পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - গোসলের সুন্নাত নিয়ম
লেখক এ অধ্যায়ে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিনে গোসলের কথা উল্লেখ করেননি। কারণ এ বিষয়ে কোন সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি। অবশ্য এ বিষয়ে তিনটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যার সবগুলোই দুর্বল।
৫৩৭-[১] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে চাইলে (এর আগে) সে যেন গোসল করে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْغُسْلِ الْمَسْنُوْنِ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمُ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ»
ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীস প্রমাণ করে যে, জুমু‘আর দিন গোসল করা ওয়াজিব। সেটা সহীহ মুসলিমেও বর্ণিত হয়েছে। আর ২য় হাদীস হতেও স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, সেটা ওয়াজিব। আর আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-ও এরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপভাবে নাসায়ীতে জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, প্রত্যেক মুসলিমের ওপর প্রতি সপ্তাহে গোসল ওয়াজিব, অনুরূপ তিরমিযী ও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। পক্ষান্তরে ইবনু খুযায়মার একটি বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি জুমু‘আতে হাযির হবে না তার ওপর গোসল ওয়াজিব নয়।