পরিচ্ছেদঃ
১৬১। আমি আরবী ভাষী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতিদের ভাষা আরবী।
হাদীসটি জাল।
তাবারানী "আল-মুজামুল আওসাত" গ্রন্থে হাদীসটি (২/২৮৫/১/৯৩০১) উল্লেখ করেছেন। তার সূত্রে আব্দুল আযীয ইবনু ইমরান রয়েছেন, তিনি তার শাইখ । শিব্ল ইবনু ’আলা হতে ... বর্ণনা করেছেন। তাবারানী বলেনঃ আব্দুল আযীয এটিকে শিবল হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
সুয়ূতী এটিকে পূর্বে উল্লেখিত হাদীসটির শাহেদ হিসাবে "আল-লাআলী" (১/৪৪২) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেন, যাহাবী "আল-মুগনী" গ্রন্থে বলেছেনঃ শিবল সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ তার কতিপয় মুনকার রয়েছে। হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (১০/৫২-৫৩) এটিকে উল্লেখ করে বলেছেনঃ শিবল হতে বর্ণনাকারী আব্দুল আযীয মাতরুক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
হাফিয ইরাকী “আল-মুহাজ্জা” (১/৫৬) গ্রন্থে বলেনঃ আব্দুল আযীয মাতরূক। নাসাঈ ও অন্যরাও এ কথা বলেছেন। তার সম্পর্কে বুখারী বলেনঃ لا يكتب حديثه তার হাদীস লিখা যাবে না। অতএব হাদীসটি সঠিক নয়।
ইবনু আররাক “তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২০৯) উক্ত বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। হাদীসটি বাতিল হওয়ার আরো প্রমাণ এই যে, এর মধ্যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক আরবী হওয়ার অহংকার ফুটে উঠেছে। যা শরীয়াতের মধ্যে দুর্বল বিষয়। কারণ আল্লাহ্ বলেনঃ إن أكرمكم عند الله أتقاكم যে তোমাদের মধ্যে বেশি মুত্তাকী সেই তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ব্যক্তি" (সূরা হুজুরাতঃ ১৩)।
এছাড়া সহীহ্ হাদীসে এসেছে, “কোন আরবের অনারবের উপর প্রাধান্য নেই ... একমাত্র তাকওয়া ব্যতীত।" এটি ইমাম আহমাদ (৫/৪১১) সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। (সিলসিলাতুস সাহীহা হাঃ নং ২৭০০)
أنا عربي، والقرآن عربي، ولسان أهل الجنة عربي موضوع - أخرجه الطبراني في " الأوسط " (2 / 285 / 1 / 9301) قال حدثنا مسعدة بن سعد حدثنا إبراهيم بن المنذر حدثنا عبد العزيز بن عمران حدثنا شبل بن العلاء عن أبيه عن جده عن أبي هريرة مرفوعا، وقال: لم يروه عن شبل إلا عبد العزيز ابن عمران وقد ساقه السيوطي في " اللآليء " (1 / 442) شاهدا للحديث الذي قبله ثم عقبه بقوله: قال الذهبي في " المغني ": شبل بن العلاء بن عبد الرحمن، قال ابن عدي: له مناكير قلت: وأعله الهيثمي في " المجمع " (10 / 52 - 53) بالراوي عنه فقال: وفيه عبد العزيز بن عمران وهو متروك قلت: وقال ابن معين فيه: ليس بثقة، فالحمل في هذا الحديث عليه أولى، ولهذا قال الحافظ العراقي في " المحجة " (56 / 1) : لكن عبد العزيز بن عمران الزهري متروك قاله النسائي وغيره، وقال البخاري: لا يكتب حديثه، وعلى هذا فلا يصح هذا الحديث وأقره ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (209) ومما يدل على بطلان نسبة هذا الحديث إليه صلى الله عليه وسلم أن فيه افتخاره صلى الله عليه وسلم بعروبته وهذا شيء غريب في الشرع الإسلامي لا يلتئم مع قوله تعالى: (إن أكرمكم عند الله أتقاكم) وقوله صلى الله عليه وسلم: " لا فضل لعربي على عجمي ... إلا بالتقوى " رواه أحمد (5 / 411) بسند صحيح كما قال ابن تيمية في " الاقتضاء " (ص 69) ولا مع نهيه صلى الله عليه وسلم عن الافتخار بالآباء وهو قوله صلى الله عليه وسلم: " إن الله عز وجل أذهب عنكم عبية الجاهلية وفخرها بالآباء، الناس بنوآدم، وآدم من تراب، مؤمن تقي وفاجر شقي، لينتهين أقوام يفتخرون برجال إنما هم فحم من فحم جهنم، أو ليكونن أهون على الله من الجعلان التي تدفع النتن بأفواها رواه أبو داود والترمذي وحسنه وصححه ابن تيمية (ص 35، 69) وهو مخرج في " غاية المرام " (312) فإذا كانت هذه توجيهاته صلى الله عليه وسلم لأمته فكيف يعقل أن يخالفهم إلى ما نهاهم عنه؟ ! ومن أحاديث ابن عمران هذه التي تدل على حاله! الحديث الآتي