পরিচ্ছেদঃ ১০/৮৬. দু’ রাক‘আত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু’ হাত উঠানো।
৭৩৯. নাফি‘ (রহ.) বর্ণিত যে, ইবনু ‘উমার (রাযি.) যখন সালাত শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং দু’ হাত উঠাতেন আর যখন রুকূ‘ করতেন তখনও দু’ হাত উঠাতেন। অতঃপর যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন তখনও দু’ হাত উঠাতেন এবং দু’রাক‘আত আদায়ের পর যখন দাঁড়াতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন। এ সমস্ত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত বলে ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেছেন। এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালাম ইবনু ‘উমার (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু তাহমান, আইয়ূব ও মূসা ইবনু ‘উক্বাহ (রহ.) হতে এ হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।* (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭০৩)
* আধুনিক প্রকাশনীর ৬৯৫ নং হাদীসের বিশাল এক টীকা লেখা হয়েছে বহু মারফু‘ হাদীসকে প্রত্যাখ্যান করে মাযহাবী রসম রেওয়াজ চালু রাখার জন্য। হানাফী মাযহাবে তাকবীরে তাহরীমাহ ছাড়া কোথাও রাফ‘উল ইয়াদাঈন করা হয় না অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজীবন সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়াও রাফ‘উল ইয়াদাঈন বা হাত উত্তোলন করেছেন। নিম্নের হাদীস তার জ্বলন্ত প্রমাণ ঃ
৭৩৬، ৭৩৯. عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ إِذَا قَامَ فِي الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ حِينَ يُكَبِّرُ لِلرُّكُوعِ وَيَفْعَلُ ذَلِكَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ وفي رواية وَإِذَا قَامَ مِنْ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ
আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রূকূ‘র জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। এবং যখন রূক‘ু হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন। ইমাম বুখারী এটা বর্ণনা করেছেন। তাঁর অপর বর্ণনায় এটাও আছে যে, যখন তিনি {রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} দ্বিতীয় রাক‘আত হতে (তৃতীয় রাক‘আতের জন্য) দাঁড়াতেন তখনও দু’ হাত (কাঁধ বরাবর) উঠাতেন।
(বুখারী ১ম খণ্ড ১০২ পৃষ্ঠা। মুসলিম ১৬৮ পৃষ্ঠা। আবূ দাঊদ ১ম খণ্ড ১০৪,১০৫ পৃষ্ঠা। তিরমিযী ১ম খণ্ড ৫৯ পৃষ্ঠা। নাসাঈ ১৪১, ১৫৮, ১৬২ পৃষ্ঠা। ইবনু খুযায়মাহ ৯৫,৯৬। মেশকাত ৭৫ পৃষ্ঠা। ইবনে মাজাহ ১৬৩ পৃষ্ঠা। যাদুল মা‘আদ ১ম খণ্ড ১৩৭,১৩৮,১৫০ পৃষ্ঠা। হিদায়া দিরায়াহ ১১৩-১১৫ পৃষ্ঠা। কিমিয়ায়ে সায়াদাত ১ম ১৯০ পৃষ্ঠা। বুখারী আধুনিক প্রকাশনী ১ম হাদীস নং ৬৯২, ৬৯৩, ৬৯৫। বুখারী আযীযুল হক ১ম খণ্ড হাদীস নং ৪৩২-৪৩৪। বুখারী