হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৭৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. নফল রোযা ভেঙ্গে ফেলা প্রসঙ্গে

৭৩২। উম্মু হানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে আসেন এবং পানীয় আনতে বলেন। তা হতে তিনি নিজে পান করলেন, তারপর উম্মু হানীকে দিলেন এবং তিনিও তা পান করলেন। তারপর উম্মু হানী (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো রোযা রেখেছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নফল রোযা পালনকারী নিজের আমানাতদার। সে ব্যক্তি চাইলে রোযা পূর্ণও করতে পারে আবার ভাঙ্গতেও পারে।

— সহীহ, প্রাগুক্ত

শুবা বলেন, আমি জা’দাকে বললাম আপনি কি উম্মু হানী (রাঃ) হতে সরাসরি এ হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বলেন, না। আবু সালিহ্ ও আমাদের পরিবারের লোকজন উম্মু হানী (রাঃ)-এর মারফতে আমার নিকট তা বর্ণনা করেছেন। হাম্মাদ ইবনু সালামা এই হাদীস সিমাক হতে, তিনি উম্মু হানীর দৌহিত্র হারূন হতে, তিনি উম্মু হানী (রাঃ)-এর সূত্রে। বর্ণনা করেছেন। শুবার রিওয়ায়াতটি অধিক হাসান।

মাহমূদ ইবনু গাইলান আবু দাউদের সূত্রে এটিকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এতে বলেছেন, “রোযা পালনকারী নিজের আমানতদার”। আবু দাউদের সূত্রে মাহমূদ ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারীগণ সংশয়পূর্ণভাবে বর্ণনা করেছেন যে, “রোযাদার ব্যক্তি নিজের উপর ক্ষমতাবান অথবা নিজের আমানাতদার"। শুবা হতেও একাধিক সূত্রে দ্বিধা সহকারে এরকমই বর্ণিত আছে। উম্মু হানী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের সনদ প্রসঙ্গে বিরূপ বক্তব্য আছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্যদের মতে নফল রোযা পালনকারী যদি তা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর কোন কাযা নেই। তবে ইচ্ছা করলে (মুস্তাহাব হিসাবে) সে লোক কাযা আদায় করতে পারে। এ মত সুফিয়ান সাওরী, আহমাদ, ইসহাক ও শাফিঈর।

باب مَا جَاءَ فِي إِفْطَارِ الصَّائِمِ الْمُتَطَوِّعِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ كُنْتُ أَسْمَعُ سِمَاكَ بْنَ حَرْبٍ يَقُولُ أَحَدُ ابْنَىْ أُمِّ هَانِئٍ حَدَّثَنِي فَلَقِيتُ، أَنَا أَفْضَلَهُمَا، وَكَانَ، اسْمُهُ جَعْدَةَ وَكَانَتْ أُمُّ هَانِئٍ جَدَّتَهُ فَحَدَّثَنِي عَنْ جَدَّتِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا فَدَعَى بِشَرَابٍ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَهَا فَشَرِبَتْ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَا إِنِّي كُنْتُ صَائِمَةً ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الصَّائِمُ الْمُتَطَوِّعُ أَمِينُ نَفْسِهِ إِنْ شَاءَ صَامَ وَإِنْ شَاءَ أَفْطَرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لَهُ أَأَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَ لاَ أَخْبَرَنِي أَبُو صَالِحٍ وَأَهْلُنَا عَنْ أُمِّ هَانِئٍ ‏.‏ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ فَقَالَ عَنْ هَارُونَ ابْنِ بِنْتِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ ‏.‏ وَرِوَايَةُ شُعْبَةَ أَحْسَنُ ‏.‏ هَكَذَا حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ عَنْ أَبِي دَاوُدَ فَقَالَ ‏"‏ أَمِينُ نَفْسِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَحَدَّثَنَا غَيْرُ مَحْمُودٍ عَنْ أَبِي دَاوُدَ فَقَالَ ‏"‏ أَمِيرُ نَفْسِهِ أَوْ أَمِينُ نَفْسِهِ ‏"‏ ‏.‏ عَلَى الشَّكِّ وَهَكَذَا رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ شُعْبَةَ ‏"‏ أَمِينُ أَوْ أَمِيرُ نَفْسِهِ ‏"‏ عَلَى الشَّكِّ ‏.‏ قَالَ وَحَدِيثُ أُمِّ هَانِئٍ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الصَّائِمَ الْمُتَطَوِّعَ إِذَا أَفْطَرَ فَلاَ قَضَاءَ عَلَيْهِ إِلاَّ أَنْ يُحِبَّ أَنْ يَقْضِيَهُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏


Simak bin Harb narrated:
"A person from the offspring of Umm Hani narrated to me - I met one of the most virtuous among them, and his name was Ja'dah, and Umm Hani was his grandmother - he narrated to me from his grandmother that the Messenger of Allah entered upon her and asked for some drink, and he drank. Then he offered it to her and she drank it. Then she said: "O Messenger of Allah! I was fasting." So the Messenger of Allah said: "The one fasting a voluntary fast is the trustee for himself; if he wishes he fasts, and if he wishes he breaks." Shu'bah (one of the narrators) said: "I said to him (Ja'dah), 'Did you hear this from Umm Hani?' He said: 'No Abu Salih and our family informed us of it from Umm Hani.'"