পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

২৯৮) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাস্তার অনেক জায়গায় নামায পড়তেন এবং বলতেন যে, তিনি ঐ সমস্ত স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায পড়তে দেখেছেন।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

২৯৮ـ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فِي أَمَاكِنَ مِنَ الطَّرِيْقِ وَيَقُوْلُ: أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأمْكِنَةِ.

২৯৮ـ عن ابن عمر رضي الله عنهما: انه كان يصلي في اماكن من الطريق ويقول: انه راى النبي يصلي في تلك الامكنة.

The mosques which are on the way to Al-Madina and the places where the Prophet (pbuh) had offered Salat (Prayers)


Narrated 'Abdullah bin umar that he had offered salat (prayer) at place on the ways and said, "That he had seen the Prophet (ﷺ) offering salat (prayer) on these places"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

২৯৯) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উমরায় যাওয়ার পথে যুল হুলায়াফায় অবতরণ করতেন। এমন কি বিদায় হজ্জের সময়ও সেখানকার একটি বাবলা গাছের নীচে যাত্রা বিরতি করেছেন। বাবলা গাছটি ঠিক সে স্থানেই ছিল, যেখানে বর্তমানে যুল হুলায়ফার মসজিদ রয়েছে। তিনি যখন কোন যুদ্ধ কিংবা হজ্জ অথবা উমরা হতে ঐ পথে ফেরত আসতেন তখন ওয়াদী আকীকের মধ্যখানে নামতেন। সেখান হতে যখন উপরের দিকে উঠতেন তখন উপত্যকার পূর্বপ্রান্তে বাতহা নামক স্থানে উট বাঁধতেন এবং সেখানে সকাল পর্যন্ত অবস্থান করতেন। এ স্থানটি ঐ মসজিদের নিকটে নয় যা পাথর দ্বারা নির্মিত এবং ঐ টিলার উপরেও নয় যেখানে মসজিদ রয়েছে; বরং যেখানে একটি ছোট নদী ছিল, সেখানে অবতরণ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) সেখানে নামায আদায় করতেন। সেখানে অনেক বালুর টিলা ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানেই নামায পড়তেন। অতঃপর বন্যার পানি ঐ স্থানটিতে কঙ্কর বিছিয়ে দিল এবং ঐ স্থানটিকেও বিলীন করে ফেলল যেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার নামায পড়তেন।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

২৯৯ـ وعَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يَنْزِلُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ يَعْتَمِرُ، وَفِي حَجَّتِهِ حِينَ حَجَّ، تَحْتَ سَمُرَةٍ فِي مَوْضِعِ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ، وَكَانَ إِذَا رَجَعَ مِنْ غَزْوٍ كَانَ فِي تِلْكَ الطَّرِيقِ أَوْ حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ هَبَطَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ، فَإِذَا ظَهَرَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي عَلَى شَفِيرِ الْوَادِي الشَّرْقِيَّةِ، فَعَرَّسَ ثمَّ حَتَّى يُصْبِحَ لَيْسَ عِنْدَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِحِجَارَةٍ، وَلا عَلَى الأَكَمَةِ الَّتِي عَلَيْهَا الْمَسْجِدُ، كَانَ ثمَّ خَلِيجٌ يُصَلِّي عَبْدُاللَّهِ عِنْدَهُ، فِي بَطْنِهِ كُثبٌ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ثمَّ يُصَلِّي، فَدَحَا السَّيْلُ فِيهِ بِالْبَطْحَاءِ، حَتَّى دَفَنَ ذَلِكَ الْمَكَانَ، الَّذِي كَانَ عَبْدُاللَّهِ يُصَلِّي فِيهِ.

