পরিচ্ছেদঃ ২৪/৮. হালাল উপার্জন থেকে সদাকাহ প্রদান করা।
24/6. بَاب الرِّيَاءِ فِي الصَّدَقَة
২৪/৬. অধ্যায় : সাদাকা প্রদানে লোক দেখানো।
لِقَوْلِهِ : (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالأَذَى إِلَى قَوْلِهِ وَاللهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ)
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ’’হে মু’মিনগণ! দানের কথা প্রচার করে এবং ক্লেশ দিয়ে তোমাদের দানকে নিষ্ফল করো না ..... আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না’’- (আল-বাক্বারাহঃ ২৬৪)।
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (صَلْدًا) لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ وَقَالَ عِكْرِمَةُ (وَابِلٌ) مَطَرٌ شَدِيدٌ وَالطَّلُّ النَّدَى
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, (صَلْدًا)^ অর্থাৎ এমন বস্তু যার উপর কোন কিছুর চিহ্ন নেই। ইকরিমা (রহ.) বলেন (وَابِلٌ) অর্থাৎ ভারী বর্ষণ, (والطَّلٌّ) শিশির।
24/7. بَاب لاَ يَقْبَلُ اللهُ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ وَلاَ يَقْبَلُ إِلاَّ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ
২৪/৭. অধ্যায় : খিয়ানত-এর মাল থেকে সাদাকা দিলে তা আল্লাহ কবূল করেন না এবং হালাল উপার্জন হতে কৃত সাদাকাই তিনি কবূল করেন।
لِقَوْلِهِ : (قَوْلٌ مَعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِنْ صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَا أَذًى وَاللهُ غَنِيٌّ حَلِيمٌ)
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ ’’যে দানের পেছনে ক্লেশ রয়েছে তদাপেক্ষা ভাল কথা ও ক্ষমা উৎকৃষ্টতর। আল্লাহ মহাসম্পদশালী, পরম সহিষ্ণু।’’ (আল-বাক্বারাহঃ ২৬৩)
لِقَوْلِهِ : (وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوْا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ)
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-খায়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে পছন্দ করেন না। নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, নেক কাজ করেছে, সালাত কায়িম করেছে এবং যাকাত দিয়েছে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের নেই কোন ভয় এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’’ (আল-বাকারাঃ ২৭৭)
১৪১০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হালাল কামাই থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সাদাকা করবে, (আল্লাহ তা কবূল করবেন) এবং আল্লাহ কেবল পবিত্র মাল কবূল করেন আর আল্লাহ তাঁর ডান হাত [1] দিয়ে তা কবূল করেন। এরপর আল্লাহ দাতার কল্যাণার্থে তা প্রতিপালন করেন যেমন তোমাদের কেউ অশ্ব শাবক প্রতিপালন করে থাকে, অবশেষে সেই সাদাকা পাহাড় বরাবর হয়ে যায়। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩১৮)
সুলায়মান (রহ.) ইবনু দ্বীনার (রহ.) থেকে হাদীস বর্ণনায় ’আবদুর রহমান (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন এবং ওয়ারকা (রহ.) ইবনু দ্বীনার থেকে তিনি সাঈদ বিন ইয়ামার থেকে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন এবং মুসলিম ইবনু আবূ মারয়াম, যায়দ ইবনু আসলাম ও সুহায়ল (রহ.) আবূ সালিহ (রহ.)-এর মাধ্যমে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। (৭৪৩০) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩২৪)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। সকল প্রকারের ইবাদত উপাসনার মতই নিষ্ঠাবান হয়ে যে কোনো দান প্রদানের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্থির করতে হবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। এবং তাতে যেন কুপ্রবৃত্তির কোনো প্রকার প্রভাব না থাকে তার খেয়াল রাখা অপরিহার্য।
২। মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন অবৈধ ও হারাম মাল উপার্জন করা হতে নিজেকে রক্ষা করে। কেননা অবৈধ ও হারাম মাল উপার্জন করার মাধ্যমে উপস্থিত হয় মহান আল্লাহর ক্রোধানল এবং মানুষের মানসিক মহারোগ। যেমন মনের মধ্যে প্রবল লোভ বিরাজ করা, কোনো জিনিসকে পাওয়ার জন্য অন্তরে তীব্র বাসনা সৃষ্টি হওয়া, আত্যন্তিক আত্মম্ভরিতা, স্বার্থপরতা, অতৃপ্ত ও বাসনা অপূর্ণ থাকায় অশান্ত হওয়া, কৃপণতা, কষ্ট, অস্বস্তি এবং অশান্তির অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া।
৩। এই হাদীসটির মধ্যে মহান আল্লাহর পবিত্র ডান হাতের কথা উল্লিখিত হয়েছে; কেননা ডান হাতের দ্বারাই কল্যাণময় জিনিস সাধারণ ভাবে গ্রহণ করা হয়। পবিত্র কুরআন এবং নির্ভরযোগ্য হাদীসের আলোকে মহান আল্লাহর নাম ও গুণাবলির প্রতি সঠিক ভাবে অন্তরে ঈমান স্থাপন করা অপরিহার্য। এবং তাতে কোনো প্রকার বিকৃত, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান, সাদৃশ্য বর্ণনা বা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এবং স্বরূপ নির্ধারণ করা চলবে না।
بَاب الصَّدَقَةِ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيرٍ سَمِعَ أَبَا النَّضْرِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلاَ يَقْبَلُ اللهُ إِلاَّ الطَّيِّبَ وَإِنَّ اللهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِينِهِ ثُمَّ يُرَبِّيهَا لِصَاحِبِهِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ عَنْ ابْنِ دِينَارٍ وَقَالَ وَرْقَاءُ عَنْ ابْنِ دِينَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَاهُ مُسْلِمُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ وَسُهَيْلٌ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If one give in charity what equals one date-fruit from the honestly earned money and Allah accepts only the honestly earned money --Allah takes it in His right (hand) and then enlarges its reward for that person (who has given it), as anyone of you brings up his baby horse, so much s that it becomes as big as a mountain