হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৫৯৩

পরিচ্ছেদঃ ২১৪৬. হাবশায় হিজরত। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের হিজরাতের স্থান আমাকে (স্বপ্নে) দেখান হয়েছে। যেখানে রয়েছে অনেক বৃক্ষ আর সে স্থানটি ছিল দুই পাহাড়ের মাঝখানে। তখন হিজরাতকারীগণ মদিনায় হিজরাত করলেন এবং যারা এর আগে হাবশাহ্য় হিজরাত করেছিলেন তারাও মদিনায় ফিরে আসলেন। এ সম্পর্কে আবূ মূসা ও আসমা (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে।

৩৫৯৩। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ আল-জু’ফী (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু খিয়ার (রহঃ) উরওয়া ইবনু যুবায়েরকে বলেন যে, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা এবং আবদুর রহমান ইবনু আসওয়াদ ইবনু আবদ ইয়াগুস (রাঃ) উভয়ই তাকে বললেন, (হে উবায়দুল্লাহ)! তুমি তোমার মামা উসমান (রাঃ) এর সাথে তার (বৈপিত্রেয়) ভাই ওয়ালীদ ইবনু উকবা সম্পর্কে কোন আলাপ-আলোচনা করছ না কেন? জনগণ তার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করছে। উবায়দুল্লাহ বলেন, উসমান (রাঃ) যখন সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসছিলেন তখন আমি তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম এবং তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললাম, আপনার সাথে আমার কথা বলার প্রয়োজন আছে এবং তা আপনার মঙ্গলার্থেই। তিনি বললেন, ওহে, আমি তোমা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করছি। আমি তখন ফিরে আসলাম এবং যখন সালাত (নামায/নামাজ) সমাপ্ত করলাম, তখন মিসওয়ার ও ইবনু আবদ ইয়াগুস (রাঃ)-এর নিকট যেয়ে বললাম, এবং উসমান (রাঃ) কে আমি যা বলেছি এবং তিনি যে উত্তর দিয়েছেন তা উভয়কে শোনালাম।

তাঁরা বললেন, তোমার উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল তা তুমি আদায় করেছ। আমি তাদের নিকট বসাই আছি এ সময় উসমান (রাঃ) এর পক্ষ থেকে একজন দূত আমাকে ডেকে নেয়ার জন্য আসলেন। তারা দু’জন আমাকে বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। আমি চললাম এবং উসমান (রাঃ) এর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি উপদেশ যা তুমি কিছুক্ষন পূর্বে বলতে চেয়েছিলে? তখন আমি কালিমা শাহাদত পাঠ করে (তাঁকে উদ্দেশ্য করে) বললাম, আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর আপনি ঐ দলেরই অন্তর্ভুক্ত যারা আল্লাহ্ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন, আপনি তাঁর উপর ঈমান এনেছেন এবং প্রথম দু’হিজরতে (মদিনা ও হাবশা) আপনি অংশ গ্রহণ করেছেন, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর স্বভাব-চরিত্র স্বচক্ষে দেখেছেন।

জনসাধারণ ওয়ালিদ ইবনু উকবার ব্যাপারে অনেক সমালোচনা করছে, আপনার কর্তব্য তাঁর উপর বিধান দন্ড জারি করা। উসমান (রাঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ভাতিজা, তুমি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পেয়েছ? আমি বললাম, না, পাইনি। তবে তাঁর বিষয় আমার নিকট এমনভাবে নিরঙ্কুশ পৌঁছেছে যেমনভাবে কুমারী মেয়েদের নিকট পর্দার অন্তরালে সংবাদ পৌঁছে থকে। উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, উসমান (রাঃ) কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন, এবং বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আমিও ছিলাম। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যা সহ প্রেরণ করা হয়েছিল আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। ইসলামের প্রথম যুগের দু’হিজরতে অংশ গ্রহণ করেছি যেমন তুমি বলছ। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়’আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করিনি। তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। এমতাবস্থায় তাঁর ওফাত হয়ে যায়।

তারপর আল্লাহ্ তা’আলা আবূ বকর (রাঃ)-কে খলীফা নিযুক্ত করলেন। আল্লাহর কসম আমি তাঁরও নাফরমানী করিনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। অতঃপর উমর (রাঃ) খলীফা মনোনীত হলেন। আল্লাহর কসম, আমি তাঁরও অবাধ্য হইনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। তিনিও ওফাত প্রাপ্ত হলেন এবং তারপর আমাকে খলীফা নিযুক্ত করা হল। আমার উপর তাদের বাধ্য থাকার যেরূপ হক ছিল তোমাদের উপর তাদের ন্যায় আমার প্রতি বাধ্য থাকার কি কোন হক নাই? উবায়দুল্লাহ বললেন, হাঁ। অবশ্যই হক আছে। উসমান (রাঃ) বললেন, তাহলে এসব কথাবার্তা কি, তোমাদের পক্ষ থেকে আমার নিকট আসছে? আর ওয়ালীদ ইবনু উকবা সম্পর্কে তুমি যা বললে, সে ব্যাপারে আমি অতিসত্বর সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব ইনশাল্লাহ। অতঃপর তিনি ওয়ালীদকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করার রায় প্রদান করলেন এবং ইহা কর্যকরী করার জন্য আলী (রাঃ) কে আদেশ করলেন। তৎকালে অপরাধীদেরকে শাস্তি প্রদানের দায়িত্বে আলী (রাঃ) নিযুক্ত ছিলেন। ইউনুস এবং যুহরির ভাতিজা যুহরী সূত্রে যে বর্ণনা করেন তাতে রয়েছে; ’তোমাদের উপর আমার কি হক নেই যেমনটি হক ছিল তাদের জন্য।’

