পরিচ্ছেদঃ মি’রাজের রাতে কিভাবে নামায ফরয হল?
২২৫) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু যার (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি মক্কা থাকাবস্থায় এক রাতে আমার ঘরের ছাদ বিদীর্ণ করা হল। সেই ছিদ্র দিয়ে জিবরীল ফেরেশতা অবতরণ করলেন। অতঃপর তিনি আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন এবং যমযমের পানি দিয়ে তা ধৌত করলেন। তারপর জ্ঞান ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র এনে আমার বক্ষের ভিতরে ঢেলে দিয়ে তা বন্ধ করে দিলেন। তারপর আমার হাত ধরে প্রথম আকাশের দিকে নিয়ে গেলেন। প্রথম আকাশের নিকটবর্তী হলে জিবরীল ফেরেশতা আকাশের রক্ষীকে বললেনঃ দরজা খোল। উপর থেকে আগমণকারীর পরিচয় জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করা হল, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ প্রথম আকাশে উঠে উপবিষ্ট একজন লোক দেখতে পেলাম। তাঁর ডান পাশে মানুষের অসংখ্য রূহ দেখতে পেলাম এবং বাম পাশেও অনুরূপ মানুষের অসংখ্য রূহ দেখতে পেলাম। তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন এবং যখন বাম দিকে তাকান তখন কেঁদে ফেলেন। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ পূণ্যবান ছেলে ও পূণ্যবান নবীর আগমণ শুভ হোক। জিবরীল ফেরেশতাকে আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ইনি কে? তিনি বললেনঃ ইনি হলেন আদম। তাঁর ডান ও বাম দিকের রূহগুলো তাঁর সন্তানদের। ডান দিকের রূহগুলো জান্নাতবাসীদের আর বাম দিকের রূহগুলো জাহান্নামীদের। এ জন্যই তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন এবং যখন বাম দিকে তাকান তখন কেঁদে ফেলেন। অতঃপর আমাকে দ্বিতীয় আকাশে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে গিয়ে জিবরীল ফেরেশতা আকাশের রক্ষীকে বললেনঃ দরজা খোল। দ্বিতীয় আকাশের রক্ষী জিবরীলকে প্রথম আকাশের ন্যায়ই প্রশ্ন করলেন।
হাদীছের বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন আকাশে বিভিন্ন নবীর সাক্ষাত পেয়েছেন। যেমন আদম, ইদ্রীস, মূসা, ঈসা এবং ইবরাহীম (আঃ)। তবে কার অবস্থান কোন্ আকাশে তা উল্লেখ করেন নি। কেবল এ টুকু বলেছেন যে, প্রথম আকাশে পেয়েছেন আদম (আঃ)কে এবং ষষ্ট আকাশে পেয়েছেন ইবরাহীম (আঃ)কে।
আনাস (রাঃ) বলেনঃ জিবরীল (আঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে ইদ্রীস (আঃ)এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ইদ্রীস (আঃ) স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও ন্যায়পরায়ন নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ইদ্রীস (আঃ)। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও ন্যায়পরায়ন নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল (আঃ) বললেনঃ তিনি হলেন মূসা (আঃ)। অতঃপর আমি ঈসা (আঃ)এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও পূণ্যবান নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ঈসা (আঃ)। অতঃপর আমি ইবরাহীম (আঃ)এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান নবী ও পূণ্যবান ছেলের আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ইবরাহীম (আঃ)।
ইবনে আব্বাস এবং আবু হাববাহ আনসারী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তারপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল। আমি এমন এক স্তরে পৌঁছলাম যেখানে আমি কলম চলার (কলম দিয়ে লিখার) আওয়াজ শুনতে পেলাম।
আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ অতঃপর আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হল। ফেরত আসার সময় মূসা (আঃ)এর সাথে সাক্ষাত হল। মূসা (আঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহ আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। আপনার উম্মাত পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায পড়তে পারবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। কিছু কমানো হলো।
আসার সময় পুনরায় মূসা (আঃ)এর সাথে সাক্ষাত হলে তাঁকে বললামঃ কিছু কমানো হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। তারা এত নামায পড়তে পারবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। এবারো কিছু কমানো হলো।
ফেরত আসার সময় পুনরায় মূসা (আঃ)এর সাথে আবার সাক্ষাৎ হলে তাঁকে বললামঃ আরো কিছু কমানো হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। আপনার উম্মাত এত নামায পড়তে পারবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। এবারো কিছু কমানো হলো। এবার পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারণ করা হলো। কিন্তু ছাওয়াব পঞ্চাশ ওয়াক্তেরই রয়ে গেল। আল্লাহ বলেনঃ আমার কথার কোন পরিবর্তন হয়না।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়ে মূসা (আঃ)এর কাছে আগমণ করলাম। তিনি আমাকে আবার যেতে বললেন। আমি তাঁকে বললামঃ এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নিকট পুনরায় যেতে লজ্জাবোধ করছি।
অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা আমাকে নিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় গমণ করলেন। তা বিভিন্ন রং দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আমি জানিনা তা কিসের রং। পরিশেষে আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হল। সেখানে দেখলাম মুক্তার হার ঝুলানো আছে। আর দেখলাম জান্নাতে মাটিগুলো কস্ত্তরী দ্বারা নির্মিত।
باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ
- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ أَبُو ذَرٍّ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ فَنَزَلَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَرَجَ صَدْرِي ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيمَانًا فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي ثُمَّ أَطْبَقَهُ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَلَمَّا جِئْتُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالَ جِبْرِيلُ لِخَازِنِ السَّمَاءِ افْتَحْ قَالَ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا جِبْرِيلُ قَالَ هَلْ مَعَكَ أَحَدٌ قَالَ نَعَمْ مَعِي مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أُرْسِلَ إِلَيْهِ قَالَ نَعَمْ فَلَمَّا فَتَحَ عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَإِذَا رَجُلٌ قَاعِدٌ عَلَى يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ وَعَلَى يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ إِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِينِهِ ضَحِكَ وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَسَارِهِ بَكَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ لِجِبْرِيلَ مَنْ هَذَا قَال هَذَا آدَمُ وَهَذِهِ الْأَسْوِدَةُ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيهِ فَأَهْلُ الْيَمِينِ مِنْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَالْأَسْوِدَةُ الَّتِي عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى حَتَّى عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ فَقَالَ لِخَازِنِهَا افْتَحْ فَقَالَ لَهُ خَازِنِهَا مِثْلَ مَا قَالَ الْأَوَّلُ فَفَتَحَ قَالَ أَنَسٌ فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ فِي السَّمَوَاتِ آدَمَ وَإِدْرِيسَ وَمُوسَى وَعِيسَى وَإِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يُثْبِتْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا مَرَّ جِبْرِيلُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِدْرِيسَ قَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالْأَخِ الصَّالِحِ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِدْرِيسُ ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالْأَخِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا مُوسَى ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا عِيسَى ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِبْرَاهِيمُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كان ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَبَا حَبَّةَ الْأَنْصَارِيَّ كَانَا يَقُولَانِ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ عُرِجَ بِي حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوَى أَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الْأَقْلَامِ قَالَ أنس بن مَالِكٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلَاةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ خَمْسِينَ صَلَاةً قَالَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى قُلْتُ وَضَعَ شَطْرَهَا فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ فَرَاجَعْتُهُ فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ لَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَقُلْتُ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَغَشِيَهَا أَلْوَانٌ لَا أَدْرِي مَا هِيَ ثُمَّ أُدْخِلْتُ الْجَنَّةَ فَإِذَا فِيهَا حَبَايِلُ اللُّؤْلُؤِ وَإِذَا تُرَابُهَا الْمِسْكُ
How As-Salat (the Prayer) was prescribed on the night of Al-Isra (miraculous night journey) of the Prophet (pbuh) to Jerusalem (and then to the heavens)
Narrated Abu Dhar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "While I was at Mecca the roof of my house was opened and Gabriel descended, opened my chest, and washed it with Zamzam water. Then he brought a golden tray full of wisdom and faith and having poured its contents into my chest, he closed it. Then he took my hand and ascended with me to the nearest heaven, when I reached the nearest heaven, Gabriel said to the gatekeeper of the heaven, 'Open (the gate).' The gatekeeper asked, 'Who is it?' Gabriel answered: 'Gabriel.' He asked, 'Is there anyone with you?' Gabriel replied, 'Yes, Muhammad I is with me.' He asked, 'Has he been called?' Gabriel said, 'Yes.' So the gate was opened and we went over the nearest heaven and there we saw a man sitting with some people on his right and some on his left. When he looked towards his right, he laughed and when he looked toward his left he wept. Then he said, 'Welcome! O pious Prophet and pious son.' I asked Gabriel, 'Who is he?' He replied, 'He is Adam and the people on his right and left are the souls of his offspring. Those on his right are the people of Paradise and those on his left are the people of Hell and when he looks towards his right he laughs and when he looks towards his left he weeps.'
