পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩৩২-[৩৩] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’উমার (রাঃ) বলেছেন, চুমু দেয়া ’লামস্’ এর অন্তর্ভুক্ত। (যা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে)। সুতরাং চুমু দেয়ার পরে তোমরা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে।[1]
وَعَن ابْن عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِن الْقبْلَة من اللَّمْس فتوضؤوا مِنْهَا
ব্যাখ্যা: সর্বশেষ তিনটি (৩০, ৩১, ৩২) ‘আমর-এর সানাদ কতিপয় সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে যারা لمس (লামস্)-কে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যে আসারগুলো মারফূ‘র হুকুম রাখে না। তাদের এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অভিমতের অবকাশ রয়েছে। আর তারা আল্লাহ তা‘আলার উক্তি أَوْلَا مَسْتُمُ النِّسَآءَ থেকে গ্রহণ করে আয়াতের বুঝ অনুপাতে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অথচ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে স্ত্রী চুম্বন ও স্পর্শকরণের মাধ্যমে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যেমনটি পূর্বে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসে অতিবাহিত হলো। আর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাসঙ্গিক দলীল যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আয়াতে কারীমার لمس (লামস্) দ্বারা উদ্দেশ্য স্ত্রী সঙ্গম। ইবনু ‘আব্বাস এবং ‘আলী (রাঃ)-এর মতো সাহাবী আয়াতের এ তাফসীরই করেছেন। অতএব সুস্পষ্ট সহীহ মারফূ‘ হাদীসের প্রতি ‘আমল করাই অত্যাবশ্যক এবং আয়াতে لمس (লামস্) এর সহীহ তাফসীর جماع (স্ত্রী সহবাস) হওয়ার বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা উচিত হবে না। কেননা সহীহ মারফূ‘ হাদীসের মোকাবেলায় সাহাবীর উক্তি দলীল হিসেবে গৃহীত হতে পারে না।