পরিচ্ছেদঃ ৬. আবাসে দু' ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায়
১৫১৬-(৫২/৭০৬) আহমাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ..... মুআয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা তাবুক অভিযানে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। (এ সফরে) তিনি যুহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশার সালাত একসাথে একই ওয়াক্তে আদায় করতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৫০১, ইসলামীক সেন্টার ১৫১০)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জোহর ও আসরের নামাজ এবং মাগরিব ও এশার নামাজ অগ্রিম এবং বিলম্বের সহিত একত্রিত করে পড়া বৈধ বা জায়েজ।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম একটি সহজ ও উদার ধর্ম। তাই এই ধর্মে কোনো প্রকারের জটিলতা বা অসুবিধা এবং কষ্টের বিষয় নেই। এই জন্য প্রকৃত ইসলাম ধর্মে কতকগুলি নামাজ একত্রিত করে পড়ার বিধান এসেছে।
৩। এই হাদীসটির মধ্যে এবং আল্লাহর বাণী:
فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡکُرُوا اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِکُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ﴿۱۰۳﴾
ভাবার্থের অনুবাদ: “নিশ্চয় নির্ধারিত সময়ে ঈমানদার মুসলিমগণের উপর নির্দিষ্ট নামাজ পড়া ফরজ বা অপরিহার্য করা হয়েছে”।
(সূরা আন্ নিসা, আয়াত নং ১০৩ এর অংশবিশেষ)।
এর মধ্যে কোনো প্রকারের অসঙ্গতি বা পরস্পর বিরোধিতা নেই। কেননা নামাজ একত্রিত করে পড়ার বিধানটি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবস্থার জন্য প্রযোজ্য, সাধারণ অবস্থার জন্য নয়। এবং সেই ব্যক্তির জন্যও নয় যে ব্যক্তি অকারণে নামাজ একত্রিত করে পড়ার অভ্যাসে অভ্যাসিত।
باب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَامِرٍ عَنْ مُعَاذٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَكَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا .
Mu'adh reported:
We set out with the Messenger of Allah (ﷺ) on the Tabuk expedition, and he observed the noon and afternoon prayers together and the sunset and 'Isha' prayers together.