হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২০৫৭

পরিচ্ছেদঃ ১০৪. বয়স্ক ( দুধ পানকারী) ব্যক্তির জন্য যা হারাম হয়।

২০৫৭. আহমাদ ইবন সালিহ্ (রহঃ) .... নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) ও উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নিশ্চই আবূ হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রাবী’আ ইবন আবদি শামস সালেমকে পালক পুত্র হিসাবে লালনপালন করেন এবং তার সাথে তার ভ্রাতুষ্পুত্রী হিনদা বিনতুল ওয়ালীদ ইবন রাবী’আর বিবাহ দেন। আর সে ছিল একজন আনসার মহিলার আযাদকৃত গোলাম। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়িদকে পালক পুত্র হিসাবে লালনপালন করেন। জাহিলিয়াতের যুগের প্রথা ছিল, কাউকে পালক পুত্র হিসাবে লালন-পালন করা হলে লোকেরা তাকে তার সাথে সম্পর্কিত করে ডাকতো এবং সে তার উত্তরাধিকারীও হতো। অতঃপর কুরআনের এই আয়াত নাযিল হলঃ ’’তোমরা তাদের ডাকবে তাদের প্রকৃত পিতার সাথে সম্পর্কিত করে, তারা তোমাদের দীনী ভাই এবং তোমাদের আযাদকৃত গোলাম।’’ কাজেই, তোমরা তাদেরকে তাদের পিতার সহিত সম্পর্কিত করবে। আর যদি কারো পিতৃ পরিচয় জানা না যায়, তবে সে দীনী ভাইও আযাদকৃত হবে।

অতঃপর সাহলা বিনতু সুহাইল ইবন উমার আল্-কুরায়শী আল্-আমিরী যিনি আবূ হুযায়ফার স্ত্রী ছিলেন, আগমন করেন এবং বলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আমরা সালেমকে আমাদের পুত্র হিসাবে গণ্য করি। আর সে আমার সাথে এবং আবূ হুযায়ফার সাথে আমাদের ঘরে (আমাদের সন্তান হিসাবে) লালিত পালিত হয়েছে। আর সে আমাকে একই বস্ত্রের মধ্যে দেখেছে। আর আল্লাহ্ তা’আলা এদের সম্পর্কে যা নাযিল করেছেন, তা আপনি বিশেষভাবে অবগত। এখন তার সম্পর্কে আপনি কী নির্দেশ দেন?

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, তাকে পাঁচবার তোমার দুধ পান করাও তাতে তুমি তার দুধ-মাতা হিসাবে পরিগণিত হবে। অতঃপর তিনি তাকে পাঁচবার দুধ পান করান এবং তিনি তার দুধ মা হিসাবে গণ্য হন। এই কারণেই আয়েশা (রাঃ) তাঁর বোনের ও ভাইয়ের মেয়েদের ও ছেলেদেরকে পাঁচবার দুধ পান করাতে নির্দেশ দিতেন যারা তাকে ভালবাসতেন, যাতে তিনি তাদের সাথে দেখা করতে পারেন।

কিন্তু উম্মে সালামা (রাঃ) ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য স্ত্রীগণ এ বয়সে দুগ্ধ পানকারীগণকে নিজেদের নিকট উপস্থিত হতে বাধা দিতেন, বরং তারা ছোট বেলার দুধ পান করাকেই প্রাধান্য দিতেন (বয়স্ক ব্যক্তির নয়)। আর আমরা আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে বলতাম, আল্লাহর শপথ! আমাদের জানা নেই, সম্ভবত এটা (সালেমের ব্যাপারটি) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরফ হতে বিশেষভাবে অনুমদিত ছিল, যা অন্যদের জন্য নয়।

باب فِيمَنْ حَرَّمَ بِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ كَانَ تَبَنَّى سَالِمًا وَأَنْكَحَهُ ابْنَةَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَهُوَ مَوْلًى لاِمْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْدًا وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلاً فِي الْجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ إِلَيْهِ وَوُرِّثَ مِيرَاثَهُ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى فِي ذَلِكَ ‏(‏ ادْعُوهُمْ لآبَائِهِمْ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ ‏)‏ فَرُدُّوا إِلَى آبَائِهِمْ فَمَنْ لَمْ يُعْلَمْ لَهُ أَبٌ كَانَ مَوْلًى وَأَخًا فِي الدِّينِ فَجَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ ثُمَّ الْعَامِرِيِّ - وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ - فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَرَى سَالِمًا وَلَدًا وَكَانَ يَأْوِي مَعِي وَمَعَ أَبِي حُذَيْفَةَ فِي بَيْتٍ وَاحِدٍ وَيَرَانِي فُضْلاً وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِمْ مَا قَدْ عَلِمْتَ فَكَيْفَ تَرَى فِيهِ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَرْضِعِيهِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَرْضَعَتْهُ خَمْسَ رَضَعَاتٍ فَكَانَ بِمَنْزِلَةِ وَلَدِهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ فَبِذَلِكَ كَانَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - تَأْمُرُ بَنَاتِ أَخَوَاتِهَا وَبَنَاتِ إِخْوَتِهَا أَنْ يُرْضِعْنَ مَنْ أَحَبَّتْ عَائِشَةُ أَنْ يَرَاهَا وَيَدْخُلَ عَلَيْهَا وَإِنْ كَانَ كَبِيرًا خَمْسَ رَضَعَاتٍ ثُمَّ يَدْخُلَ عَلَيْهَا وَأَبَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُدْخِلْنَ عَلَيْهِنَّ بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ حَتَّى يَرْضَعَ فِي الْمَهْدِ وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ وَاللَّهِ مَا نَدْرِي لَعَلَّهَا كَانَتْ رُخْصَةً مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِسَالِمٍ دُونَ النَّاسِ ‏.‏


A’ishah wife of the Prophet(ﷺ) and Umm Salamah said “Abu Hudaifah bin ‘Utbah bin Rabi’ah bin ‘Abd Shams adopted Salim as his son and married him to his niece Hind, daughter of Al Walid bin ‘Utbah bin Rabi’ah. He (Salim) was the freed slave of a woman from the Ansar (the Helpers) as the Apostle of Allaah(ﷺ) adopted Zaid as his son. In pre Islamic days when anyone adopted a man as his son, the people called him by his name and he was given a share from his inheritance. Allaah, the Exalted, revealed about this matter “Call them by (the name of) their fathers, that is juster in the sight of Allaah. And if ye know not their fathers, then (they are) your brethren in the faith and your clients. They were then called by their names of their fathers. A man, whose father was not known, remained under the protection of someone and considered brother in faith. Sahlah daughter of Suhail bin Amr Al Quraishi then came and said Apostle of Allaah(ﷺ), we used to consider Salim(our) son. He dwelled with me and Abu Hudhaifah in the same house, and he saw me in the short clothes, but Allaah the Exalted, has revealed about them what you know, then what is your opinion about him? The Prophet (ﷺ) said give him your breast feed. She gave him five breast feeds. He then became like her foster son. Hence, A’ishah(may Allaah be pleased with her) used to ask the daughters of her sisters and the daughters of her brethren to give him breast feed five times, whom A’ishah wanted to see and who wanted to visit her. Though he might be of age; he then visited her. But Umm Salamah and all other wives of the Prophet (ﷺ) refused to allow anyone to visit them on the basis of such breast feeding unless one was given breast feed during infancy. They told A’ishah by Allaah we do not know whether that was a special concession granted by the Prophet (ﷺ) to Salim exclusive of the people.