পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
৩. আবূ মূসা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ও আমাকে আল্লাহ্ যা কিছু দিয়ে পাঠিয়েছেন তার উদাহরণ হল এমন যে, এক লোক তার গোত্রের নিকট এসে বলল, হে আমার গোত্রের লোকেরা! আমি নিজের চোখে সেনাবাহিনীকে দেখে এসেছি। আমি সুস্পষ্ট সতর্ককারী। গোত্রের কিছু লোক তার কথা মেনে নিল, সুতরাং তারা সে জায়গা ছেড়ে কল্যাণের পথে রওনা হল ফলে তারা রক্ষা পেল। তাদের মধ্যেকার আর একদল লোক তার কথা মিথ্যা জানল, ফলে তারা নিজেদের জায়গাতেই রয়ে গেল। সকাল বেলায় শত্রুবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ চালাল, তাদেরকে ধ্বংস করে দিল এবং তাদেরকে উৎপাটিত করে দিল। এই হল তাদের দৃষ্টান্ত যারা আমার আনুগত্য করে এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুসরণ করে এবং তাদের দৃষ্টান্ত যারা আমার কথা অমান্য করে এবং আমি যে সত্য নিয়ে এসেছি তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।”[1]
আরনাউত্ব: বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ
তাখরীজ: বুখারী নং ৬৪৮২, ৭২৮৩; মুসলিম, আস সহীহ ২২৮২।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى قَوْمَهُ فَقَالَ: يَا قَوْمِ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَيْشَ وَإِنِّي أَنَا النَّذِيرُ فَأَطَاعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ قَوْمِهِ فَانْطَلَقُوا عَلَى مَهْلِهِمْ فَنَجَوْا وَكَذَّبَهُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ فَأَصْبَحُوا مَكَانَهُمْ فَصَبَّحَهُمُ الْجَيْشُ وَأَهْلَكَهُمْ وَاجْتَاحَهُمْ فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ أَطَاعَنِي وَاتَّبَعَ مَا جِئْتُ بِهِ وَمَثَلُ مَنْ عَصَانِي وَكَذَّبَ مَا جِئْتُ بِهِ مِنَ الحق)
الجزء: 1 ¦ الصفحة: 144
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যে হিদায়াত ও ’ইল্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল ভূমির উপর পতিত প্রবল বর্ষণের ন্যায়। কোন কোন ভূমি থাকে উর্বর যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। এছাড়াও, তা পানি আটকে রাখে। পরে আল্লাহ তা’আলা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন; তারা নিজেরা পান করে ও (পশুপালকে) পান করায় এবং তা দ্বারা চাষাবাদ করে। আবার কোন কোন জমি রয়েছে যা একেবারে মসৃণ ও সমতল; তা না পানি আটকে রাখে, আর না কোন ঘাসপাতা উৎপাদন করে। এই হল সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত যে আল্লাহ’র দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তা তার উপকারে আসে। ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং আমল করে। আর সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত- যে সে দিকে মাথা তুলেও দেখে না এবং আল্লাহর যে হিদায়াত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি, তা গ্রহণও করে না।”[1]
আরনাউত: এটি পূর্বের সনদ। (বুখারী মুসলিমের শর্তানযায়ী সহীহ।)
তাখরীজ: বুখারী, ৭৯; মুসলিম ২২৮২; আহমাদ ৪/৩৯৯;
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِنَّ مَثَلَ مَا آتَانِي اللَّهُ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَصَابَ أَرْضًا فَكَانَتْ مِنْهَا طَائِفَةٌ طَيِّبَةٌ قَبِلَتْ ذَلِكَ فَأَنْبَتَتِ الْكَلَأَ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ وَأَمْسَكَتِ الْمَاءَ فَنَفَعَ اللَّهُ بِهَا النَّاسَ فَشَرِبُوا مِنْهَا وَسَقَوْا وَزَرَعُوا وَأَصَابَ مِنْهَا طَائِفَةٌ أُخْرَى إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لَا تُمْسِكُ مَاءً وَلَا تُنْبِتُ كَلَأً فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقُهَ فِي دِينِ اللَّهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ فَعَلِمَ وَعَمِلَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللَّهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ)
[تعليق الشيخ الألباني :صحيح: ق.]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق.
