হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২১৯০

পরিচ্ছেদঃ ইয়া'জুজ-মা'জুজের প্রাদুর্ভাব।

২১৯০. সাঈদ ইবন আবদুর রহমান মাখযূমী প্রমুখ (রহঃ) ...... যায়নাব বিনত জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিদ্রা থেকে জেগে উঠলেন, তখন তাঁর চেহারা লাল টকটকে হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। তিন বার তিনি এটি পাঠ করলেন এবং বললেনঃ যে বিপথ ঘনিয়ে এসেছে তজ্জন্য দুর্ভাগ্য আরবের। দশ সংখ্যা দেখিয়ে অর্থাৎ তর্জ্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুলের সাথে লাগিয়ে একটি বৃত্ত করে ইশারা করে বললেনঃ ইয়া’জূয মা’জূজের প্রচীরের এতটুকু ফাঁকা হয়ে গেছে আজ। যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাদের মাঝে সালিহীনের (নেক ব্যাক্তি) অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও কি আমাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি পাপকর্মের বিস্তার ঘটে। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৫৩, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফইয়ান (রহঃ) এ হাদীসটি উত্তম বলে মন্তব্য করেছেন। হুমায়দী বর্ণনা করেন, সুফইয়ান ইবন উয়ায়না (রহঃ) বলেছেন, আমি যুহরী (রহঃ)-এর বরাতে এ সনদটিকে চারজন মহিলার কথা সংরক্ষণ করেছিঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামা-হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এরা উভয়ই ছিলেন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাবীবা বা স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর ঔরসে তাদের গর্ভজাত কন্যা, -উম্মু হাবীবা-যায়নাব বিনত জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এরা ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী।

মা’মার প্রমুখ (রহঃ) এ হাদীসটিকে যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি এর সনদে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর উল্লেখ করেন নি। ইবন উয়ায়নার কিছু শাগরিদ হাদীসটিকে ইবন উয়ায়না (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা সনদে উম্মু হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর উল্লেখ করেননি।

باب ما جاء في خروج يأجوج ومأجوج

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ حَبِيبَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، قَالَتِ اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَوْمٍ مُحْمَرًّا وَجْهُهُ وَهُوَ يَقُولُ ‏"‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يُرَدِّدُهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ ‏"‏ وَعَقَدَ عَشْرًا ‏.‏ قَالَتْ زَيْنَبُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَنُهْلَكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ جَوَّدَ سُفْيَانُ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ هَكَذَا رَوَى الْحُمَيْدِيُّ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ وَقَالَ الْحُمَيْدِيُّ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ حَفِظْتُ مِنَ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَرْبَعَ نِسْوَةٍ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ حَبِيبَةَ وَهُمَا رَبِيبَتَا النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ زَوْجَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى مَعْمَرٌ وَغَيْرُهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ حَبِيبَةَ وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ ابْنِ عُيَيْنَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ ‏.‏


Zainab bint Jahsh said:
"One day the Messenger of Allah(s.a.w) awoke from sleep with a flushed red face, and said: 'La Ilahaillallah. He repeated it thrice. 'Woe to the Arabs from the evil drawn near. Today a gap has been made in the wall of Ya'juj and Ma'juj like this.' And he formed ten(with his fingers)." Zainab said: "I said: 'O Messenger of Allah! Shall we be destroyed while they are righteous among us?' He said: 'Yes, when the evil abounds."'