ইসলামীক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ৬৯৭-৭০১ অনুচ্ছেদসহ। মুসলিম ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ৭৪৫-৭৫০। আবূ দাঊদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম হাদীস নং ৮৪২-৮৪৪। তিরমিযী ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ২৫৫। মেশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ও মাদরাসা পাঠ্য ২য় খণ্ড হাদীস নং ৭৩৮-৭৩৯, ৭৪১,৭৪৫। বুলূগুল মারাম ৮১ পৃষ্ঠা। ইসলামিয়াত বি-এ. হাদীস পর্ব ১২৬-১২৯ পৃষ্ঠা
৭৩৬، ৭৩৯. عَنْ ابن عمر كَانِ رسول الله صلى الله عليه وسلم إذَا افْتَتَحَ الصلاةَ رفع يديه وإذَا رَكَعَ وإذَا رَفَعَ رأسَهُ مِنَ الرُّكُوْعِ فَكَانَ لا يفعل ذلك في السجود فمازالت تلك صلوته حتى لقي الله تعالى رواه البيهقي، هدايه مع الدراية
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, যখন রুকু‘ করতেন এবং যখন রুকু‘ থেকে মাথা উঠাতেন তখন হস্তদ্বয় উত্তোলন করতেন কিন্তু সিজদার মধ্যে হস্তদ্বয় উত্তোলন করতেন না। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ অর্থাৎ তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত সর্বদাই তাঁর সালাত এরূপ করতেন। (বায়হাকী, হেদায়াহ দেরায়াহ ১ম খণ্ড ১১৪ পৃষ্ঠা)
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, রফউল ইয়াদাঈন হল সালাতের সৌন্দর্য, রুকু‘তে যাবার সময় ও রুকু‘ হতে উঠার সময় কেউ রফ‘উল ইয়াদাঈন না করলে তিনি তাকে ছোট পাথর ছুঁড়ে মারতেন। (নায়লুল আওত্বার ৩/১২, ফাতহুল বারী ২/২৫৭)
হাদীস জগতের শ্রেষ্ঠ ইমাম ইসমা‘ঈল বুখারী জুযউর রফ‘ইল ইয়াদাইন নামক একটি স্বতন্ত্র হাদীস গ্রন্থই রচনা করেছেন। যার মধ্যে ১৯৮টি হাদীস বিদ্যমান। (ছাপা তাওহীদ পাবলিকেশন্স, ঢাকা)
যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী তার সিফাতু সালাতুন্নাবী গ্রন্থে বুখারী ও মুসলিমের হাদীস “তিনি রুকু‘ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় দু’হাত উঠাতেন” উল্লেখ করে টীকায় লিখেছেন এ হস্ত উত্তোলন নাবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির সূত্রে সাব্যস্ত। কিছু সংখ্যক হানাফী আলিম সহ বেশিরভাগ আলিম হাত উঠানোর পক্ষে মত পোষণ করেন।
রফ‘উল ইয়াদাইন ও খোলাফাইর রাশিদীন এবং আশরা মুবাশশারীনঃ
ইমাম যায়লা‘ঈ হানাফী (রহ.), আল্লামা আব্দুল হাই লাখনাবী হানাফী (রহ.), আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী হানাফী (রহ.) এবং হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) সবাই ইমাম হাকেম (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ
قال الحاكم : لا نعلم سنة اتفق على روايتها الخلفاء ثم العشرة-المبشرين بالجنة-فمن بعدهم من أكابر الصحابة على تفرقهم في البلاد الشاسعة غير هذه السنة (نصب الرأية ১/৪১৮، نيل الفرقردين ২৬، وتلخيص الحبير ১/৮২)
