হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৯৯২

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

৯৯২-[১৫] রিফা’আহ্ ইবনু রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে সালাত আদায় করলাম। (সালাতের মধ্যে) আমি হাঁচি দিলাম। আমি ক্বালিমায়ে হামদ অর্থাৎ ’’আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান ত্বইয়্যিবাম্ মুবা-রাকান ফীহি মুবা-রাকান ’আলায়হি কামা- ইউহিব্বু রব্বুনা- ওয়া ইয়ারযা-’’ পাঠ করলাম। সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে বললেন, সালাতের মাঝে কথা বলল কে? এতে কেউ কোন কথা বলেনি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনরায় প্রশ্ন করলেন। তবুও কেউ কোন কথা বলেনি। তৃতীয়বার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার প্রশ্ন করলেন। এবার রিফা’আহ্ (রাঃ)বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঐ জাতের শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! ত্রিশের বেশি মালাক (ফেরেশতা) এ ক্বালিমায়ে হামদগুলো কার আগে কে উপরে নিয়ে যাবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن رِفَاعَة بن رَافع قَالَ: صليت خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَطَسْتُ فَقلت الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ فَقَالَ: «مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلَاةِ؟» فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ فَقَالَ رِفَاعَةُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا بِضْعَةٌ وَثَلَاثُونَ مَلَكًا أَيُّهُمْ يَصْعَدُ بِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যা: হাফিয ইবন হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেছেন, হাদীসটি ত্ববারানী সংকলন করেছেন এবং তাতে উল্লেখ করেছেন যে, ঐ সালাতটি ছিল মাগরিবের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। তিনি হাদীসটি এমন সানাদে বর্ণনা করেছেন যাতে কোন ত্রুটি নেই। এই অতিরিক্ত অংশটুকু তাদের মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে যারা বলে যে, উক্ত সালাত নফল সালাত ছিল। উল্লেখ্য যে, জামা‘আত সাধারণতঃ ফরয সালাতেরই হয়ে থাকে নফল সালাতের নয়।

হাদীসের শিক্ষাঃ

১. সালাত নফল বা ফরয যাই হোক তাতে হাঁচিদাতার আলহাম্দুলিল্লা-হ বলা মাকরূহ নয়।

২. সালাতের মধ্যে সালাতের জন্য নির্ধারিত দু‘আ ব্যতীত অন্য কোন দু‘আ পাঠ করাও বৈধ।

৩. হাদীসে বর্ণিত দু‘আটি সালাতরত অবস্থায় স্বরবেও পাঠ করা যায় যদি তাতে অন্যের ব্যাঘাত না ঘটে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