اب هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ وَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لاَبَتَيْنِ». فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قِبَلَ الْمَدِينَةِ، وَرَجَعَ عَامَّةُ مَنْ كَانَ هَاجَرَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ. فِيهِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَأَسْمَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ قَالاَ لَهُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ خَالَكَ عُثْمَانَ فِي أَخِيهِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ وَكَانَ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيمَا فَعَلَ بِهِ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَانْتَصَبْتُ لِعُثْمَانَ حِينَ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً وَهْىَ نَصِيحَةٌ‏.‏ فَقَالَ أَيُّهَا الْمَرْءُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ، فَانْصَرَفْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الصَّلاَةَ جَلَسْتُ إِلَى الْمِسْوَرِ وَإِلَى ابْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، فَحَدَّثْتُهُمَا بِالَّذِي قُلْتُ لِعُثْمَانَ وَقَالَ لِي‏.‏ فَقَالاَ قَدْ قَضَيْتَ الَّذِي كَانَ عَلَيْكَ‏.‏ فَبَيْنَمَا أَنَا جَالِسٌ مَعَهُمَا، إِذْ جَاءَنِي رَسُولُ عُثْمَانَ، فَقَالاَ لِي قَدِ ابْتَلاَكَ اللَّهُ‏.‏ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ مَا نَصِيحَتُكَ الَّتِي ذَكَرْتَ آنِفًا قَالَ فَتَشَهَّدْتُ ثُمَّ قُلْتُ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَكُنْتَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَآمَنْتَ بِهِ، وَهَاجَرْتَ الْهِجْرَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ، وَصَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ، وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي شَأْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ، فَحَقٌّ عَلَيْكَ أَنْ تُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدَّ‏.‏ فَقَالَ لِي يَا ابْنَ أَخِي أَدْرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قُلْتُ لاَ، وَلَكِنْ قَدْ خَلَصَ إِلَىَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا خَلَصَ إِلَى الْعَذْرَاءِ فِي سِتْرِهَا‏.‏ قَالَ فَتَشَهَّدَ عُثْمَانُ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم‏.‏ وَهَاجَرْتُ الْهِجْرَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ كَمَا قُلْتَ، وَصَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَايَعْتُهُ، وَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، ثُمَّ اسْتَخْلَفَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفَ عُمَرُ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ، أَفَلَيْسَ لِي عَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِي كَانَ لَهُمْ عَلَىَّ قَالَ بَلَى‏.‏ قَالَ فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَبْلُغُنِي عَنْكُمْ فَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ، فَسَنَأْخُذُ فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِالْحَقِّ قَالَ فَجَلَدَ الْوَلِيدَ أَرْبَعِينَ جَلْدَةً، وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يَجْلِدَهُ، وَكَانَ هُوَ يَجْلِدُهُ‏.‏ وَقَالَ يُونُسُ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَفَلَيْسَ لِي عَلَيْكُمْ مِنَ الْحَقِّ مِثْلُ الَّذِي كَانَ لَهُمْ‏.‏


Narrated 'Ubaidullah bin `Adi bin Al-Khiyar:

That Al-Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin 'Abu Yaghuth had said to him, "What prevents you from speaking to your uncle `Uthman regarding his brother Al-Walid bin `Uqba?" The people were speaking against the latter for what he had done. 'Ubaidullah said, "So I kept waiting for `Uthman, and when he went out for the prayer, I said to him, 'I have got something to say to you as a piece of advice.' `Uthman said, 'O man! I seek Refuge with Allah from you. So I went away. When I finished my prayer, I sat with Al-Miswar and Ibn 'Abu Yaghutb and talked to both of them of what I had said to `Uthman and what he had said to me. They said, 'You have done your duty.' So while I was sitting with them. `Uthman's Messenger came to me. They said, 'Allah has put you to trial." I set out and when I reached `Uthman, he said, 'What is your advice which you mentioned a while ago?' I recited Tashahhud and added, 'Allah has sent Muhammad and has revealed the Holy Book (i.e. Qur'an) to him. You (O `Uthman!) were amongst those who responded to the call of Allah and His Apostle and had faith in him. And you took part in the first two migrations (to Ethiopia and to Medina), and you enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and learned his traditions and advice. Now the people are talking much about Al-Walid bin `Uqba and so it is your duty to impose on him the legal punishment.' `Uthman then said to me, 'O my nephew! Did you ever meet Allah's Messenger (ﷺ) ?' I said, 'No, but his knowledge has reached me as it has reached the virgin in her seclusion.' `Uthman then recited Tashahhud and said, 'No doubt, Allah has sent Muhammad with the Truth and has revealed to him His Holy Book (i.e. Qur'an) and I was amongst those who responded to the call of Allah and His Apostle and I had faith in Muhammad's Mission, and I had performed the first two migrations as you have said, and I enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and gave the pledge of allegiance to him. By Allah, I never disobeyed him and never cheated him till Allah caused him to die. Then Allah made Abu Bakr Caliph, and by Allah, I was never disobedient to him, nor did I cheat him. Then `Umar became Caliph, and by Allah, I was never disobedient to him, nor did I cheat him. Then I became Caliph. Have I not then the same rights over you as they had over me?' I replied in the affirmative. `Uthman further said, 'The what are these talks which are reaching me from you? As for what you ha mentioned about Al-Walid bin 'Uqb; Allah willing, I shall give him the leg; punishment justly. Then `Uthman ordered that Al-Walid be flogged fort lashes. He ordered `Ali to flog him an he himself flogged him as well."