২৯৯ـ وعنه : ان رسول الله كان ينزل بذي الحليفة حين يعتمر، وفي حجته حين حج، تحت سمرة في موضع المسجد الذي بذي الحليفة، وكان اذا رجع من غزو كان في تلك الطريق او حج او عمرة هبط من بطن واد، فاذا ظهر من بطن واد اناخ بالبطحاء التي على شفير الوادي الشرقية، فعرس ثم حتى يصبح ليس عند المسجد الذي بحجارة، ولا على الاكمة التي عليها المسجد، كان ثم خليج يصلي عبدالله عنده، في بطنه كثب، كان رسول الله ثم يصلي، فدحا السيل فيه بالبطحاء، حتى دفن ذلك المكان، الذي كان عبدالله يصلي فيه.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০০) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, ‘রাওহা’ নামক উঁচু স্থানের মসজিদের নিকটেই বর্তমানে যে ছোট মসজিদটি রয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানেও নামায পড়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সমস্ত স্থানে নামায পড়েছেন তা জানতেন। তিনি বলতেনঃ তুমি যখন মসজিদে নামায পড়তে দাঁড়াবে সে স্থানটি তোমার ডান দিকে পড়বে। আর ঐ ছোট মসজিদটি তুমি মক্কা যাওয়ার পথে রাস্তার ডান পার্শ্বে পড়বে। ঐ মসজিদ এবং বড় মসজিদটির মাঝখানে একটি পাথর নিক্ষেপ বা তার অনুরূপ দূরত্ব হবে।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০০ـ وَحَدَّث عَبْدُ اللَّهِ بن عمر : أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى حَيْث الْمَسْجِدُ الصَّغِيرُ، الَّذِي دُونَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْلَمُ الْمَكَانَ الَّذِي كَانَ صَلَّى فِيهِ النَّبِيُّ ، يَقُولُ: ثمَّ عَنْ يَمِينِكَ، حِينَ تَقُومُ فِي الْمَسْجِدِ تُصَلِّي، وَذَلِكَ الْمَسْجِدُ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ الْيُمْنَى، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَسْجِدِ الأَكْبَرِ رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ، أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ. (بخارى:৪৮৫)

৩০০ـ وحدث عبد الله بن عمر : ان النبي صلى حيث المسجد الصغير، الذي دون المسجد الذي بشرف الروحاء، وقد كان عبد الله يعلم المكان الذي كان صلى فيه النبي ، يقول: ثم عن يمينك، حين تقوم في المسجد تصلي، وذلك المسجد على حافة الطريق اليمنى، وانت ذاهب الى مكة، بينه وبين المسجد الاكبر رمية بحجر، او نحو ذلك. (بخارى:৪৮৫)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০১) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) সেই ছোট পাহাড়ের কাছেও নামায পড়তেন, যা রাওহার শেষ প্রান্তে অবস্থিত। ঐ ছোট পাহাড়টি রাস্তার শেষ প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে। তুমি মক্কা যাওয়ার পথে দেখতে পাবে পাহাড়টি ঐ মসজিদ এবং রাওহার শেষ প্রান্তের মধ্যখানে অবস্থিত। সেখানে আরো একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এ মসজিদে নামায পড়তেন না। এই মসজিদকে তিনি বাম দিক থেকে পেছনে রাখতেন। তিনি সামনে অগ্রসর হয়ে পাহাড়কে সামনে রেখে নামায পড়তেন।

 আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাওহা থেকে সকালে যাত্রা করে ঐ স্থানে না পৌঁছে যোহরের নামায পড়তেন না; বরং ঐ স্থানে গিয়ে যোহরের নামায পড়তেন। আর মক্কা হতে আসার পথে যদি ফজরের সামান্য পূর্বে কিংবা শেষ রাত্রে সেখান দিয়ে অতিক্রম করতেন, তাহলে সেখানে নেমে ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন এবং নামায সেখানেই আদায় করতেন।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০১ـ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُصَلِّي إِلَى الْعِرْقِ الَّذِي عِنْدَ مُنْصَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَذَلِكَ الْعِرْقُ انْتِهَاءُ طَرَفِهِ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ، دُونَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُنْصَرَفِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، وَقَدِ ابْتُنِيَ ثمَّ مَسْجِدٌ، فَلَمْ يَكُنْ عَبْدُاللَّهِ ابْنُ عُمَرَ يُصَلِّي فِي ذَلِكَ الْمَسْجِدِ، كَانَ يَتْرُكُهُ عَنْ يَسَارِهِ وَوَرَاءَهُ، وَيُصَلِّي أَمَامَهُ إِلَى الْعِرْقِ نَفْسِهِ، وَكَانَ عَبْدُاللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الرَّوْحَاءِ، فَلا يُصَلِّي الظُّهْرَ حَتَّى يَأْتِيَ ذَلِكَ الْمَكَانَ، فَيُصَلِّي فِيهِ الظُّهْرَ، وَإِذَا أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ، فَإِنْ مَرَّ بِهِ قَبْلَ الصُّبْحِ بِسَاعَةٍ أَوْ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ، عَرَّسَ حَتَّى يُصَلِّيَ بِهَا الصُّبْحَ. (بخارى:৪৮৬)

