পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৩-[২৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীকে চুমু দিতেন, এরপর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন, অথচ উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন না।[1]
ইমাম তিরমিযী বলেছেন, আমাদের হাদীসবেত্তাদের মতে কোন অবস্থাতেই ’উরওয়ার সানাদ ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে, এমনকি ইবরাহীম আত্ তায়মী (রহঃ)-এর সানাদও ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে সহীহ হতে পারে না।
আবূ দাঊদ বলেছেন, এ হাদীসটি মুরসাল। কারণ ইবরাহীম আত্ তায়মী (রহঃ) ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে শুনেননি।
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ بَعْضَ أَزْوَاجِهِ ثُمَّ يُصَلِّي وَلَا يَتَوَضَّأُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا يَصِحُّ عِنْدَ أَصْحَابِنَا بِحَالٍ إِسْنَادُ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَأَيْضًا إِسْنَادُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْهَا وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا مُرْسل وَإِبْرَاهِيم التَّيْمِيّ لم يسمع من عَائِشَة
ব্যাখ্যা: (قَوْله وَلَا يَتَوَضَّأُ) এ হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, চুম্বন দ্বারা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গ হয় না। যদিও তা শুধু স্পর্শের উপর স্তরের এবং সচরাচর তা কামভাব থেকেই হয়ে থাকে। আর এটিই হলো মূলনীতি যেটির নির্ধারক হলো এ হাদীসটি। এটিই আমাদের নিকট বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য অভিমত যার স্বপক্ষে আরো অনেক দলীল রয়েছে।
* তন্মধ্যে প্রথমটি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বুখারী মুসলিমে বর্ণিত হাদীস। তিনি বলেনঃ
كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُوْل اللهِ ﷺ وَرِجْلَاىَّ فِىْ قِبْلَتِه فَإِذَا سَجَدَ عَمَرَنِىْ فَقَبَضْتُ رِجْدَىَ – الحديث
অর্থাৎ- আমি (সালাতরত অবস্থায়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে থাকতাম আর আমার পদদ্বয় তাঁর ক্বিবলার দিকে থাকত। ফলে যখন তিনি সিজদায় যেতেন তখন আমায় গুতো মারলে আমি পদদ্বয় গুটিয়ে নিতাম।
তবে ইবনু হাজার (রহঃ) ফাতহুল বারীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর এ হাদীসের ব্যাপারে তা পর্দার আড়ালে হওয়া বা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকার মর্মে যে অজুহাত পেশ করেছেন তা শুধু শুধু কষ্ট করা এবং বাহ্যিকের বিপরীত। কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খাস হওয়ার বিষয়টি দলীল ছাড়া সাব্যস্ত হবে না। আর আবরণ বা পর্দার অন্তরালে হওয়ার বিষয়টি কেবলমাত্র ইমামের পক্ষপাতিত্বকারী ব্যক্তিই কল্পনা করতে পারে।
২য়টি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে নাসায়ীতে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হাদীস, তিনি বলেনঃ
إِنَّ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَيُصَلِّىْ، وَإِنِّىْ لَمُعْتَرِضَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ اِعْتَرَاضِ الْجَنَازَةِ، حَتّى إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوْتَرَ مَسَّنِىَ بِرِجْلِه.
অর্থাৎ- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন, আর আমি তার সামনে জানাযার মতো লম্বা হয়ে পড়ে থাকতাম। অতঃপর যখন তিনি বিজোড় করার (সিজদা্) ইচ্ছা করতেন তখন আমাকে পা দ্বারা ইঙ্গিত বা স্পর্শ করতেন।
তৃতীয়তঃ
فَقَّدْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ لَيْلَةً مِّنَ الْفِرَاشِ فَالْتَمَسَتْهُ، فَوَضَعْتُ يَدَىَّ عَلى قَدَمَيْهِ وَهُوَ فِى الْمَسْجِدِ وَهُمَا مَنْصُوْبَتَانِ- الحديث
অর্থাৎ- আমি একরাত্রে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিছানা থেকে হারিয়ে ফেললাম। পরে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে তার খাড়া পদদ্বয়ের উপরিভাগে আমার হাত পড়লো। এমতাবস্থায় তিনি মসজিদে অবস্থান করছেন।