পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৩৯২-[২] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠবে ও উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে, সে যেন তিনবার নাকে পানি দিয়ে (নাক) ঝেড়ে ফেলে। কেননা শায়ত্বন (শয়তান) তার নাকের বাঁশিতে রাত যাপন করে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ سُنَنِ الْوُضُوْءِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَنَامه فليستنثر ثَلَاثًا فَإِن الشَّيْطَان يبيت على خيشومه»
ব্যাখ্যা: হাদীসের মধ্যে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করার নির্দেশ এসেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, রাতের বেলায় শায়ত্বন (শয়তান) তার নাসারন্ধ্রে অবস্থান করে। হাদীসে استنثار শব্দটি এসেছে এর অর্থ হলো নাকে পানি দিয়ে শেষ পর্যন্ত টেনে নেয়া। নাকের মধ্যে শায়ত্বন (শয়তান) অবস্থান করার বিষয়টি প্রকৃত অর্থে এসেছে। শায়ত্বন (শয়তান) নাক দিয়েও মানুষের অন্তরে প্রবেশ করে ওয়াস্ওয়াসাহ্ (কুপ্রবঞ্চনা) দেয়। তাই নাকে পানি দিয়ে শায়ত্বন (শয়তান) প্রবেশের চিহ্ন ও প্রভাব দূর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুখারী ও মুসলিমে হাদীসে আছে, কেউ যদি আয়াতুল কুরসী পাঠ করে ঘুমায় তবে সে শায়ত্বনের (শয়তানের) কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকবে।
আরো আদেশ এসেছে যে, হাই তোলার সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে কারণ ঐ সময় শায়ত্বন (শয়তান) মুখের মধ্যে প্রবেশ করে। অতঃপর উদ্দেশ্য হলো خيشوم অর্থাৎ- নাকের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা জমা হওয়ার স্থান আর ঐ স্থানেই রাত্রি যাপন করাটা শায়ত্বনের (শয়তানের) জন্য উপযুক্ত স্থান। অতএব মানুষের জন্য উচিত নাসিকা পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।