পরিচ্ছেদঃ ১৭. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হাজের জন্য ইহরাম বাধা জায়িয, একত্রে উমরাহ ও হাজের ইহরাম বাধাও জায়িয এবং কিরান হাজ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৮২৭-(১৩৬/১২১৩) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমূহ (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইফরাদ হজ্জের ইহরাম বেঁধে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে (মক্কার দিকে) অগ্রসর হলাম আর আয়িশাহ্ (রাযিঃ) উমরার ইহরাম বেঁধে আসলেন। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলাম, আয়িশাহ (রাযিঃ) এর মাসিক ঋতু শুরু হল। অবশেষে আমরা মক্কায় (মক্কায়) পৌছে কাবাহ্ ঘর তওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওয়াহ পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করলাম। আমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, কী প্রকারে ইহরাম খোলা হবে? তিনি বললেন, “সম্পূর্ণরূপে ইহরামমুক্ত হওয়া।" অতএব আমরা স্ত্রী যৌন সঙ্গম করলাম, সুগন্ধি ব্যবহার করলাম এবং সাধারণ পোশাক পরিধান করলাম। তখন আরাফাহ দিবস ও আমাদের মাঝে আর মাত্র চার দিনের ব্যবধান ছিল।
অতঃপর তালবিয়াহ দিবসে (৮ই যিলহাজ্জ) আমরা পুনরায় ইহরাম বাঁধলাম। এদিকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশাহ (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে ক্ৰন্দনরত অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী হয়েছে? আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেন, ব্যাপার এই যে, আমার হায়য দেখা দিয়েছে। লোকেরা ইহরাম খুলেছে কিন্তু আমি ইহরামমুক্ত হতে পারিনি এবং বায়তুল্লাহরও তওয়াফ করতে পারিনি, আর এখন লোকেরা হাজ্জের (হজ্জের/হজের) উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা এমন একটি ব্যাপার যা আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ) এর কন্যা সন্তানদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন। অতএব তুমি গোসল কর এবং হাজ্জের ইহরাম বাঁধ। তিনি তাই করলেন এবং হাজ্জের স্থানসমূহে অবস্থান করলেন।
অতঃপর তিনি পবিত্র হলেন, কা’বাহ ঘর তওয়াফ করলেন এবং সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখন তোমার হাজ্জ (হজ্জ/হজ) ও উমরাহ উভয়টিই পূর্ণ হল। আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার অবস্থা এই যে, হাজ্জ (হজ্জ/হজ) না করা পর্যন্ত আমি (উমরার জন্য) বায়তুল্লাহ এর ত্বওয়াফ (তাওয়াফ/তওয়াফ) করতে পারিনি, কিন্তু হাজ্জ (হজ্জ/হজ) আদায় করে নিয়েছি। তিনি বললেন, হে “আবদুর রহমান! তাকে নিয়ে চলে যাও এবং তান’ঈম থেকে তাকে উমরাহ করাও। এটা ছিল হাসবার রাতের ঘটনা। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৮০৪, ইসলামীক সেন্টার ২৮০২)
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، جَمِيعًا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، - عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، - رضى الله عنه - أَنَّهُ قَالَ أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَجٍّ مُفْرَدٍ وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ - قَالَ - فَقُلْنَا حِلُّ مَاذَا قَالَ " الْحِلُّ كُلُّهُ " . فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ أَرْبَعُ لَيَالٍ ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ " مَا شَانُكِ " . قَالَتْ شَانِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الآنَ . فَقَالَ " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ " . فَفَعَلَتْ وَوَقَفَتِ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهَرَتْ طَافَتْ بِالْكَعْبَةِ وَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ " قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا " . فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حَتَّى حَجَجْتُ . قَالَ " فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ " . وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ .
Jabir (Allah be pleased with him) said:
We, in the state of lhram, came with the Messenger of Allah (ﷺ) for Hajj Mufrad (with the aim of Hajj only), and 'A'isha set out for Umra, and when we reached Sarif, she (Hadrat A'isha) entered in the state of monthly period; we proceeded on till we reached (Mecca) and circumambulated the Ka'ba and ran between (al-Safa) and al-Marwa; and the Messenger of Allah (ﷺ) commanded that one who amongst us had no sacrificial animal with him should put off Ihram. We said: What does this "putting off" imply? He said: Getting out completely from the state of lhram, (so we put off Ihram), and we turned to our wives and applied perfume and put on our clothes. and we were at a four night's distance from 'Arafa. And we again put on Ihram on the day of Tarwiya (8th of Dhu'l-Hijja). The Messenger of Allah (ﷺ) came to 'A'isha (Allah be pleased with her) and found her weeping, and said: What is the matter with you? She said: The matter is that I have entered in the monthly period, and the people had put off lhram, but I did not and I did not circumambulate the House, and the people are going for Hajj now (but I can't go), whereupon he said: It is the matter which Allah has ordained for the daughters of Adam, so now take a bath and put on Ihram for Hajj. She ('A'isha) did accordingly, and stayed at the places of staying till the monthly period was over. She then circumambulated the House, and (ran between) al-Safa and al-Marwa. He (the Holy Prophet) then said: Now both your Hajj and 'Umra are complete, whereupon she said: I feel in my mind that I did not circumambulate the House till I performed Hajj (I missed the circumambulation of 'Umra). Thereupon he (Allah's Apostle) said: 'Abd al-Rahman, take her to Tan'im (so as to enable her) to perform Umra (separately), and it was the night at Hasba.