৩০১ـ وكان عبد الله بن عمر يصلي الى العرق الذي عند منصرف الروحاء، وذلك العرق انتهاء طرفه على حافة الطريق، دون المسجد الذي بينه وبين المنصرف، وانت ذاهب الى مكة، وقد ابتني ثم مسجد، فلم يكن عبدالله ابن عمر يصلي في ذلك المسجد، كان يتركه عن يساره ووراءه، ويصلي امامه الى العرق نفسه، وكان عبدالله يروح من الروحاء، فلا يصلي الظهر حتى ياتي ذلك المكان، فيصلي فيه الظهر، واذا اقبل من مكة، فان مر به قبل الصبح بساعة او من اخر السحر، عرس حتى يصلي بها الصبح. (بخارى:৪৮৬)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০২) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুয়াইছার নিকটবর্তী স্থানে রাস্তার ডান দিকে এবং ডান দিকে প্রশস্ত সমতল ভূমিতে বড় একটি গাছের নীচে অবতরণ করতেন এবং তিনি ঐ টিলা ছেড়ে চলে যেতেন যা রুয়াইছার ডাক ঘরের দুই মাইল দূরত্বে অবস্থিত। গাছটির উপরের অংশ ভেঙ্গে গিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। তা সত্ত্বেও গাছটি এখনও কান্ডের উপর দাঁড়ানো আছে। গাছটির গোড়ায় অনেকগুলো বালুর স্ত্তপ রয়েছে।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০২ـ وَحَدَّث عَبْدُ اللَّهِ : أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ يَنْزِلُ تَحْتَ سَرْحَةٍ ضَخْمَةٍ، دُونَ الرُّوَيْثةِ، عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ وَوِجَاهَ الطَّرِيقِ، فِي مَكَانٍ بَطْحٍ سَهْلٍ، حَتَّى يُفْضِيَ مِنْ أَكَمَةٍ دُوَيْنَ بَرِيدِ الرُّوَيْثةِ بِمِيلَيْنِ، وَقَدِ انْكَسَرَ أَعْلاهَا فَانْثنَى فِي جَوْفِهَا، وَهِيَ قَائِمَةٌ عَلَى سَاقٍ، وَفِي سَاقِهَا كُثبٌ كَثيرَةٌ. (بخارى:৪৮৭)

৩০২ـ وحدث عبد الله : ان النبي كان ينزل تحت سرحة ضخمة، دون الرويثة، عن يمين الطريق ووجاه الطريق، في مكان بطح سهل، حتى يفضي من اكمة دوين بريد الرويثة بميلين، وقد انكسر اعلاها فانثنى في جوفها، وهي قاىمة على ساق، وفي ساقها كثب كثيرة. (بخارى:৪৮৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০৩) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ টিলার নিকটস্থ স্থানে (মসজিদে) নামায পড়েছেন, যার পাশেই রয়েছে পানির ঝর্ণা। আর এই স্থানটি তোমার হাযবা যাওয়ার পথে ‘আরজ’ নামক স্থানের পেছনে পড়বে। ঐ মসজিদের পাশে দু’টি বা তিনটি কবর রয়েছে। কবরগুলোর উপরে রয়েছে বড় বড় পাথর। আর তা রাস্তার ডান পার্শ্বে বৃক্ষসমূহের নিকটে অবস্থিত। দুপুরের পর সূর্য ঢলে পড়লে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার ‘আরজ’ থেকে যাওয়ার পথে উক্ত গাছগুলোর মধ্য দিয়ে যেতেন এবং ঐখানে অবস্থিত মসজিদে যোহরের নামায আদায় করতেন।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০৩ـ وَحَدَّث عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى فِي طَرَفِ تَلْعَةٍ مِنْ وَرَاءِ الْعَرْجِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى هَضْبَةٍ، عِنْدَ ذَلِكَ الْمَسْجِدِ قَبْرَانِ أَوْ ثلاثةٌ، عَلَى الْقُبُورِ رَضَمٌ مِنْ حِجَارَةٍ عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ، عِنْدَ سَلَمَاتِ الطَّرِيقِ، بَيْنَ أُولَئِكَ السَّلَمَاتِ كَانَ عَبْدُاللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الْعَرْجِ، بَعْدَ أَنْ تَمِيلَ الشَّمْسُ بِالْهَاجِرَةِ، فَيُصَلِّي الظُّهْرَ فِي ذَلِكَ الْمَسْجِدِ. (بخارى:৪৮৮)