الحديث: 3 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 144
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ وَصْفِ الْفِرْقَةِ النَّاجِيَةِ مِنْ بَيْنِ الْفَرَقِ الَّتِي تَفْتَرِقُ عَلَيْهَا أُمَّةُ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত যে সকল ফিরকাসমূহে বিভক্ত হবে, তাদের মোকাবেলায় ফিরকায়ে নাজিয়াহ (মুক্তিপ্রাপ্ত দল) এর বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা:
৫. আব্দুর রাহমান ইবনু আমর আস-সুলামী ও হুজর ইবনু হুজর আলকালাঈ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ (রাঃ)-এর নিকট আসলাম। যাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়েছে তিনি তাদের অন্তর্ভুক্তঃ ’’তাদেরও কোনো অপরাধ নেই যারা তোমার নিকট বাহনের জন্য এলে তুমি বলেছিলেঃ আমি তোমাদের জন্য কোনো বাহনের ব্যবস্থা করতে পারছি না।’’ (সূরা আত-তাওবাঃ ৯২)।
আমরা সালাম দিয়ে বললাম, আমরা আপনাকে দেখতে এবং আপনার কাছ থেকে কিছু অর্জন করতে এসেছি। তখন ইরবাদ (রাঃ) বললেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন, অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে আমাদের উদ্দেশ্য জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন, তাতে চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হলো এবং অন্তরগুলো বিগলিত হলো।
তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ যেন বিদায়ী ভাষণ! অতএব আপনি আমাদেরকে কি নির্দেশ দেন? তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির এবং শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন অঙ্গকর্তিত হাবশী গোলামও হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা আঁকড়ে ধরবে, এমনকি তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান থাকবে (ধর্মে) প্রতিটি নব আবিষ্কৃত বিষয় সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নব আবিষ্কার হলো বিদ’আত এবং প্রতিটি বিদ’আত হলো ভ্রষ্টতা।[1]
আরনাউত: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১২৬-২৭; আবূ দাউদ ৪৬০৭; তিরমিযী, ২৬৭৬; ইবনু মাজাহ, ৪৪; দারেমী ১/৪৪; হাকিম ১/৯৫ (হাকিম ও যাহাবী : সহীহ)
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أخبرنا أحمد بن مكرم بن خالد البرتي حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو السُّلَمِيُّ وَحُجْرُ بْنُ حُجْرٍ الْكَلَاعِيُّ قَالَا:
أَتَيْنَا الْعِرْبَاضَ بْنَ سَارِيَةَ وَهُوَ مِمَّنْ نَزَلَ فِيهِ: {وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ} [التوبة: 92] فَسَلَّمْنَا وَقُلْنَا: أَتَيْنَاكَ زَائِرَيْنَ وَمُقْتَبِسَيْنِ فَقَالَ الْعِرْبَاضُ:
(صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا؟ قَالَ:
أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعًا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ فَتَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وكل بدعة ضلالة)
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الصحيحة) (937 و 3007) , (ظلال الجنة) (26 ـ 34).
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
قَالَ: أَبُو حَاتِمٍ فِي قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي) عِنْدَ ذِكْرِهِ الِاخْتِلَافَ الَّذِي يَكُونُ فِي أُمَّتِهِ بَيَانٌ وَاضِحٌ أَنَّ مَنْ وَاظَبَ عَلَى السُّنَنِ قَالَ بِهَا وَلَمْ يُعَرِّجْ عَلَى غَيْرِهَا مِنَ الْآرَاءِ مِنَ الْفِرَقِ النَّاجِيَةِ فِي الْقِيَامَةِ جَعَلَنَا اللَّهُ مِنْهُمْ بِمَنِّهِ)
