পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৪-[৩৬] ’উসমান ইবনু মায্’ঊন (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে খাসি হয়ে যাবার অনুমতি দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, সেই লোক আমাদের মধ্যে নেই, যে কাউকে খাসি করে অথবা নিজে খাসি হয়। বরং আমার উম্মাতের খাসি হওয়া হলো সিয়াম পালন করা। ’উসমান (রাঃ) আবেদন করলেন, তাহলে আমাকে ভ্রমণ করার অনুমতি দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, আমার উম্মাতের ভ্রমণ হলো আল্লাহর পথে জিহাদে যাওয়া। তারপর ’উসমান (রাঃ) বললেন, তাহলে আমাকে বৈরাগ্য অবলম্বন করার অনুমতি দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার উম্মাতের বৈরাগ্য হচ্ছে সালাতের অপেক্ষায় মসজিদে বসে থাকা। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَن عُثْمَان بن مَظْعُون قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لَنَا فِي الِاخْتِصَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ خَصَى وَلَا اخْتَصَى إِنَّ خِصَاءَ أُمَّتِي الصِّيَامُ» . فَقَالَ ائْذَنْ لَنَا فِي السِّيَاحَةِ. فَقَالَ: «إِنْ سِيَاحَةَ أُمَّتَيِ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . فَقَالَ: ائْذَنْ لَنَا فِي التَّرَهُّبِ. فَقَالَ: «إِن ترهب أمتِي الْجُلُوس فِي الْمَسَاجِد انتظارا للصَّلَاة» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
ব্যাখ্যা: ‘উসমান (রাঃ) নারীদের প্রতি কামনা দূরীকরণে খোজা হওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন) আমাদের সুন্নাতের যারা অনুসরণ করে এবং আমাদের শার‘ঈ তরীকা (পদ্ধতি) দ্বারা হিদায়াত লাভ করতে যারা চায় সে তাদের বাইরে যে অন্যকে খোজা করায় অথবা নিজে খোজা হয়। ইবনু হাজার বলেন, এ দু’টি কর্মই হারাম। কামনা রহিতের জন্য বেশী করে সওম পালন করতে বলা হয়েছে। কেননা সওম কাম-বাসনা এবং এর অনিষ্টতাকে নষ্ট করে। যেমন- রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে। আর যে বিবাহ করতে সক্ষম নয় সে সওম পালন করবে। এটাই তার জন্য ঢাল।’’
‘উসমান (রাঃ) ভ্রমণ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। এখানে ভ্রমণ (اَلسَّيَاحَةُ) দ্বারা নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাত্রা করা, যেমন বানী ইসরাঈলের ‘ইবাদাতগুজার বান্দারা করেছিল বুঝাবে। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যাওয়াকে ভ্রমণের সমতুল্য করা হয়েছে। এটাই সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ। আর এটা খুবই কষ্টকর ‘ইবাদাত। এটা বড় জিহাদ ও ছোট জিহাদকে শামিল করে।
‘উসমান (রাঃ) আবার বৈরাগ্যবাদ অবলম্বনের অনুমতি চাইলেন। বৈরাগ্যবাদ হলো ঘর-বাড়ি, লোকালয় ছেড়ে পাহাড়ের চূড়ায় একাকী জীবন যাপন করা যেমন বৈরাগীরা করে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, উম্মাতের বৈরাগ্য নির্ধারণ করা হলো সালাতের অপেক্ষায় মসজিদে বসে থাকাকে। কেননা মসজিদে বসে থাকা বৈরাগ্যের একাকিত্ব আনতে পারে।