Then he ascended with me till he reached the second heaven and he (Gabriel) said to its gatekeeper, 'Open (the gate).' The gatekeeper said to him the same as the gatekeeper of the first heaven had said and he opened the gate. Anas said: "Abu Dhar added that the Prophet (ﷺ) met Adam, Idris, Moses, Jesus and Abraham, he (Abu Dhar) did not mention on which heaven they were but he mentioned that he (the Prophet (ﷺ) ) met Adam on the nearest heaven and Abraham on the sixth heaven. Anas said, "When Gabriel along with the Prophet (ﷺ) passed by Idris, the latter said, 'Welcome! O pious Prophet and pious brother.' The Prophet (ﷺ) asked, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Idris." The Prophet (ﷺ) added, "I passed by Moses and he said, 'Welcome! O pious Prophet and pious brother.' I asked Gabriel, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Moses.' Then I passed by Jesus and he said, 'Welcome! O pious brother and pious Prophet.' I asked, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Jesus. Then I passed by Abraham and he said, 'Welcome! O pious Prophet and pious son.' I asked Gabriel, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Abraham.
The Prophet (ﷺ) added, 'Then Gabriel ascended with me to a place where I heard the creaking of the pens." Ibn Hazm and Anas bin Malik said: The Prophet (ﷺ) said, "Then Allah enjoined fifty prayers on my followers when I returned with this order of Allah, I passed by Moses who asked me, 'What has Allah enjoined on your followers?' I replied, 'He has enjoined fifty prayers on them.' Moses said, 'Go back to your Lord (and appeal for reduction) for your followers will not be able to bear it.' (So I went back to Allah and requested for reduction) and He reduced it to half. When I passed by Moses again and informed him about it, he said, 'Go back to your Lord as your followers will not be able to bear it.' So I returned to Allah and requested for further reduction and half of it was reduced. I again passed by Moses and he said to me: 'Return to your Lord, for your followers will not be able to bear it. So I returned to Allah and He said, 'These are five prayers and they are all (equal to) fifty (in reward) for My Word does not change.' I returned to Moses and he told me to go back once again. I replied, 'Now I feel shy of asking my Lord again.' Then Gabriel took me till we '' reached Sidrat-il-Muntaha (Lote tree of; the utmost boundary) which was shrouded in colors, indescribable. Then I was admitted into Paradise where I found small (tents or) walls (made) of pearls and its earth was of musk."
পরিচ্ছেদঃ মি’রাজের রাতে কিভাবে নামায ফরয হল?
২২৬) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন নামায ফরয করেছেন তখন স্বগৃহে (স্বদেশে) থাকাবস্থায় এবং ভ্রমণে থাকাবস্থায় দু’দু’রাকআত করেই ফরয করেছেন। অতঃপর সফর অবস্থার নামায ঠিকই রাখা হয়েছে এবং স্বগৃহে থাকাবস্থার নামায দু’রাকআত বাড়ানো হয়েছে।
باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ
২২৬- عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ فَرَضَ اللَّهُ الصَّلَاةَ حِينَ فَرَضَهَا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
How As-Salat (the Prayer) was prescribed on the night of Al-Isra (miraculous night journey) of the Prophet (pbuh) to Jerusalem (and then to the heavens)
Narrated `Aisha:
the mother of believers: Allah enjoined the prayer when He enjoined it, it was two rak`at only (in every prayer) both when in residence or on journey. Then the prayers offered on journey remained the same, but (the rak`at of) the prayers for non-travelers were increased.