পরিচ্ছেদঃ যেখানেই নামায পড়া হোক না কেন কিবলামুখী হতে হবে
২৫৬) বারা’ বিন আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হিজরত করে মদীনায় আগমণ করলেন তখন ষোল কিংবা সতের মাস পর্যন্ত বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে নামায আদায় করেন। কিন্তু তিনি সর্বদা মনে মনে আশা পোষণ করতেন তাঁর কিবলা যেন বায়তুল্লাহ শরীফ নির্ধারিত হয়। তিনি সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহ শরীফের দিকে ফিরে যে নামাযটি আদায় করলেন তা হল আসরের নামায। তাঁর সাথে সাহাবীদের একটি দলও নামায আদায় করলেন। তাঁর সাথে নামায আদায় করে একজন লোক বের হয়ে স্বীয় গোত্রের একটি মসজিদের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন যে, তারা বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে আসরের নামাযের রুকূ অবস্থায় আছে। উক্ত অবস্থা দেখে তিনি বললেনঃ আমি আল্লাহর নামে সাক্ষ্য দিয়ে বলছি যে আজকের এ নামায আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে মক্কার দিকে ফিরে আদায় করেছি। নামাযীগণ এ সংবাদ শুনে রুকূ অবস্থাতেই কাবার দিকে ফিরে গেলেন। বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে মুসলিমদের নামায আদায় করা ইহুদীদের কাছে পছন্দনীয় ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন তখন ইহুদীরা এ ঘটনাকে অপছন্দ করল।
بَاب التَّوَجُّهِ نَحْوَ الْقِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ
২৫৬- عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَوَّلَ مَا قَدِمَ الْمَدِينَةَ صَلَّى قِبَلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَتُهُ قِبَلَ الْبَيْتِ وَأَنَّهُ صَلَّى أَوَّلَ صَلَاةٍ صَلَّاهَا صَلَاةَ الْعَصْرِ وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ صَلَّى مَعَهُ فَمَرَّ عَلَى أَهْلِ مَسْجِدٍ وَهُمْ رَاكِعُونَ فَقَالَ أَشْهَدُ بِاللَّهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِبَلَ مَكَّةَ فَدَارُوا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ وَكَانَتْ الْيَهُودُ قَدْ أَعْجَبَهُمْ إِذْ كَانَ يُصَلِّي قِبَلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَأَهْلُ الْكِتَابِ فَلَمَّا وَلَّى وَجْهَهُ قِبَلَ الْبَيْتِ أَنْكَرُوا ذَلِكَ
[During the obligatory Salat (prayers)] one should face the Qiblah (Kabah at Makkah) wherever one may be
Narrated Bara' bin `Azib:
Allah's Messenger (ﷺ) prayed facing Baitul-Maqdis for sixteen or seventeen months but he loved to face the Ka`ba (at Mecca) so Allah revealed: "Verily, We have seen the turning of your face to the heaven!" (2:144) So the Prophet (ﷺ) faced the Ka`ba and the fools amongst the people namely "the Jews" said, "What has turned them from their Qibla (Baitul-Maqdis) which they formerly observed"" (Allah revealed): "Say: 'To Allah belongs the East and the West. He guides whom he will to a straight path'." (2:142) A man prayed with the Prophet (facing the Ka`ba) and went out. He saw some of the Ansar praying the `Asr prayer with their faces towards Baitul-Maqdis, he said, "I bear witness that I prayed with Allah's Messenger (ﷺ) facing the Ka`ba." So all the people turned their faces towards the Ka`ba.
