পরিচ্ছেদঃ
১৭৮। যে ব্যাক্তি তার ভাইকে কোন গুনাহের কারণে ভৎসনা করবে, সে ব্যাক্তি সে কর্ম না করা পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না।
হাদীসটি জাল।
এটিকে ইমাম তিরমিযী (৩/৩১৮), ইবনু আবিদ-দুনিয়া “যাম্মুল গীবা” গ্রন্থে, ইবনু আদী (২/২৯৬) ও খাতীবুল বাগদাদী (২/৩৩৯-৩৩০) মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। এটির সনদ মুত্তাসিল নয়। খালিদ ইবনু মি’দান মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে পাননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাহলে কীভাবে এটি হাসান। এ মুহাম্মাদ ইবনু হাসানকে ইবনু মাঈন ও আবু দাউদ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন, যেমনটি যাহাবীর “আল-মীযান" গ্রন্থে এসেছে। অতঃপর তিনি এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
এ কারণেই সাগানী তার "আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (পৃঃ ৬) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তার পূর্বে ইবনুল জাওযী (৩/৮২) ইবনু আবিদ-দুনিয়ার সূত্রে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। মুহাম্মাদ ইবনু হাসান মিথ্যুক।
সুয়ূতী-“আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৯৩) তার সমালোচনা করে বলেছেন যে, এটি তিরমিযী বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি হাসান গারীব এবং তার শাহেদ রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার শাহেদটি মারফু নয়। তবুও এটির সনদটি দুর্বল সালেহ্ ইবনু বাশীর আল-মুররীর কারণে। তিনি দুর্বল যেমনভাবে “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। এটি শাহেদ হওয়ার যোগ্য নয় দুর্বল এবং মারফু না হওয়ার কারণে।
এছাড়া মারফূ’ হিসাবেও শাহেদ এসেছে, কিন্তু সেটিও দুর্বল। দেখুন “মিশকাত” গ্রন্থের শেষে (৩য় খন্ড)।
من عير أخاه بذنب لم يمت حتى يعمله موضوع - أخرجه الترمذي (3 / 318) وابن أبي الدنيا في " ذم الغيبة " وابن عدي (296 / 2) والخطيب في " تاريخه " (2 / 339 - 340) من طريق محمد بن الحسن بن أبي يزيد الهمداني عن ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن معاذ بن جبل مرفوعا، وقال الترمذي: هذا حديث حسن غريب، وليس إسناده بمتصل، وخالد بن معدان لم يدرك معاذ بن جبل قلت: أنى له الحسن إذن؟ ! فإنه مع هذا الانقطاع فيه محمد بن الحسن هذا، كذبه ابن معين وأبو داود كما في " الميزان " ثم ساق له هذا الحديث، ولهذا أورده الصغاني في " الموضوعات " (ص 6) ومن قبله ابن الجوزي (3 / 82) ذكره من طريق ابن أبى الدنيا ثم قال: لا يصح محمد بن الحسن كذاب، وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (2 / 293) بقوله: قلت: أخرجه الترمذي وقال: هذا حديث حسن غريب، وله شاهد قلت: ثم ذكر الشاهد وهو من طريق الحسن قال: كانوا يقولون: " من رمى أخاه بذنب تاب إلى الله منه، لم يمت حتى يبتليه الله به "، وهو مع أنه ليس مرفوعا إليه صلى الله عليه وسلم، فإن في سنده صالح بن بشير المري، وهو ضعيف كما في " التقريب " فلا يصح شاهدا لضعفه وعدم رفعه، وقد رواه عبد الله بن أحمد في " زوائد الزهد " (ص 281) قال أخبرت عن سيار حدثنا صالح المري قال: سمعت الحسن يقول: فذكره، وله شاهد آخر مرفوع ولكنه ضعيف فانظر أجوبة ابن حجر على القزويني مع مقدمتي لها المنشورة في آخر " المشكاة " بتحقيقنا (ج 3 ص ح)