হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৬৩০

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের ফযীলত

৬৩০-[৭] ’উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’ইশার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) জামা’আতের সাথে আদায় করেছে, সে যেন অর্ধেক রাত সালাতরত থেকেছে। আর যে ব্যক্তি ফজরের (ফজরের) সালাত জমা’আতে আদায় করেছে, সে যেন পুরো রাত সালাত আদায় করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ فَضَائِلِ الصَّلَاةِ

وَعَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْل كُله» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: হাদীসে বুঝা যায় যে, ‘ইশার সালাত জামা‘আতে আদায়ের তুলনায় ফাজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) জামা‘আতে আদায়ের ফাযীলাত বেশী। ফাজরের (ফজরের) সালাতের ফাযীলাত ‘ইশার সালাতের ফাযীলাতের দ্বিগুণ। হাদীসের এ ব্যাখ্যা তিরমিযী ও আবূ দাঊদ-এর বর্ণনার বিরোধিতা মনে হয়। সে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ‘‘যে ব্যক্তি ‘ইশা এবং ফাজরের (ফজরের) সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করলো সে যেন পূর্ণ রাত্রি জাগরণ করে ক্বিয়াম (কিয়াম) করলো।

এর উত্তরে আমি (ব্যাখ্যাকারক) বলবো, ‘‘যে ব্যক্তি ফাজরের (ফজরের) সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করলো সে যেন পূর্ণ রাত সালাত আদায় করলো’’- সহীহ মুসলিমের এ বর্ণনা ‘ইশার সালাতকেও অন্তর্ভুক্ত করে। فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّه ‘‘সে যেন পূর্ণ রাত সালাত আদায় করলো’’-এর দ্বারা বুঝাচ্ছে যে, সে যেন রাতের শেষ অর্ধাংশ সালাত আদায় করলো। আর প্রথম অর্ধাংশ তো ‘ইশার সালাতেই কাটলো। মোটকথা, যে ব্যক্তি ফাজর (ফজর) এবং ‘ইশা উভয় ওয়াক্তের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করে পূর্ণ রাতই সালাতে থাকে। এ হাদীসের সকল বর্ণনা এ বিষয়টিই স্পষ্ট করেছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