পরিচ্ছেদঃ ১৭১. লি‘আন।
২২৪৭. উসমান ইবন আবূ শায়বা .... আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক জুমু’আর রাতে আমি মসজিদে উপস্থিত ছিলাম। তখন সেখানে জনৈক আনসার প্রবেশ করে এবং বলে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর নিকট কোন অপরিচিত ব্যক্তিকে অবৈধ কর্মে লিপ্ত দেখে, এরপর সে তা ব্যক্ত করে, তবে এজন্য কি তোমরা তাকে (মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে) তার উপর হদ্ (শারী’আতের শাস্তি বিধান) প্রয়োগ করবে? অথবা তাকে (যিনাকারীকে) হত্যা করার অভিযোগে, তাকেও হত্যা করবে? আর যদি সে এ ব্যাপারে চুপ থাকে, তবে সে গযবের উপর চুপ থাকবে। আল্লাহর শপথ! আমি এ ব্যাপারে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করবো।
পরদিন সে ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কোন ব্যক্তিকে অবৈধ কাজে (যিনায়) লিপ্ত অবস্থায় দেখে, আর সে যদি এ সম্পর্কে কিছু বলে, তখন কি তাকে (মিথ্যা দোষারোপ করার অভিযোগে) শাস্তি দেওয়া হবে? অথবা সে যদি তাকে হত্যা করে তবে হত্যার অভিযোগে কিসাস হিসাবে কি তাকেও হত্যা করা হবে? আর সে যদি এ ব্যাপারে চুপ থাকে, তবে সে গযবের উপরে চুপ থাকবে। তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! এ ব্যাপারে কী হুকুম আমাকে জ্ঞাত করুন। এরূপ তিনি দু’আ করতে থাকেন। তখন লি’আন সম্পর্কীয় আয়াতটি নাযিল হয়ঃ ’’যারা তাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে যিনার দোষারোপ করে, আর এ ব্যাপারে তারা নিজেরা ব্যতীত কোন সাক্ষ্যদাতা না থাকে’’ ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
তখন লোকদের মধ্য হতে সে ব্যক্তিকে এ ব্যাপারে পরীক্ষা করা হয়। সে ব্যক্তি ও তার স্ত্রী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হয় এবং একে অপরকে হলফ করিয়ে দোষারোপ করে অভিসম্পাত দিতে থাকে। তখন সে ব্যক্তি চারবার আল্লাহকে সাক্ষী রেখে সাক্ষ্য প্রদান করে যে, সে সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত, এরপর পঞ্চমবারে সে নিজের উপরই অভিসম্পাত করে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়। রাবী বলেন, এরপর সেই মহিলা শপথ করে অভিসম্পাত করতে গেলে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ধমক দিয়ে তা করা হতে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু সে তা মানতে অস্বীকার করে এবং অভিসম্পাত করে। এরপর সে যখন প্রত্যাবর্তন করতে থাকে, তখন তিনি বলেনঃ অবশ্যই সে একটি কৃষ্ণকায় স্থুলদেহী সন্তান প্রসব করবে। (কারণ, যার সাথে সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে এ সন্তান গর্ভে ধারণ করেছে, তার দৈহিক রূপ ও আকার এরূপই ছিল)।
باب فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّا لَلَيْلَةُ جُمْعَةٍ فِي الْمَسْجِدِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَتَكَلَّمَ بِهِ جَلَدْتُمُوهُ أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ فَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ وَاللَّهِ لأَسْأَلَنَّ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَتَكَلَّمَ بِهِ جَلَدْتُمُوهُ أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ أَوْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ . فَقَالَ " اللَّهُمَّ افْتَحْ " . وَجَعَلَ يَدْعُو فَنَزَلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ ( وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) هَذِهِ الآيَةُ فَابْتُلِيَ بِهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ فَجَاءَ هُوَ وَامْرَأَتُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَلاَعَنَا فَشَهِدَ الرَّجُلُ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ لَعَنَ الْخَامِسَةَ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ قَالَ فَذَهَبَتْ لِتَلْتَعِنَ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَهْ " . فَأَبَتْ فَفَعَلَتْ فَلَمَّا أَدْبَرَا قَالَ " لَعَلَّهَا أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا " . فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا .
‘Abd Allah (bin Mas’ud) said “We were in the mosque on the night of a Friday, suddenly a man from the Ansar entered the mosque”. And said “If a man finds a man along with wife and declares (about her adultery) you will flog him. Or if he kills you, you will kill him or if keeps silence he will keep silence in anger. I swear by Allaah, I shall ask the Apostle of Allaah(ﷺ) about it”. On the next day he came to the Apostle of Allaah(ﷺ) and said “If a man finds a man along with wife and declares (about her adultery) you will flog him. Or if he kills you, you will kill him or if keeps silence he will keep silence in anger.” He said “O Allaah, disclose”. He kept on praying until the verses regarding invoking curses (li’an) came down “As for those who accuse their wives but have no witnesses except themselves.” So, the man was first involved in this trial among the people. He and his wife came to the Apostle of Allaah(ﷺ). They invoked curses on each other. The man bore witness before Allaah four times that the thing he said was indeed true. He then invoked curse of Allaah on him for the fifth time if he was a liar. She then wanted to invoke curses of Allaah on him. The Prophet (ﷺ) said “Do not do that. Bust she refused and did so (i.e., invoked curses). When they returned he said “Perhaps she will give birth to a black child with curly hair.