ইমাম হাকিম (রহঃ) বলেছেনঃ “রফয়ে য়াদাইন ব্যতীত অন্য কোন সুন্নাতের বর্ণনার ক্ষেত্রে খোলাফায়ে রাশেদীন, আশরা মোবাশ্শারা (জান্নাতের শুভসংবাদ প্রাপ্ত দশজন সহাবা) এবং বড় বড় সাহাবীগণ (তাদের দূর দেশে ছড়িয়ে পড়ার পরেও) একত্রিত হয়েছেন বলে আমার জানা নেই। (নাসবুর রায়াহ ১/৪১৮ পৃষ্ঠা, নাইলুল ফারকাদাইন পৃষ্ঠা ২৬, তালখীছ আলহাবীর ১/৮২)
শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী ও রফ‘উল ইয়াদাইন ঃ
শায়খ আব্দুল কাদির জীলানী (রহঃ) সালাতের সুন্নাতসমূহ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ
ورفع اليدين عند الإفتتاح والركوع الرفع منه (غنية الطالبين)
“ছলাত শুরু করার সময়, রুকু‘তে যাওয়ার সময় এবং রুকূ‘ থেকে উঠার সময় রফ‘উল ইয়াদাইন করা সুন্নাত।” (গুনইয়াতুত ত্বালিবীন পৃষ্ঠা ১০)
হানাফী ‘আলিমগণ ও রফ‘উল ইয়াদাইনঃ
শায়খ আবুত্বলিব মাক্কী হানাফী (রহঃ) তার ক্বূতুল ক্বূলুব নামক গ্রন্থে ছলাতের সূন্নাত সমূহ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ
ورفع اليدين والتكبير للركوع سنة ثم رفع اليدين بقول سعم الله لمن حمده سنة
“রুকু‘তে যাওয়ার সময় রফউল ইয়াদাইন করা এবং তাকবীর বলা সূন্নাত। তারপর ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে রফ‘উল ইয়াদাইন করা সুন্নাত।” (কূতুল কুলূব ৩/১৩৯)
কাযী ছানাউল্লাহ পানিপত্তি (রহঃ) বলেনঃ
رفع يدين درين وقت نزد اكثر علماء سنت ست، اكثر فقهاء ومحدثين اثبات أن مي كند
“বর্তমান সময়ে অধিকাংশ আলেমের দৃষ্টিতে রফয়ে ইয়াদাইন সুন্নাত। অধিকাংশ ফকীহ এবং মুহাদ্দিসগণ একে প্রমাণ করে থাকেন।”(মালা বুদ্দা মিনহু পৃষ্ঠা ৪২, ৪৪)
ইমাম আবূ ইউসুফ-এর শিষ্য ইছাম ও রফ‘উল ইয়াদাইনঃ
আল্লামা ‘আবদুল হাই লাখনোভী বলেনঃ “এছাম ইবনু ইউসুফ ইমাম আবু ইউসূফ (রহঃ)-এর শাগরিদ ছিলেন এবং হানাফী ছিলেন।
وكان يرفع يديه عند الركوع وعند رفع الرأس منه
তিনি রুকু‘তে যাওয়ার সময় এবং রুকু‘ থেকে উঠার সময় দু’হাত উঠাতেন।”(আল ফাওয়ায়েদুল বাহিয়্যাহ ১১৬ নূর মোহাম্মদ প্রেস)
‘আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক, সুফ্ইয়ান ছাওরী এবং শু’বাহ বলেন ঃ “এছাম ইবনু ইউসুফ মুহাদ্দিছ ছিলেন তাই তিনি রফউল ইয়াদাইন করতেন। (আল ফাওয়ায়েদুল বাহিয়্যাহ ১১৬ নূর মোহাম্মদ প্রেস)
আল্লামা আব্দুল হাই লাখনাবী (রহঃ) বলেনঃ
وأن ثبوته عن النبي صلى الله عليه وسلم أكثر وأرجح
“নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে রফয়ে ইয়াদাইন এর প্রমাণ বেশী এবং অগ্রাধিকার যোগ্য।”(আত্তা‘লীকুল মুমাজ্জাদ ৯১ পৃষ্ঠা)
তিনি আরো বলেনঃ
والحق أنه لا شك في ثبوت رفع اليدين عند الركوع والرفع منه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم وكثير من أصحابه بالطريق القوبة والأخبار الصحيحة