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) রাহি. রাসূলুল্লাহ বলেন: সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণী: তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে থাকবে”- সম্পর্কে বলেন: তাঁর উম্মাতের মাঝে মতবিরোধ বর্ণনার সময়ে যার উল্লেখ তিনি করেছেন, তা সুস্পষ্ট বর্ণনা করে যে, যে ব্যক্তি সুন্নাহ’র উপর চলতে থাকবে, সুন্নাহ’র কথা বলতে থাকবে; আর এ ব্যতীত অন্য কোন রায় বা মতামতের অভিমুখী হবে না, সেই লোক কিয়ামত দিবসে ফিরকায়ে নাজিয়াহ’ (মুক্তিপ্রাপ্ত দলসমূহ)-এর অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর নিজ অনুগ্রহে আমাদের তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ سُنَنِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِفْظِهِ نَفْسَهُ عَنْ كُلِّ مَنْ يَأْبَاهَا مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ وَإِنْ حَسَّنُوا ذَلِكَ فِي عَيْنِهِ وزينوه
সেই সকল হাদীসসমূহের বর্ণনা - যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহকে আঁকড়ে থাকা এবং যারা সুন্নাহকে অস্বীকার করে, এমন সকল বিদ’আতী ব্যক্তিদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাকে ওয়াজিব বানিয়ে দেয়, যদিও তারা সেটি তাঁর নিকট সৌন্দর্যমণ্ডিত ও সুশোভিত করে উপস্থাপন করে:
৬. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সরল রেখা টেনে বললেন: “এটা হল আল্লাহর রাস্তা। অতঃপর ডানে ও বামে আরও কতকগুলি রেখা টেনে বললেন: “এও কতকগুলি রাস্তা; তবে এর প্রত্যেক রাস্তার উপরই একটি করে শয়তান রয়েছে, তারা লোকদেরকে তার দিকে আহ্বান করছে। অতঃপর তিনি (প্রমাণ স্বরূপ) পাঠ করলেন: (“নিশ্চয়ই এটিই আমার সরল পথ, তোমরা এরই অনুসরণ কর ... (সুরা আনআম ৬: ১৫৩) আয়াতের শেষ পযর্ন্ত।[1]
আরনাউত্ব: ‘হাসান’।
তাখরীজ: তায়ালিসী ২৪৪; আহমাদ, ১/৪৩৫, ৪৬৫; দারেমী ১/৬৭-৬৮; তাবারী, তাফসীর ১৪১৬৮; বাযযার, ২৪১০; হাকিম, আল মুস্তাদরাক, ২/৩১৮। ( হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা বজায় রেখেছেন।)
জাবির রা: হতেও বর্ণিত আছে আহমাদ ৩/৩৯৭; ইবনু মাজাহ ১১ তে।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعُمَرِيُّ بِالْمَوْصِلِ حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ:
خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطًّا فَقَالَ:
(هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ) ثُمَّ خَطَّ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ قَالَ:
وَهَذِهِ سُبُلٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُو إِلَيْهِ ثُمَّ تَلَا: {وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا ... }) إلى أخر الآية [الأنعام: 153].
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - (الظلال) (16و17)
الحديث: 6 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 146
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ تَرْكِ تَتَبُّعِ السُّبُلِ دُونَ لُزُومِ الطَّرِيقِ الَّذِي هُوَ الصراط المستقيم
(সঠিক) পন্থা-যেটিই সিরাতে মুস্তাকিম-তা আঁকড়ে ধরার মোকাবেলায় অন্যান্য সকল পথ-পন্থার অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকাকে ওয়াজিব করে যে সকল বর্ণনা:
৭. অপর সনদে, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ বলেন, আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ডানে ও বামে কতকগুলি রেখা টেনে বললেন: “এ হলো কতকগুলি রাস্তা; এর প্রত্যেক রাস্তার উপরই একটি করে শয়তান রয়েছে, তারা লোকদেরকে তার দিকে আহ্বান করছে। অতঃপর তিনি (প্রমাণ স্বরূপ) পাঠ করলেন: (“নিশ্চয়ই এটিই আমার সরল পথ, তোমরা এরই অনুসরণ কর ... (সুরা আনআম ৬: ১৫৩) আয়াতের শেষ পযর্ন্ত।[1]
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمُعَدَّلُ بِالْفُسْطَاطِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ:
خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَقَالَ:
(هَذِهِ سُبُلٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُو لَهُ) ثُمَّ قَرَأَ: {وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فتفرق بكم عن سبيله ... } الآية كلها [الأنعام: 153]. [ص: 147]
= [66: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - مكرر ما قبله.
