পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫৯-[৯] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাপাকীর পর গোসল করতেন। অতঃপর আমার গোসল করার পূর্বে আমাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের গরম অনুভব করতেন। (ইবনু মাজাহ্)[1]
ইমাম তিরমিযীও এরূপই বর্ণনা করেছেন, আর ’শারহুস্ সুন্নাহ্’-তেও মাসাবীহ-এর শব্দে বর্ণনা করা হয়েছে।
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ يَسْتَدْفِئُ بِي قَبْلَ أَنْ أَغْتَسِلَ. رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه وروى التِّرْمِذِيّ نَحوه
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, অপবিত্রতা নারীর ব্যবহৃত গোসলের পানি পবিত্র। যেমন পুরুষের ব্যবহৃত পানি পবিত্র। ঋতুবতী ও নিফাসওয়ালী মহিলার বিধানও অনুরূপ এবং তাদের ব্যবহৃত পানিও পবিত্র। ব্যবহৃত পানি বলতে পবিত্রতা অর্জনের পর পাত্রের অবশিষ্ট পানি। এ কথা অবশ্যই মানতে হবে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্রতা অর্জন করার পর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট শয়ন পূর্বক উষ্ণতা গ্রহণ করতেন তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভিজা দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা জননী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কাপড় ভিজে যেত। অতঃপর তার (‘আয়িশাহ্) ভিজা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কাপড় দ্বারাও তো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভিজতো। কিন্তু উষ্ণতা গ্রহণের পর (হানাফী মাযহাবের মতে) তার ওই সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করেছেন যে সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ‘আয়িশার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর রেখেছেন- মর্মে মতটি দুর্বল হাদীস দ্বারাও সাব্যস্ত নয়। কাজেই প্রমাণিত হয় যে, অপবিত্রা নারী ঋতুবতী ও নিফাসওয়ালী মহিলার ব্যবহৃত পানি পবিত্র এবং এটাই সালফ সালিহীনদের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই।