পরিচ্ছেদঃ ১৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দু‘আ
৯৫৮-[২০] সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইমামের সালামের উত্তর দিতে, একে অন্যকে ভালোবাসতে ও পরস্পর সালাম বিনিময় করতে হুকুম দিয়েছেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ سَمُرَةَ قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَرُدَّ عَلَى الْإِمَامِ وَنَتَحَابَّ وَأَنْ يُسَلِّمَ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (أَنْ نَرُدَّ عَلَـى الْإِمَامِ) আমরা সালামের জবাব দিতাম ইমামকে দ্বিতীয় সালামের মাধ্যমে যারা ইমামের ডানে থাকি আর প্রথমে জবাব দেই যারা ইমামের বামে থাকি এবং উভয় পাশে যারা থাকেন।
(نَتَحَابَّ) একে অপরকে যেন ভালোবাসে- মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন যে, আমরা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীকে ভালোবাসার সাথে সকল মু’মিনকে ভালোবাসব যেন প্রত্যেকে চমৎকার আচরণ, সৎ কাজ করে এবং সত্য কথা বলে আর বিশুদ্ধ কল্যাণ কামনা করে যা ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের দিকে নিয়ে যাবে।
(وَأَنْ يُسَلِّمَ بَعْضُنَا عَلـى بَعْضٍ) একে অপরকে সালাম দিবে। আর এ সালাম, সালাত ও সালাতের বাইরে উভয় স্থানেই অন্তর্ভুক্ত, তবে বাযযার শুধু সালাতের সাথেই সংশ্লিষ্ট করেছে।
আর শাওকানী বলেনঃ এটা ইমামের সালাম মুক্তাদীর ওপর আর মুক্তাদীর সালাম ইমামের ওপর ও মুক্তাদীর সালাম পরস্পর পরস্পরের ওপর।