পরিচ্ছেদঃ ৪৪. সূর্যগ্রহণের নামায (সালাতুল কুসূফ)
৫৬১। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সূর্যগ্রহণ হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের নিয়ে (জামা’আতে) নামায আদায় করলেন। তিনি অধিক সময় ধরে কিরাআত পাঠ করলেন, তারপর রুকু করলেন এবং দীর্ঘসময় রুকূতে থাকলেন, তারপর মাথা তুললেন (রুকূ’ হতে উঠলেন)। তিনি আবার দীর্ঘ কিরা’আত পাঠ করলেন কিন্তু প্রথমবারের চেয়ে কম লম্বা করলেন, তারপর রুকূতে গেলেন এবং দীর্ঘ সময় রুকূতে থাকলেন, কিন্তু আগের চেয়ে সংক্ষেপে করলেন। তারপর তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলে সিজদাতে গেলেন। তিনি দ্বিতীয় রাক’আতও উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করলেন। —সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১০৭১), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্! এ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, সূর্যগ্রহণের নামায চার রুকু ও চার সিজদায় আদায় করবে। শাফিঈ আরো বলেছেন, প্রথম রাকাআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা আল-বাকারার মতো যে কোন লম্বা সূরা পাঠ করবে। দিনে হলে নীরবে কিরা’আত পাঠ করবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিরা’আত পাঠের পরিমাণ সময় রুকূতে থাকবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে মাথা তুলে দাড়াবে এবং সূরা ফাতিহার পর সূরা আলে-ইমরানের মতো লম্বা সূরা পাঠ করবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিরা’আত পাঠের পরিমাণ সময় রুকূতে থাকবে। তারপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে মাথা তুলবে। তারপর দুটি পূর্ণাঙ্গ সিজদা করবে এবং প্রত্যেক সিজদা্তে রুকূর পরিমাণ সময় থাকবে।
অতঃপর দাড়িয়ে সূরা ফাতিহার পর সূরা আন-নিসার মতো লম্বা সূরা পাঠ করবে, তারপর কিরাআতের মতো লম্বা রুকূ করবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে মাথা তুলে দাড়াবে। তারপর সূরা মায়িদার মতো লম্বা সূরা পাঠ করবে, রুকূও কিরাআতের মতো লম্বা করবে। অতঃপর মাথা তুলবে এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলবে। অতঃপর দুটি সিজদা করে, তাশাহহুদ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করবে।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ وَهِيَ دُونَ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ صَلاَةَ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . قَالَ الشَّافِعِيُّ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ سِرًّا إِنْ كَانَ بِالنَّهَارِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا كَمَا هُوَ وَقَرَأَ أَيْضًا بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ تَامَّتَيْنِ وَيُقِيمُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ نَحْوًا مِمَّا أَقَامَ فِي رُكُوعِهِ ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا ثُمَّ قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ وَسَلَّمَ .
Aishah narrated:
"The sun was eclipsed during the time of the Messenger of Allah, so the Messenger of Allah led the people in prayer. He recited a lengthy recitation, then he bowed a lengthy bowing, then he raised his head and recited a lengthy recitation that was less than the first. Then he bowed a lengthy bowing that was less than the first. Then he raised his head and prostrated. Then he did (similar to) that in the second Rak'ah."