৩০৩ـ وحدث عبد الله بن عمر رضي الله عنهما: ان النبي صلى في طرف تلعة من وراء العرج، وانت ذاهب الى هضبة، عند ذلك المسجد قبران او ثلاثة، على القبور رضم من حجارة عن يمين الطريق، عند سلمات الطريق، بين اولىك السلمات كان عبدالله يروح من العرج، بعد ان تميل الشمس بالهاجرة، فيصلي الظهر في ذلك المسجد. (بخارى:৪৮৮)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০৪) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘হারশা’ নামক পাহাড়ের নিকটস্থ নিম্নভূমিতে রাস্তার বাম দিকে অবস্থিত বিশাল বৃক্ষসমূহের পাশে অবতরণ করতেন। ঐ নিম্নভূমিটি ‘হারশা’ নামক পাহাড়ের শেষ প্রান্তের সাথে মিলিত হয়েছে। নিম্নভূমি এবং রাস্তার মাঝখানে মাত্র একটি তীর নিক্ষেপের দূরত্ব। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার সেখানকার একটি বৃক্ষ সামনে নিয়ে নামায পড়তেন। এটি ছিল রাস্তার অধিক নিকটবর্তী এবং সর্ববৃহৎ বৃক্ষ।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০৪ـ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ نَزَلَ عِنْدَ سَرَحَاتٍ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، فِي مَسِيلٍ دُونَ هَرْشَى، ذَلِكَ الْمَسِيلُ لاصِقٌ بِكُرَاعِ هَرْشَى، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ قَرِيبٌ مِنْ غَلْوَةٍ. وَكَانَ عَبْدُاللَّهِ يُصَلِّي إِلَى سَرْحَةٍ، هِيَ أَقْرَبُ السَّرَحَاتِ إِلَى الطَّرِيقِ، وَهِيَ أَطْوَلُهُنَّ. (بخارى:৪৮৯)

৩০৪ـ قال عبد الله بن عمر رضي الله عنهما: ان رسول الله نزل عند سرحات عن يسار الطريق، في مسيل دون هرشى، ذلك المسيل لاصق بكراع هرشى، بينه وبين الطريق قريب من غلوة. وكان عبدالله يصلي الى سرحة، هي اقرب السرحات الى الطريق، وهي اطولهن. (بخارى:৪৮৯)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০৫) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলতেনঃ সাফরাওয়াত থেকে নীচের দিকে নামার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাররুয্ যাহরান উপত্যকার মদীনার দিকের নিম্নভূমিতে অবতরণ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ উপত্যকার মাঝখানে অবতরণ করতেন, যা মক্কা যাওয়ার পথে রাস্তার বাম দিকে পড়ে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবতরণস্থল এবং রাস্তার মাঝখানে মাত্র একটি প্রস্তর নিক্ষেপের দূরত্বের সমান।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০৫ ـ وَ يَقُوْلُ: إِنَّ النَّبِيَّ كَانَ يَنْزِلُ فِي الْمَسِيلِ الَّذِي فِي أَدْنَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، قِبَلَ الْمَدِينَةِ، حِينَ يَهْبِطُ مِنَ الصَّفْرَاوَاتِ، يَنْزِلُ فِي بَطْنِ ذَلِكَ الْمَسِيلِ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، لَيْسَ بَيْنَ مَنْزِلِ رَسُولِ اللَّهِ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ إِلا رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ. (بخارى:৪৯০)

