পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৯-[২৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানা হতে বের হতেন তখন বলতেনঃ ’’গুফরা-নাকা’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি)। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ قَالَ «غفرانك» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: قوله (إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ) অর্থাৎ- যখন তিনি টয়লেট থেকে বের হতেন। খুরুজ দ্বারা কোন স্থান থেকে বের হওয়া বুঝালেও বিধানটি ব্যাপক যা ফাঁকা ময়দানসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। غفرانك অর্থ আমি তোমার মর্যাদার সাথে উপযুক্ত বা তোমার অনুগ্রহ থেকে সৃষ্ট ক্ষমা চাচ্ছি। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতেন সে বিষয়ে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেছেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব-পায়খানার অবস্থা ব্যতীত সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার স্মরণে মগ্ন থাকতেন । ফলে এ অবস্থায় আল্লাহর যিকর পরিত্যাগ করাকে ত্রুটি বা পাপ গণ্য করে আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি পায়খানা করার ক্ষমতা দানের মাধ্যমে যে করুণা করেছেন তার কৃতজ্ঞতা আদায়ে ত্রুটি হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কেননা পেটের ভিতর মল জমা থাকলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বা রোগগ্রস্ত হয়। তাই তা বের হওয়া শরীরের পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য একটি অপরিহার্য নি‘আমাত। আর এটিই অধিক সঠিকতর কারণ।