পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১৮/১. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ কিন্তু মানুষ অতিরিক্ত কলহপ্রিয়। (সূরাহ কাহাফ ১৮/৫৪)
(18) سُوْرَةُ الْكَهْفِ
সূরাহ (১৮) : আল-কাহফ
وَقَالَ مُجَاهِدٌ (تَقْرِضُهُمْ) تَتْرُكُهُمْ (وَكَانَ لَه” ثُمُرٌ)ذَهَبٌ وَفِضَّةٌ وَقَالَ غَيْرُهُ جَمَاعَةُ الثَّمَرِ (بَاخِعٌ) مُهْلِكٌ (أَسَفًا) نَدَمًا (الْكَهْفُ)الْفَتْحُ فِي الْجَبَلِ (وَالرَّقِيْمُ)الْكِتَابُ مَرْقُوْمٌ مَكْتُوْبٌ مِنْ الرَّقْمِ (رَبَطْنَاعَلٰى قُلُوْبِهِمْ) أَلْهَمْنَاهُمْ صَبْرًا (لَوْلَآ أَنْ رَّبَطْنَا عَلٰى قَلْبِهَا شَطَطًا) إِفْرَاطًا (الْوَصِيْدُ) الْفِنَاءُ جَمْعُهُ وَصَائِدُ وَوُصُدٌ وَيُقَالُ الْوَصِيْدُ الْبَابُ مُؤْصَدَةٌ مُطْبَقَةٌ آصَدَ الْبَابَ وَأَوْصَدَ (بَعَثْنَاهُمْ)أَحْيَيْنَاهُمْ (أَزْكٰى) أَكْثَرُ وَيُقَالُ أَحَلُّ وَيُقَالُ أَكْثَرُ رَيْعًا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (أُكْلَهَا وَلَمْ تَظْلِمْ) لَمْ تَنْقُصْ وَقَالَ سَعِيْدٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ (الرَّقِيْمُ) اللَّوْحُ مِنْ رَصَاصٍ كَتَبَ عَامِلُهُمْ أَسْمَاءَهُمْ ثُمَّ طَرَحَهُ فِيْ خِزَانَتِهِ (فَضَرَبَ اللهُ عَلٰى اٰذَانِهِمْ) فَنَامُوْا وَقَالَ غَيْرُهُ وَأَلَتْ تَئِلُ تَنْجُوْ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (مَوْئِلًا) مَحْرِزًا (لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَمْعًا)لَا يَعْقِلُوْنَ.
মুজাহিদ (রহ.) বলেন تَقْرِضُهُمْ তাদের ছেড়ে যায়। وَكَانَ لَه ثُمُرٌ স্বর্ণ, রৌপ্য। অন্য হতে বর্ণিত যে, এটি الثَّمَرُ-এর বহুবচন। بَاخِعٌ ধ্বংসকারী أَسَفًا লজ্জায়। الْكَهْفُ পর্বতের গুহা। وَالرَّقِيْمُ লিপিবদ্ধ। مَرْقُوْمٌ লিখিত। الرَّقْمُ [1] থেকে গঠিত। رَبَطْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ আমি তাদের অন্তরে সবর ঢেলে দিলাম। (অন্যত্র আল্লাহ্ তা’আলা বলেন) لَوْلَآ أَنْ رَّبَطْنَا عَلٰى قَلْبِهَا (যদি আমি তাঁর অন্তরে সবর ঢেলে না দিতাম) شَطَطًا সীমা অতিক্রম।
الْوَصِيْدُ আঙ্গিণা, এর বহুবচন وَصَائِدُ وَوُصُدٌ আর বলা হয় الْوَصِيْدُ দরজা, مَوْصَدَةَ আবদ্ধ ও আটকানো, آصَدَ الْبَابَ وَأَوْصَدَه উভয়ই ব্যবহার হয়। بَعَثْنَاهُمْ আমি তাদের জীবিত করলাম। أَزْكٰى প্রাচুর্য বলা হয় أَحَلُّ যা অধিক হালাল অর্থে ব্যবহৃত এবং বলা হয়, أَكْثَرُرَيْعًا অধিক পরিবর্ধিত। ইবনু ’আব্বাস(রাঃ) বলেন, أُكْلَهَا অর্থাৎ ফল وَلَمْتَظْلِمْ ফলহ্রাস পায়নি। সা’ঈদ (রহ.).....ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, الرَّقِيْمُ সীসার তৈরি ফলক; যার ওপর সে সময়ের রাজাদের নাম খোদিত করে এবং পরে তাঁর কোষাগারে রেখে দিত। فَضَرَبَ اللهُ عَلٰىاٰذَانِهِمْ তাঁরা ঘুমিয়ে পড়লেন। অন্যগণ বলেন, وَأَلَتْ تَئِلُ তোমরা নাজাহত পাবে। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مَوْئِلًا সংরক্ষিত স্থান। لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَمْعًا তারা বুঝে না।
