পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৮২-[৭] আবূ আইয়ূব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি বিষয় নবী-রসূলদের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত- (১) লজ্জাশীলতা, আর এক বর্ণনায় এর স্থলে খতনার কথা বলা হয়েছে; (২) সুগন্ধি ব্যবহার করা; (৩) মিসওয়াক করা এবং (৪) বিয়ে করা। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ: الْحَيَاءُ وَيُرْوَى الْخِتَانُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: قوله (أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণের সুন্নাত চারটি যথাঃ লজ্জাশীলতা, (অন্য বর্ণনায় এর পরিবর্তে খতনা এসেছে) সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা এবং বিবাহ করা।
الْحَيَاءُ (আল হায়া-) এ লজ্জা দ্বারা দীনী লজ্জা। যেমন লজ্জাস্থান আবৃত করা, মানবতা যাকে খারাপ মনে করে তাত্থেকে বেঁচে থাকা এবং শারী‘আত অশ্লীলসহ অন্যান্য যেসব কাজকে নিষিদ্ধ করেছে এর দ্বারা জন্মগত লজ্জা উদ্দেশ্য নয়। কেননা এতে সকল মানুষই অংশীদার। আর জন্মগত বা স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য নাবীদের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত হয় না।
الخِتَانُ (আল খিতা-ন) খতনা করা ইবরাহীম (আঃ) থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নাবীদের সুন্নাত।
تَعَطَّرٌ (তা‘আত্ত্বার) গায়ে এবং কাপড়ে সুগন্ধি ব্যবহার করা।