হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৯৬৬

পরিচ্ছেদঃ ১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরি হওয়ার বর্ণনা

৪৯৬৬। আবূ বকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, বদরের দিন আমার জন্য গনীমত থেকে আমার অংশে একটি বয়স্কা উটনী ছিল। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন এক-পঞ্চমাংশ থেকে আমাকে আর একটি পূর্ণ বয়স্কা উটনী দিয়েছিলেন। আমি যখন রাসুল-তনয়া ফাতিমা-এর সঙ্গে বাসর যাপনের ইচ্ছা করলাম, তখন বানু কায়নুকা গোত্রের জনৈক স্বর্ণকার ও আমি পরস্পর চুক্তিতে আবদ্ধ হলাম। সে আমার সঙ্গে যাবে আর আমরা (দু’জনে) ইযখির (ঘাস) নিয়ে আসবো। আমি ইচ্ছা করলাম, এগুলি স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রয় করে তা দিয়ে আমার বিবাহের ওলীমার ব্যাপারে সাহায্য নিব। আমি উট দুটির জন্য জীন, থলে এবং রশি ইত্যাদি জিনিস সংগ্রহ করছিলাম। আর আমার উট দুটি জনৈক আনসারী ব্যক্তির ঘরের পাশে বসানো ছিল। আমিও যা সংগ্রহ করবার সংগ্রহ করলাম।

এমন সময় হঠাৎ দেখি সে দুটির কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে,পাঁজর (পেট) ফেঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং উভয়ের কলিজা বের করে নেয়া হয়েছে। আমিএ দৃশ্য দেখে আমার দু’চোখ (এর অশ্রু) সহ্য করতে পারলাম না। আমি বলে উঠলাম, এ কাজ কোন ব্যক্তি করলো? লোকেরা বললো, হামযা ইবনু আবদুল মুত্তালিব। সে এ বাড়িতে আনসারদের একদল সুরাপায়ীর সাথে আছে। এক গায়িকা তাকে ও তার সাথীদেরকে গান শুনাচ্ছিল। সে তার গানে বললোঃأَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ হে হামযা! তুমি মোটাসোটা উট দুটির প্রতি তোমার আকর্ষণ আছে কি? তখন হামযা তলোয়ার নিয়ে ডঠলো, উট দু’টির কুঁজ কেটে ফেললো, পেট (পাজর) ফেঁড়ে ফেললো এবং কলিজা বের করে নিলো।

আলী (রাঃ) বলেন, অবশেষে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তাঁর কাছে ছিল যায়দ ইবনু হারিসা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চেহারার অবস্থা দেখে বুঝতে পারলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ, আজকের মত দিন আমি আর কখনও দেখিনি! হামযা আমার উট দুটির উপর চড়াও হয়ে উভয়ের কুঁজ দুটি কেটে ফেলেছে, পেট ফেঁড়ে ফেলেছে (এবং কলিজা বের করে নিয়েছে) সে ঐ বাড়িতে আছে আর তার সঙ্গে আছে সুরাপায়ীর এক দল।

তিনি বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাঁদর নিয়ে আসতে বললেন। পরে তা পরিধান করে হেঁটে চললেন। আমি এবং যায়দ ইবনু হারিসা তাঁর পিছনে পিছনে চললাম। অবশেষে তিনি হামযা যে ঘরে ছিল, সে ঘরের দরজায় এসে অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিল। তিনি প্রবেশ করেই দেখতে পেলেন সুরাপায়ীর দল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযার কৃতকর্মের জন্য তাকে ভৎসনা করতে লাগলেন।

দেখা গেল, হামযার চোখ দুটি লাল। সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে তাকালো। এরপর সে তার দৃষ্টি ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে তুলে তা নিবদ্ধ করলো তাঁর হাঁটুর দিকে, তারপর আরো উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো তাঁর নাভির দিকে, এরপর দৃষ্টি তুললো তাঁর চেহারার দিকে। তারপর হামযা বললো, তোমরা তো আমার পিতার গোলাম বৈ কিছুই নও। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বুঝতে পারলেন সে নেশাগ্রন্ত, তখন তিনি পিছনে হেঁটে বের হয়ে পড়লেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বের হলাম।

মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ أَبُو عُثْمَانَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ، بْنِ عَلِيٍّ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ يَرْتَحِلُ مَعِيَ فَنَأْتِي بِإِذْخِرٍ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَىَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ وَشَارِفَاىَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَجَمَعْتُ حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا شَارِفَاىَ قَدِ اجْتُبَّتْ أَسْنِمَتُهُمَا وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَىَّ حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ مِنْهُمَا قُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ غَنَّتْهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابَهُ فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا أَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَقَامَ حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا فَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا قَالَ عَلِيٌّ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ - قَالَ - فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِيَ الَّذِي لَقِيتُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا لَكَ ‏"‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَىَّ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ - قَالَ - فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ فَارْتَدَاهُ ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتَّى جَاءَ الْبَابَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنُوا لَهُ فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ إِلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ فَقَالَ حَمْزَةُ وَهَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى وَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ ‏.‏ وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏


Husain b. 'Ali reported 'Ali having said:
There fell to my lot a she-camel out of the spoils of war on the Day of Badr, and Allah's Messenger (ﷺ) gave me (another) she-camel on that day out of the Khums (one-fifth reserved for Allah and His Messenger). When I made up my mind to consummate my marriage with Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ), I prevailed upon a goldsmith of the tribe of Qainuqa' to go along with me so that we might bring Idhkhir wishing to sell that to the goldsmiths and thus I should be able to arrange my wedding feast. While I was arranging the equipments. i. e. litters, sacks and ropes, my two she-camels were sitting down at the side of the apartment of a person of the Ansar. I collected (the different articles of equipment) and found to my surprise that their humps had been chopped off and their haunches had been cut off and their livers had been taken out. I could not help weeping when I saw that plight of theirs. I said: Who has done that? They said: Hamza b. 'Abd al-Muttalib has done this. and he is in this house dead drunk in the company of some of the Ansair with asinging girl singing before him and his companions. She said in her song: O Hamza. get up and attack these falty she-camels. Thereupon Hamza stood up with a sword (in his hand) and cut off their humps and ripped their haunches and tore out their livers. 'Ali said: I went away until I came to Allah's Messenger (ﷺ) and there was with him Zaid b. Haritha. Allah's Messenger (ﷺ) recognised from my face what I had experienced, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: What has happened to you? I said: Messenger of Allah, by Allah, I have never seen (such an unfortunate day) as this day. Hamza has committed aggression to my she-camels, and has cut off their humps. and ripped their haunches, and he is in a house in the company of some drunkards. (Hearing this) Allah's Messenger (ﷺ) sent for his mantle and, putting it on him, he proceeded, and I and Zaid b. Haritha followed him, until he came to the door (of the house) in which there was Hamza. He (the Holy Prophet) sought permission which they granted him. and they were all drunk. Allah's Messenger (ﷺ) began to reprimand Hamza for what he had done. Hamza's eyes were red. He cast a glance at Allah's Messenger (ﷺ) and then looked towards his knees. and then lifted his eyes and cast a glance at his waist and then lifted his eyes and saw his face. And then Hamza said: Are you anything but the slaves of my father? Alah's Messenger (ﷺ) came to know that he was intoxicated, and he thus turned upon his heels, and came out, and we also came out along with him.

The above hadith has been narrated likewise through another chain of transmitters.