুত্বপূর্ণ কিনা? ইমাম শাফি‘ঈর মতে এতে সাজদাটি গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং এটি সিজদা্ শুকর সালাতের বাইরে এ সিজদা্ করা মুস্তাহাব।
আমি (মুবারকপূরী) বলিঃ যদিও দাঊদ (আঃ) তাওবার নিমিত্তে সিজদা্ করেছিলেন আর আমরা শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে এ সিজদা্ করবো এ সত্ত্বেও এটি তিলাওয়াতের সিজদা্। আর তিলাওয়াতের সিজদা্ করার কারণ হলো সিজদা্ এর আয়াত তিলাওয়াত করা। অতএব আমার মতে হাক্ক বা সঠিক হলো সূরাহ্ ‘সাদ’ এর সাজদার আয়াত তিলাওয়াতান্তে সালাতের মধ্যেই হোক বা সালাতের বাইরেই হোক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণে সিজদা্ করা বিধিসম্মত।