পরিচ্ছেদঃ যেখানেই নামায পড়া হোক না কেন কিবলামুখী হতে হবে
২৫৭) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় বাহনের উপর আরোহন করে (নফল) নামায পড়তেন। বাহন যে দিকেই যাক (তাতে কোন অসুবিধা মনে করতেন না)। যখন ফরয নামায আদায় করার ইচ্ছা পোষণ করতেন তখন বাহন থেকে নীচে নেমে কিবলামুখী হয়ে ফরয নামায আদায় করতেন।
بَاب التَّوَجُّهِ نَحْوَ الْقِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ
২৫৭- عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ فَإِذَا أَرَادَ الْفَرِيضَةَ نَزَلَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ
[During the obligatory Salat (prayers)] one should face the Qiblah (Kabah at Makkah) wherever one may be
Narrated Jabir:
Allah's Messenger (ﷺ) used to pray (optional, non-obligatory prayer) while riding on his mount (Rahila) wherever it turned, and whenever he wanted to pray the compulsory prayer he dismounted and prayed facing the Qibla.
পরিচ্ছেদঃ যেখানেই নামায পড়া হোক না কেন কিবলামুখী হতে হবে
২৫৮) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়লেন। বর্ণনাকারী ইবরাহীম আলকামা থেকে আর আলকামা ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করে বলেনঃ আমার জানা নেই যে, তিনি নামাযে বাড়িয়েছেন না কমিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাম ফিরালেন, তখন বলা হলঃ হে আল্লাহর রাসূল! নামাযে কিছু হয়েছে কি? তিনি বললেনঃ কি হয়েছে? তাঁরা বললেনঃ নামায এত এত রাকআত পড়েছেন। এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাথে সাথে উভয় পা মুড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে দু’টি সেজদা দিয়ে সালাম ফিরালেন। সালাম ফিরিয়ে যখন আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসলেন তখন বললেনঃ নামাযে যদি কিছু হত তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে বলতাম। আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। তোমরা যেমন ভুলে যাও, আমিও তেমন ভুলে যাই। সুতরাং আমি যদি ভুল করি তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিও। তোমাদের কেউ যখন নামাযে সন্দেহ করবে সে যেন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করে। সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে সে যেন নামায পূর্ণ করে নেয় এবং সালাম ফিরায়। সালাম ফিরানোর পর যেন দু’টি সেজদাহ করে নেয়।
টিকাঃ সন্দেহ থাকা সত্তেবও সঠিক সিদ্বান্তে পৌঁছার পথ হচ্ছে দুই সংখ্যার মধ্যে কম সংখ্যাটিকে ধরে নিয়ে সে অনুযায়ী বাকী নামায পূর্ণ করা। সিজদায়ে সাহু দেয়ার দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হচ্ছে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দেয়া, অপরটি হচ্ছে কোন দিকে সালাম না ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দেয়া। আর উভয় অবস্থাতেই সালাম ফিরানো আবশ্যক। এক দিকে সালাম দিয়ে সাহু সিজদাহ করার পক্ষে নিছক যুক্তি ছাড়া কোনই প্রমাণ নেই।
بَاب التَّوَجُّهِ نَحْوَ الْقِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ
২৫৮- عَنْ عَبْد اللَّهِ بِنْ مَسْعُوْدٍ قال صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لَا أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدَثَ فِي الصَّلَاةِ شَيْءٌ قَالَ وَمَا ذَاكَ قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلَاةِ شَيْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ لِيُسَلِّمْ ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ
[During the obligatory Salat (prayers)] one should face the Qiblah (Kabah at Makkah) wherever one may be
Narrated `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) prayed (and the sub-narrator Ibrahim said, "I do not know whether he prayed more or less than usual"), and when he had finished the prayers he was asked, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Has there been any change in the prayers?" He said, "What is it?' The people said, "You have prayed so much and so much." So the Prophet (ﷺ) bent his legs, faced the Qibla and performed two prostration's (of Sahu) and finished his prayers with Taslim (by turning his face to right and left saying: 'As-Salamu `Alaikum- Warahmat-ullah'). When he turned his face to us he said, "If there had been anything changed in the prayer, surely I would have informed you but I am a human being like you and liable to forget like you. So if I forget remind me and if anyone of you is doubtful about his prayer, he should follow what he thinks to be correct and complete his prayer accordingly and finish it and do two prostrations (of Sahu).