৩০৫ ـ و يقول: ان النبي كان ينزل في المسيل الذي في ادنى مر الظهران، قبل المدينة، حين يهبط من الصفراوات، ينزل في بطن ذلك المسيل عن يسار الطريق، وانت ذاهب الى مكة، ليس بين منزل رسول الله وبين الطريق الا رمية بحجر. (بخارى:৪৯০)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০৬) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা যাওয়ার পথে যু-তোয়া নামক স্থানে অবতরণ করে সেখানে রাত্রি যাপন করতেন এবং ভোর হলে সেখানেই ফজরের নামায পড়তেন। তাঁর নামায পড়ার স্থানটি একটি বড় টিলার উপর অবস্থিত। পরবর্তীতে সেখানে যে মসজিদটি বানানো হয়েছে তার ভিতরে নয়; বরং মসজিদের নিম্ন দিকে অবস্থিত একটি বড় টিলার উপরে।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০৬ ـ قَالَ: وَكَانَ النَّبِيُّ يَنْزِلُ بِذِي طُوًى وَيَبِيتُ حَتَّى يُصْبِحَ، يُصَلِّي الصُّبْحَ حِينَ يَقْدُمُ مَكَّةَ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ، لَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي بُنِيَ ثمَّ، وَلَكِنْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ.

৩০৬ ـ قال: وكان النبي ينزل بذي طوى ويبيت حتى يصبح، يصلي الصبح حين يقدم مكة، ومصلى رسول الله ذلك على اكمة غليظة، ليس في المسجد الذي بني ثم، ولكن اسفل من ذلك على اكمة غليظة.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ মদীনার রাস্তাসমূহে যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে এবং যে সকল স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়েছেন

৩০৭) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ পাহাড়ের প্রবেশ পথ দু’টির দিকে মুখ করে নামায পড়তেন, যা তাঁর এবং মক্কার দিকের লম্বা পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত। সেখানে নির্মিত মসজিদটিকে টিলার এক প্রান্তে নির্মিত মসজিদটির বাম দিকে রাখতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাযের স্থানটি ছিল তার নিম্ন দিকের কালো টিলার উপরে। টিলা থেকে প্রায় দশ হাত বাদ দিয়ে যে পাহাড়টি তোমার ও মক্কার মাঝখানে পড়বে তার দু’প্রবেশ দ্বারের দিকে মুখ করে নামায পড়বে।

টিকাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সমস্ত স্থানে নামায পড়েছেন তার প্রতি অগাধ ভালবাসায় ইবনে উমারও ঐ সমস্ত স্থানে নামায পড়ার আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে সফর অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে স্থানে অবতরণ করেছেন পরবর্তীতে ইবনে উমার (রাঃ) সে সকল স্থানে অবতরণ করতেন। বর্তমানে এ সমস্ত স্থানের সঠিক ঠিকানা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। উপরোক্ত হাদীছগুলোতে বর্ণিত মসজিদগুলোর সন্ধান পাওয়াও কঠিন। মসজিদে যুল হুলায়ফা ব্যতীত অবশিষ্ট নিদর্শন অতীতের পাতায় চলে গেছে। মোট কথা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে যেভাবে অনুসরণ করার চেষ্টা করতেন আমাদেরও তেমনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিটি কথা ও কাজের অনুসরণ করা উচিৎ।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ

৩০৭ ـ وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يُحَدِّث: أَنَّ النَّبِيَّ اسْتَقْبَلَ فُرْضَتَيِ الْجَبَلِ، الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ نَحْوَ الْكَعْبَةِ، فَجَعَلَ الْمَسْجِدَ الَّذِي بُنِيَ ثمَّ يَسَارَ الْمَسْجِدِ بِطَرَفِ الأَكَمَةِ، وَمُصَلَّى النَّبِيِّ أَسْفَلَ مِنْهُ عَلَى الأَكَمَةِ السَّوْدَاءِ، تَدَعُ مِنَ الأَكَمَةِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا، ثمَّ تُصَلِّي مُسْتَقْبِلَ الْفُرْضَتَيْنِ مِنَ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ

৩০৭ ـ وان عبد الله بن عمر يحدث: ان النبي استقبل فرضتي الجبل، الذي بينه وبين الجبل الطويل نحو الكعبة، فجعل المسجد الذي بني ثم يسار المسجد بطرف الاكمة، ومصلى النبي اسفل منه على الاكمة السوداء، تدع من الاكمة عشرة اذرع او نحوها، ثم تصلي مستقبل الفرضتين من الجبل الذي بينك وبين الكعبة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে