পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সিজদা্ ও তার মর্যাদা
৮৯১-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু মালিক ইবনু বুহায়নাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দিতেন, তার হাত দু’টিকে এমন প্রশস্ত রাখতেন যে, তার বগলের নিচের শুভ্রতাও দেখা যেত। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْسُّجُوْدِ وَفَضْلِه
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ بن بُحَيْنَة قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَجَدَ فَرَّجَ بَيْنَ يَدَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ بَيَاض إبطَيْهِ
ব্যাখ্যা: (فَرَّجَ بَيْنَ يَدَيْهِ) তার দু’হাত (বাহুদ্বয়) পাজর হতে পৃথক রাখতেন, এমনকি বগলের শুভ্রতা দেখা যেত বা প্রকাশ হত।
হাফিয ইবনু হাজার আল আসক্বালানী বুখারীর শারহ ফাতহুল বারীতে এর ব্যাখ্যায় লিখেছেন, আমরা (সাহাবীগণ) আমাদের প্রতিটি হাতকে পাঁজর হতে (যা হাতের কাছাকাছি) দূরে রাখতাম।
কুরতুবী বলেনঃ সাজদাতে এ পদ্ধতিটা অবলম্বন করলে কপালের উপর ভারের চাপটা কম পড়ে এবং তার নাক ও কপালের কষ্টের প্রভাবটা লঘু হয় আর মাটিতে মেশার পরেও কষ্টটা তেমন মনে হয় না।
ত্ববারানী ও অন্যরা ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে সহীহ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা হিংস্র প্রাণীর মতো হাত বিছাবে না (সাজদারত অবস্থায়) তোমার দু’ হাতের তালুর উপর ভর দিবে এবং তোমার বগলকে প্রকাশ করবে যখন তুমি এমনটি করবে তাহলে তোমার সকল অঙ্গ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করলো।
এ হাদীসটিসহ বুহায়নার হাদীস আর যা ইতিপূর্বে উল্লিখিত মায়মূনাহ্, বারা এবং আনাস (রাঃ)-এর হাদীস আর অনুরূপ একই অর্থের হাদীসগুলো প্রমাণ করে (হাতকে পাঁজর থেকে) দূরে রাখতে হবে আর হিংস্র প্রাণীর মতো হাতকে বিছানো নিষেধ। সুতরাং দূরে রাখা বা পৃথককরণ সাজদায় ওয়াজিব।