“সত্য কথা হলো রুকু‘তে যাওয়া এবং রুকু‘ থেকে মাথা উঠানোর সময় ‘রফ‘উল ইয়াদাইন’ করা রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং অনেক সাহাবী (রাযিঃ) থেকে শক্তিশালী সানাদ এবং ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। (আসসিয়ায়াহ ১/২১৩)
রুকু‘তে যাওয়া ও রুকু‘ হতে উঠার সময়ে রফ‘উল ইয়াদাঈন করা সম্পর্কে চার খলীফাহ সহ প্রায় ২৫ জন সাহাবী থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীস বিদ্যমান। একটি হিসাব মতে রফ‘উল ইয়াদাঈন-এর হাদীসের রাবী সংখ্যা আশারায়ে মুবাশ্শরাহ সহ অনুন্য ৫০ জন সাহাবী (ফিকহুস সুন্নাহ ১/১০৭, ফাতহুল বারী ২/২৫৮) এবং সর্বমোট সহীহ হাদীস ও আসারের সংখ্যা অনুন্য ৪০০ শত। ইমাম সুয়ূতী রফ‘উল ইয়াদাঈন এর হাদীসকে মুতাওয়াতির পর্যায়ের বলে মন্তব্য করেছেন।
কতিপয় নির্বোধ লোকের কথা আছে যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় যারা নতুন ঈমান এনেছিলেন তারা নাকি তাদের পুরাতন আচরণের বশবর্তী হয়ে বগলে পুতুল রাখতেন এবং এটা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতে পারলে তিনি রফ‘উল ইয়াদাঈনের নির্দেশ দেন। পরে তাদের ঈমান মজবুত হয়ে গেলে রফ‘উল ইয়াদাঈন করার নির্দেশ মানসূখ হয়ে যায়। এ কথাটি নিতান্তই আল্লাহর রসূলের সাহাবীদের ঈমানের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ। কারণ তাদের ঈমান আমাদের ঈমান অপেক্ষা অনেক দৃঢ় ও মজবুত ছিল। তাছাড়া এ কথাটি সাহাবীদের উপর মিথ্যা অপবাদেরই নামান্তর।
রফ‘উল ইয়াদাঈন সম্পর্কে সাহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদের হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় রফ‘উল করা যাবে না। কিন্তু মুহাদ্দিসীনে কিরামের নিকট এ কথাটি প্রসিদ্ধ যে, তাঁর শেষ বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে স্মৃতি ভ্রম ঘটে, ফলে হতে পারে এ হাদীসটিও সে সবের অন্তর্ভুক্ত। কারণ তিনি কয়েকটি বিষয়ে সকল সাহাবীগণের বিপরীতে কথা বলেছেন। যেমন ঃ (১) মুয়াব্বিযাতাইন- সূরাহ্ নাস ও ফালাক সূরাহ্দ্বয় কুরআনের অংশ নয় মনে করতেন। (২) তাত্বীক- রুকু‘তে তাত্বীক বা দু’হাতকে জোড় করে হাঁটু দ্বারা চেপে রাখতে বলতেন। (৩) দু’জন সালাতে দাঁড়ালে কীভাবে দাঁড়াবে। (৪) আরাফাহর ময়দানে কীভাবে তিনি (সঃ) দু‘ওয়াক্ত একসঙ্গে আদায় করেছেন। (৫) হাত বিছিয়ে সিজদা করা। (৬) وما خلق الذكر والأنثى কীভাবে পড়েছেন। (৭) রফউল ইয়াদাইন একবার করেছেন। [নাসবুর রাইয়াহ (ইমাম যাইলায়ী) ৩৯৭-৪০১ পৃষ্ঠা, ফিকহুস সুন্নাহ ১/১৩৪]
بَاب رَفْعِ الْيَدَيْنِ إِذَا قَامَ مِنْ الرَّكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ، وَإِذَا رَكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. رَفَعَ يَدَيْهِ، وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ. وَرَفَعَ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. وَرَوَاهُ ابْنُ طَهْمَانَ عَنْ أَيُّوبَ وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ مُخْتَصَرًا.