পরিচ্ছেদঃ হাত বা মাথার ইশারায় ফতোয়া দেয়া
৭৫) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ইল্ম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে, ফিতনা-ফাসাদ প্রকাশ পাবে এবং ‘হারজ’ বৃদ্ধি পাবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! হারজ কী? উত্তরে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে দেখালেন। মনে হল তিনি এ দ্বারা হত্যা উদ্দেশ্য করেছেন।
ইসলামিক সেন্টারঃ ৮৫
باب مَنْ أَجَابَ الْفُتْيَا بِإِشَارَةِ الْيَدِ وَالرَّأْسِ
৭৫ـ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ يُقْبَضُ الْعِلْمُ وَيَظْهَرُ الْجَهْلُ وَالْفِتَنُ وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا الْهَرْجُ؟ فَقَالَ هَكَذَا بِيَدِهِ فَحَرَّفَهَا كَأَنَّه يُرِيدُ الْقَتْلَ. (بخارى:৮৫)
Whoever gave a religious verdict by beckoning or by nodding
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "(Religious) knowledge will be taken away (by the death of religious scholars) ignorance (in religion) and afflictions will appear; and Harj will increase." It was asked, "What is Harj, O Allah's Messenger (ﷺ)?" He replied by beckoning with his hand indicating "killing." (Fath-al-Bari Page 192, Vol. 1)
পরিচ্ছেদঃ হাত বা মাথার ইশারায় ফতোয়া দেয়া
৭৬) আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আয়েশা (রাঃ)এর নিকট আগমণ করলাম। তখন তিনি নামাযরত ছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলামঃ মানুষের কী অবস্থা? অর্থাৎ তারা পেরেশান কেন? তিনি আকাশের দিকে ইশারা করলেন। অর্থাৎ তিনি দেখালেন যে, সূর্যগ্রহণ লেগেছে। তখন দেখতে পেলাম সকল মানুষই নামায অবস্থায় আছেন। অতঃপর তিনি সুবহানাল্লাহ বললেন। আমি বললামঃ এটি কি কোন আযাবের নিদর্শন। আয়েশা (রাঃ) মাথা দ্বারা হ্যাঁ সূচক ইঙ্গিত করলেন। অতঃপর আমি তাদের সাথে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আমি বেহুশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। আমি আমার মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম। নামায শেষ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করলেন।
অতঃপর বললেনঃ অতীতে আমাকে যেসমস্ত জিনিষ দেখানো হয়নি আজ আমি এস্থানে তা অবলোকন করেছি। এমন কি জান্নাত-জাহান্নামও দেখেছি। আমার কাছে এই মর্মে অহী এসেছে যে, দাজ্জালের ফিতনার মত অথবা তার কাছাকাছি ফিতনার মাধ্যমে তোমাদেরকে কবরে পরীক্ষা করা হবে। বর্ণনাকারী বলেনঃ আসমা (রাঃ) ‘মত’ বা ‘কাছাকাছি’ এই দু’টি শব্দের কোন্ শব্দটি উল্লেখ করেছেন- তাতে আমার সন্দেহ হচ্ছে। কবরে দাফনকৃত ব্যক্তিকে বলা হবেঃ এই লোকটি তথা মুহাম্মাদ সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? মু’মিন ব্যক্তি বলবেঃ তিনি হলেন আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি আমাদের কাছে সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ এবং হেদায়াত নিয়ে আগমণ করেছিলেন। আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছি এবং তাঁর অনুসরণ করেছি। তিনি হলেন মুহাম্মাদ। সে তিনবার এ কথাটি বলবে। অতঃপর তাকে বলা হবেঃ তুমি এখানে আরামের সাথে ঘুমিয়ে থাকো। আমরা জানতাম তুমি তাঁর প্রতি বিশ্বাসী ছিলে।
আর যারা মুনাফেক বা সন্দেহ পোষণকারী তারা বলবেঃ এ ব্যক্তি সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। তবে লোকদেরকে তাঁর সম্পর্কে যা কিছু বলতে শুনেছি। আমি তাই বলেছি।
ইসলামিক সেন্টারঃ ৮৬
باب مَنْ أَجَابَ الْفُتْيَا بِإِشَارَةِ الْيَدِ وَالرَّأْسِ
৭৬ـ عَنْ أَسْمَاءَ رَضِيَ الله عَنْهَا قَالَتْ: أَتَيْتُ عَائِشَةَ وَهِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ: مَا شَأْنُ النَّاسِ؟ فَأَشَارَتْ إِلَى السَّمَاءِ، فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ، فَقَالَتْ: سُبْحَانَ اللَّهِ، قُلْتُ: آيَةٌ؟ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَيْ نَعَمْ، فَقُمْتُ حَتَّى تَجَلاَّنِي الْغَشْيُ، فَجَعَلْتُ أَصُبُّ عَلَى رَأْسِي الْمَاءَ، فَحَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ النَّبِيُّ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ مَا مِنْ شَيْءٍ لَمْ أَكُنْ أُرِيتُهُ إِلاَّ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي حَتَّى الْجَنَّةُ وَالنَّارُ، فَأُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي قُبُورِكُمْ مِثْلَ أَوْ قَرِيبَ- لا أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ- مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ. يُقَالُ: مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ؟ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ أَوِ الْمُوقِنُ- لا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ- فَيَقُولُ: هُوَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى، فَأَجَبْنَا وَاتَّبَعْنَا، هُوَ مُحَمَّدٌ ثَلاثًا. فَيُقَالُ: نَمْ صَالِحًا، قَدْ عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُوقِنًا بِهِ. وَأَمَّا الْمُنَافِقُ أَوِ الْمُرْتَابُ- لا أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ- فَيَقُولُ: لا أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ. (بخارى:৮৬)
Whoever gave a religious verdict by beckoning or by nodding
Narrated Asma':
I came to `Aisha while she was praying, and said to her, "What has happened to the people?" She pointed out towards the sky. (I looked towards the mosque), and saw the people offering the prayer. Aisha said, "Subhan Allah." I said to her, "Is there a sign?" She nodded with her head meaning, "Yes." I, too, then stood (for the prayer of eclipse) till I became (nearly) unconscious and later on I poured water on my head. After the prayer, the Prophet (ﷺ) praised and glorified Allah and then said, "Just now at this place I have seen what I have never seen before, including Paradise and Hell. No doubt it has been inspired to me that you will be put to trials in your graves and these trials will be like the trials of Masih-ad-Dajjal or nearly like it (the sub narrator is not sure which expression Asma' used). You will be asked, 'What do you know about this man (the Prophet (ﷺ) Muhammad)?' Then the faithful believer (or Asma' said a similar word) will reply, 'He is Muhammad Allah's Messenger (ﷺ) who had come to us with clear evidences and guidance and so we accepted his teachings and followed him. And he is Muhammad.' And he will repeat it thrice. Then the angels will say to him, 'Sleep in peace as we have come to know that you were a faithful believer.' On the other hand, a hypocrite or a doubtful person will reply, 'I do not know, but I heard the people saying something and so I said it.' (the same). "