পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - হায়য-এর বর্ণনা
৫৫০-[৬] মায়মূনাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি চাদরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। যার একটি অংশ আমার শরীরের উপর থাকতো আর অন্য অংশ তাঁর শরীরের উপর থাকতো। অথচ তখন আমি ঋতুবতী। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْحَيْضِ
وَعَنْ مَيْمُونَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي مِرْطٍ بَعْضُهُ عَلَيَّ وَبَعْضُهُ عَلَيْهِ وَأَنا حَائِض
ব্যাখ্যা: (بَعْضُه عَلَيَّ وَبَعْضُه عَلَيْهِ وَأَنَا حَائِضٌ) ‘‘চাদরের এক অংশ আমার উপর থাকতো আর এক অংশ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (কাঁধের) উপর থাকতো, অথচ তখন আমি ঋতুবতী।’’ অর্থাৎ- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করার সময় যে চাদর তিনি তাঁর কাঁধের উপর রাখতেন সে চাদরের একটি অংশ আমার উপর পড়ে থাকতো। আর এ অবস্থায়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। এতে বুঝা যায় যে, ঋতুবতী মহিলার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পবিত্র। কেননা যদি তা পবিত্র না হত তাহলে কাপড়ের কোন অংশ তার উপর পতিত হলে তা অপবিত্র হয়ে যেত। ফলে ঐ কাপড়ের অন্য অংশ গায়ে জড়িয়ে সালাত আদায় করা বৈধ হত না।
এ হাদীস থেকে এও জানা যায় যে, একই কাপড়ের এক অংশ সালাত আদায়কারীর শরীরে থাকাকালে সেটার অন্য অংশ সালাতরত নয় এমন ব্যক্তির শরীর উপরে রাখা বৈধ।