পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৪-[১১] (’আবদুল্লাহ) ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (পারিশ্রমিক ও বিনিময়ের লোভ বাদ দিয়ে) শুধু সাওয়াব লাভের আশায় সাত বছর পর্যন্ত আযান দেয় তার জন্য জাহান্নামের মুক্তি লিখে দেয়া হয়। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «من أذن سبع سِنِين محتسبا كتبت لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه.
ব্যাখ্যা: হাদীসে আযানদাতার ফাযীলাত বর্ণনা করা হয়েছে। পার্থিব কোন স্বার্থ ছাড়াই শুধুমাত্র পরকালের সাওয়াবের লক্ষ্যে এ দীর্ঘ সময় ধরে আযান দেয়ায় আল্লাহ তা‘আলা তাকে মর্যাদা দান করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, ঐ ব্যক্তি প্রথমে জান্নাতে প্রবেশকারীদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তার প্রথম ও শেষ ছোট এবং বড় সকল গোনাহ আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, তাকে ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করতে হবে।
এই ফাযীলাতের কারণ হলো, এ ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে আযান দিয়েছে। আর আযানের মধ্যে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য রয়েছে। সে দীর্ঘদিন দুনিয়ার কোন স্বার্থ ছাড়াই সালাতের দিকে, অর্থাৎ- আল্লাহর দিকে মানুষকে আহবান করেছে। এমন ব্যক্তিকে জাহান্নাম স্পর্শ না করারই কথা।