পরিচ্ছেদঃ ৩১. দুগ্ধপোষ্য শিশুর প্রস্রাবের হুকুম এবং তা ধোয়ার পদ্ধতি।
৫৪৯-(১০১/২৮৬) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে শিশুদেরকে আনা হতো। তিনি তাদের জন্যে বারাকাত ও কল্যাণের দু’আ করতেন এবং ’তাহনীক (কিছু চিবিয়ে মুখে ঢুকিয়ে দিতেন) করতেন। একদিন একটি শিশুকে আনা হল, (তিনি তাকে কোলে তুলে নিলেন) শিশুটি তার কোলে প্রস্রাব করে দিল, পরে তিনি পানি চেয়ে নিলেন এবং প্রস্রাবের উপর পানির ছিটা দিলেন, আর তা ধুলেন না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৫৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৫৬৯)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
ছেলে শিশুর পেশাবের হুকুম
অত্র হাদীসে বর্ণিত ছেলে শিশুর পেশাবের হুকুম যতক্ষণ শুধু মায়ের দুধ খায় অন্য কিছু দ্বারা জীবন নির্বাহ করে না তখন পর্যন্ত কার্যকর হবে। যদি মায়ের দুধের সাথে অন্য খাবারও গ্রহণ করে তখন আর এ হুকুমের আওতায় আসবে না। মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে, 'সে তখনো খাবার খাওয়ার মতো প্রাপ্ত বয়স্ক হয় হাদীসে উল্লিখিত ‘নম্বহ'- এর অর্থ এখানে অধিকাংশ ফকীহ পানি ছিটিয়ে দেয়া বলেছেন। অবশ্য ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ এখানেও ধোয়ার অর্থই নিয়েছেন। তবে বিশুদ্ধ হচ্ছে পানি ছিটিয়ে দেয়া অর্থই; কারণ হাদীসের অন্যান্য শব্দে স্পষ্টভাবে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা ধুয়ে ফেলেননি।'
তাহনীকের হুকুম
ছোট বাচ্চাদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আনা হতো সাধারণত 'তাহনীক করার জন্য। তাহনীক হচ্ছে বাচ্চাদের মুখে খেজুর ইত্যাদি চিবিয়ে দেয়া। অনেক আলেমের মতে যা কেবল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য খাস। কারণ, অন্য কারো মুখ ভাইরাসমুক্ত হওয়ার প্রমাণ লাগবে। পরবর্তীতে সাহাবী ও তাবেয়ীদের মধ্যে তাহনীকের বহুল প্রচলন ছিল না। যা প্রমাণ করে যে, এটা কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য নির্দিষ্ট। তবে কোনো কোনো আলেম বিভিন্ন নস ও কোনো কোনো তাবেয়ী ও আলেমগণের দ্বারা তাহনীক হওয়ার কারণে তাহনীককে ব্যাপকভাবে অনুমোদন করেন। যদিও বিষয়টি আমার কাছে পছন্দনীয় নয়। এর পরিবর্তে খেজুর পানি দিয়ে নরম করে মুখে দেওয়া যায়।
হাদীসের শিক্ষা
১. ছোট ছেলে শিশুর পেশাবও নাপাক।
২. তবে তা থেকে পাক হওয়ার ব্যাপারে সামান্যতম ছাড় দেখা যাচ্ছে, সেটা হচ্ছে পানি প্রবাহিত করে ধৌত করতে হবে না। পেশাবের জায়গায় বেশ পরিমাণে পানি ছিটিয়ে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে।
৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত সুন্দর চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
৪. বাচ্চার পায়খানা অন্যান্য নাপাকীর মতোই ধৌত করতে হবে।
৫. ময়লার স্থান যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলা উত্তম; যাতে করে ভূলে না যাওয়া হয়।
৬. সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাচ্চাদেরকে দো'আ ও তাহনীকের জন্য নিয়ে আসা; যাতে করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখের পবিত্র লালার বরকত তাদের বাচ্চাদের পেটে প্রবেশ করে।
باب حُكْمِ بَوْلِ الطِّفْلِ الرَّضِيعِ وَكَيْفِيَّةِ غَسْلِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيُبَرِّكُ عَلَيْهِمْ وَيُحَنِّكُهُمْ فَأُتِيَ بِصَبِيٍّ فَبَالَ عَلَيْهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ بَوْلَهُ وَلَمْ يَغْسِلْهُ .
Chapter: The ruling on the urine of a nursing infant and how to wash it
A'isha, the wife of the Apostle (ﷺ) said: Babies were brought to the Messenger of Allah (ﷺ) and he blessed them, and after having chewed (something, e. g. dates or any other sweet thing) he rubbed there with their soft palates. A baby was brought to him and he passed water over him (over his garment), so he asked water to be brought and sprinkled it, but he did not wash it.