৪৭২৪. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা রাতের বেলা তাঁর ও ফাতেমাহ (রাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, তোমরা কি সালাত আদায় করছ না?[1] رَجْمًامبِالْغَيْبِ ব্যাপারটি অস্পষ্ট ছিল। فُرُطًا লজ্জিত। سُرَادِقُهَا তার বেষ্টনীর মত। অর্থাৎ ক্ষুদ্র কক্ষসমূহ, যা তাঁবু পরিবেষ্টন করে রেখেছে। يُحَاوِرُهচ শব্দটি مُحَاوَرَةِ থেকে গঠিত। অর্থ কথার-আদান-প্রদান। لٰكِنَّا هُوَ اللهُ رَبِّيْ (কিন্তু আল্লাহ্ই আমার প্রতিপালক।) এখানে আসলে ছিল لَكِنَّ أَنَا هُوَ اللهُ رَبِّيْ কিন্তু ’হামযাহ’ লোপ করে একটা ’নুন’ আর একটি ’নুনের’ সঙ্গে এদ্গাম যুক্ত করে দেয়া হয়েছে زَلَقًا অর্থ, যার ওপর পা টিকে থাকে না। هُنَالِكَالْوِلَايَةُ (এ ক্ষেত্রে সাহায্য করার অধিকার)[2] الْوِلَايَةُ এটি وَلِيِّ শব্দের মাসদার عُقْبَةً-عُقْبَى-عَاقِبَةً-عُقُبًا সবগুলো এই অর্থে ব্যবহৃত। এর অর্থ আখিরাত। قَبْلًا-قُبُلًا-قِبْلًا সম্মুখ لِيُدْحِضُوْا (সূচনা করা) الدَّحْضُ থেকে গঠিত। দূরীভূত করা, অর্থ পদস্খলন। [১১২৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৬৫)
بَاب قَوْلِهِ عَزّ وجَلَّ :{وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا}.
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ أَخْبَرَهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ قَالَ أَلَا تُصَلِّيَانِ.(رَجْمًامبِالْغَيْبِ) لَمْ يَسْتَبِنْ (فُرُطًا) يُقَالُ نَدَمًا (سُرَادِقُهَا) مِثْلُ السُّرَادِقِ وَالْحُجْرَةِ الَّتِيْ تُطِيْفُ بِالْفَسَاطِيْطِ (يُحَاوِرُه”) مِنَ الْمُحَاوَرَةِ [أشار به قوله تعالى : (وَكَانَ لَه” ثَمَرٌ فَقَالَ لِصَاحِبِهٰ وَهُوَ يُحَاوِرُه”) الآية قوله : من المحاورة يعني : لفظ يحاوره مشتق من المحاورة وهي المراجعة، وفي التفسير : يحاوره، أي : يجاوبه]. (لٰكِنَّا هُوَ اللهُ رَبِّيْ) أَيْ لَكِنْ أَنَا هُوَ اللهُ رَبِّيْ ثُمَّ حَذَفَ الْأَلِفَ وَأَدْغَمَ إِحْدَى النُّوْنَيْنِ فِي الْأُخْرَى (وَفَجَّرْنَا خِلَالَهُمَا نَهَرًا) يَقُوْلُ بَيْنَهُمَا (زَلَقًا) لَا يَثْبُتُ فِيْهِ قَدَمٌ (هُنَالِكَالْوِلَايَةُ) مَصْدَرُ الْوَلِيِّ (عُقُبًا) عَاقِبَةً وَعُقْبَى وَعُقْبَةً وَاحِدٌ وَهِيَ الْآخِرَةُ (قِبَلًا) وَقُبُلًا وَقَبَلًا اسْتِئْنَافًا (لِيُدْحِضُوْا) لِيُزِيْلُوا الدَّحْضُ الزَّلَقُ
Narrated `Ali:
That one night Allah's Messenger (ﷺ) came to him and Fatima and said, "Don't you (both offer the (Tahajjud) prayer?" `Ali said, 'When Allah wishes us to get up, we get up." The Prophet (ﷺ) then recited: 'But man is more quarrelsome than anything.' (18.54)