হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৭৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৪৭. আল্লাহর বাণীঃ বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তাওরাত আন এবং পাঠ কর। (সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/৯৩)

وَقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُعْطِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ فَعَمِلُوا بِهَا وَأُعْطِيَ أَهْلُ الإِنْجِيلِ الإِنْجِيلَ فَعَمِلُوا بِهِ وَأُعْطِيتُمْ الْقُرْآنَ فَعَمِلْتُمْ بِهِ وَقَالَ أَبُو رَزِينٍ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلاَوَتِهِ يَتَّبِعُونَهُ وَيَعْمَلُونَ بِهِ حَقَّ عَمَلِهِ يُقَالُ يُتْلَى يُقْرَأُ حَسَنُ التِّلاَوَةِ حَسَنُ الْقِرَاءَةِ لِلْقُرْآنِ لاَ يَمَسُّهُ لاَ يَجِدُ طَعْمَهُ وَنَفْعَهُ إِلاَّ مَنْ آمَنَ بِالْقُرْآنِ وَلاَ يَحْمِلُهُ بِحَقِّهِ إِلاَّ الْمُوقِنُ لِقَوْلِهِ تَعَالَى (مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا بِئْسَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللهِ وَاللهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ) وَسَمَّى النَّبِيُّصَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الإِسْلاَمَ وَالإِيمَانَ وَالصَّلاَةَ عَمَلاً قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلاَلٍ أَخْبِرْنِي بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ فِي الإِسْلاَمِ قَالَ مَا عَمِلْتُ عَمَلاً أَرْجَى عِنْدِي أَنِّي لَمْ أَتَطَهَّرْ إِلاَّ صَلَّيْتُ وَسُئِلَ أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ الْجِهَادُ ثُمَّ حَجٌّ مَبْرُورٌ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ তাওরাত ওয়ালাদেরকে তাওরাত দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক ’আমল করল। ইঞ্জিল ওয়ালাদেরকে ইঞ্জিল দেয়া হলে তারাও সে মোতাবেক ’আমল করল। তোমাদেরকে দেয়া হলো কুরআন, সুতরাং তোমরা এ মোতাবেক ’আমল কর।

আবূ রাযীন (রহ.) বলেন يَتْلُونَه -এর অর্থ তাঁর হুকুমকে যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে অনুসরণ করা। আবূ ’আবদুল্লাহ্ (রহ.) বলেন, يُتْلَى অর্থ। يُقْرَأُ পাঠ করা হয়। حَسَنُ التِّلاَوَةِ অর্থাৎ কুরআন সুন্দরভাবে পাঠ করা। لاَ يَمَسُّهُ এর অর্থ কুরআনের স্বাদ ও উপকারিতা কুরআনের বিশ্বাসীদের ছাড়া না পাওয়া। কুরআনের উপর সঠিক আস্থা স্থাপনকারী ছাড়া কেউই তা যথাযথভাবে বহন করতে পারবে না। কেননা, আল্লাহ্ বলেনঃ যাদের উপর তাওরাতের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তা তারা বহন করেনি (অর্থাৎ তারা তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেনি) তাদের দৃষ্টান্ত হল গাধার মত, যে বহু কিতাবের বোঝা বহন করে (কিন্তু তা বুঝে না)। যে সম্প্রদায় আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে, তাদের দৃষ্টান্ত কতইনা নিকৃষ্ট! যালিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সঠিক পথে পরিচালিত করেন না। (সূরাহ আল-জুমু’আহ ৬২/৫)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলাম, ঈমান ও সালাতকে ’আমল নামে আখ্যায়িত করেছেন। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে বললেনঃ ইসলামে থাকা অবস্থায় যেটি দ্বারা তুমি মুক্তির বেশী আশাবাদী, আমাকে তুমি সে ’আমলটি সম্পর্কে জানাও। বিলাল (রাঃ) বললেন, আমার মতে মুক্তির বেশী আশা রাখতে পারি যে ’আমলটি দ্বারা, তা হচ্ছে আমি যখনই ওযু করেছি, তখন সালাত আদায় করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো- কোন্ ’আমলটি সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা, এরপর জিহাদ, এরপর কবূল হওয়া হজ্জ।


৭৫৩৩. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্বের উম্মাতদের তুলনায় তোমাদের অবস্থানকালের দৃষ্টান্ত হচ্ছে, ’আসরের সালাত এবং সূর্যাস্তের মাঝের সময়টুকু। তাওরাতধারীদেরকে তাওরাত দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক ’আমল করল। এ ভাবে দুপুর হয়ে গেল এবং তারাও দুর্বল হয়ে পড়ল। তাদেরকে এক কীরাত করে মজুরী দেয়া হল। তারপর ইঞ্জিল ধারীদেরকে ইঞ্জিল দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক ’আমল করল। এ অবস্থায় ’আসরের সালাত আদায় করা হল। তারাও ক্লান্ত হয়ে গেল। তারপর তাদেরকেও এক কীরাত করে দেয়া হল। শেষে তোমাদেরকে কুরআন দেয়া হয়। তোমরা সে মোতাবেক ’আমল করেছ। এ অবস্থায় সূর্য ডুবে গেল। আর তোমাদেরকে দেয়া হল দু’কীরাত করে। ফলে কিতাবীগণ বলল, এরা তো আমাদের তুলনায় কাজ করল কম, অথচ মজুরী পেল বেশী। এতে আল্লাহ্ বললেন, তোমাদের হকের ব্যাপারে তোমাদের প্রতি কোন যুলুম করা হয়েছে কি? এরা বলবে, না। আল্লাহ্ বললেনঃ এটা আমার অনুগ্রহ, তা আমি যাকে চাই তাকে দিয়ে থাকি। [৫৫৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৫)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {قُلْ فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ فَاتْلُوهَا}

عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّمَا بَقَاؤُكُمْ فِيمَنْ سَلَفَ مِنْ الْأُمَمِ كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ أُوتِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ فَعَمِلُوا بِهَا حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ ثُمَّ عَجَزُوا فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ثُمَّ أُوتِيَ أَهْلُ الإِنْجِيلِ الإِنْجِيلَ فَعَمِلُوا بِهِ حَتَّى صُلِّيَتْ الْعَصْرُ ثُمَّ عَجَزُوا فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ثُمَّ أُوتِيتُمْ الْقُرْآنَ فَعَمِلْتُمْ بِهِ حَتَّى غَرَبَتْ الشَّمْسُ فَأُعْطِيتُمْ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ فَقَالَ أَهْلُ الْكِتَابِ هَؤُلاَءِ أَقَلُّ مِنَّا عَمَلاً وَأَكْثَرُ أَجْرًا قَالَ اللهُ هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ شَيْئًا قَالُوا لاَ قَالَ فَهُوَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Your stay (in this world) in comparison to the stay of the nations preceding you, is like the period between `Asr prayer and the sun set (in comparison to a whole day). The people of the Torah were given the Torah and they acted on it till midday and then they were unable to carry on. And they were given (a reward equal to) one Qirat each. Then the people of the Gospel were given the Gospel and they acted on it till `Asr Prayer and then they were unable to carry on, so they were given la reward equal to) one Qirat each. Then you were given the Qur'an and you acted on it till sunset, therefore you were given (a reward equal to) two Qirats each. On that, the people of the Scriptures said, 'These people (Muslims) did less work than we but they took a bigger reward.' Allah said (to them). 'Have I done any oppression to you as regards your rights?' They said, "No." Then Allah said, 'That is My Blessing which I grant to whomsoever I will.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