الحديث: 7 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 146
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ مَنْ أَحَبَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا وَصَفِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِيثَارِ أمرهما وابتغاء مرضاتهما على رضا مَنْ سِوَاهُمَا يَكُونُ فِي الْجَنَّةِ مَعَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর বন্ধু (নবী) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসবে, তাঁদের আদেশকে প্রাধান্য দিবে, তাঁদের ব্যতীত অন্য সকলের সন্তুষ্টির মোকাবেলায় তাঁদের সন্তুষ্টি অর্জনকে প্রাধান্য দিবে, তারা নাবী মুস্তফাসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে জান্নাতে থাকবে- এ সংক্রান্ত বর্ণনাসমূহ:
৮. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করে- আর বেদুইনরাই তাঁর সাহাবীগণের চেয়ে তাঁকে প্রশ্ন করার ব্যাপারে অধিক উপযুক্ত ছিল।[1] সে বললো, হে আল্লাহর নবী! কিয়ামত কখন হবে? তিনি বলেনঃ তুমি তার জন্য কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছো? সে বললো, আমি ব্যাপক কিছু প্রস্তুতি নিতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি যাকে ভালোবাসো, তুমি তার সাথেই থাকবে। আনাস (রাঃ) বলেন, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে সেদিন মুসলিমরা যতো অধিক খুশি হয়েছে, আর কোন দিন আমি তাদেরকে এতো খুশি হতে দেখিনি।[2]
[2] আলবানী: সহীহ।
আরনাউত: বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ৬১৬৭; আদাবুল মুফরাদ ৩৫২; মুসলিম ২৬৩৯ (১৬৪); আহমাদ ৩/১৭৩; আবূ দাউদ, ৫১২৭; তিরমিযী, ২৩৮৫; হাদীসটি মুতাওয়াতির।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ:
أَنَّ أَعْرَابِيًّا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَكَانُوا هُمْ أَجْدَرَ أَنْ يَسْأَلُوهُ من أصحابه - فقال: يارسول اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ؟ قَالَ:
(وَمَا أَعْدَدْتَ لَهَا)؟ قَالَ: مَا أَعْدَدْتُ لَهَا إِلَّا أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قَالَ: (فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ)
قَالَ أَنَسٌ: فَمَا رَأَيْتُ الْمُسْلِمِينَ فَرِحُوا بِشَيْءٍ بعد الإسلام أشد من فرحهم بقوله
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الروض النضير) (104 - 106 و 360 - 361 و 370 و 1028): ق.
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ هَدْيِ الْمُصْطَفَى بِتَرْكِ الِانْزِعَاجِ عَمَّا أُبِيحَ مِنْ هَذِهِ الدُّنْيَا لَهُ بِإِغْضَائِهِ
দুনিয়ার বৈধ বিষয়সমূহের থেকে পাওয়া কষ্ট পরিত্যাগ করা ও এসবের প্রতি উদাসীন হওয়ার ব্যাপারে নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথনির্দেশনা ওয়াজিব- এ মর্মে বর্ণনা:
৯. উরওয়াহ রাহি. হতে আয়িশা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) এর নিকট উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) এর স্ত্রী খাওলাহ বিনতু হাকীম (রাঃ) প্রবেশ করলেন। তাঁর বেশ-ভুষা ছিল যত্নহীন-জীর্ণ-শীর্ণ। আয়িশা (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী অবস্থা? তখন তিনি বললেন: আমার স্বামী সারারাত সালাত আদায় করেন, দিনে সিয়াম পালন করেন। (অর্থাৎ আমার দিকে তাঁর নজর নেই।) আর তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবেশ করলেন। আয়িশা তাঁর নিকট বিষয়টি উল্লেখ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) সাথে সাক্ষাত করে বললেন: হে উসমান! আমাদের জন্য বৈরাগ্যকে ফরয করা হয়নি। আর আমার মধ্যে কি তোমার জন্য উত্তম আদর্শ নেই? অথচ, আল্লাহর কসম! আমিই তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহকে ভয় করি এবং আল্লাহর সীমারেখা সর্বাধিক রক্ষা করি।[1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৬/২২৬; বাযযার, ১৪৫৭-৫৮; মাজমা, ৩/৩০১-৩০২।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
َمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ [ص: 148] عَنْهَا قَالَتْ:
دَخَلَتِ امْرَأَةُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ وَاسْمُهَا خَوْلَةُ بِنْتُ حَكِيمٍ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ بَذَّةُ الْهَيْئَةِ فَسَأَلَتْهَا عَائِشَةُ: مَا شَأْنُكِ؟ فَقَالَتْ: زَوْجِي يَقُومُ اللَّيْلَ وَيَصُومُ النَّهَارَ فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ عَائِشَةُ ذَلِكَ لَهُ فَلَقِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ فَقَالَ
(يَا عُثْمَانُ إِنَّ الرَّهْبَانِيَّةَ لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْنَا أَمَا لَكَ فِيَّ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ! فوالله إني لأخشاكم لله وأحفظكم لحدوده)
= [66: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (صحيح أبي داود) (1239)
الحديث: 9 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 147
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ تَحَرِّي اسْتِعْمَالِ السُّنَنِ فِي أَفْعَالِهِ وَمُجَانَبَةِ كُلِّ بِدْعَةٍ تُبَايِنُهَا وَتُضَادُّهَا
কাজে-কর্মে সুন্নাহ প্রয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা এবং পরস্পর বিরোধী ও ধ্বংসকারী বিদ’আত (দীনে নব-উদ্ভাবিত বিষয়াবলী) পরিত্যাগ করাকে ওয়াজিব করে- এমন হাদীসসমূহের বর্ণনা:
১০. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খুতবা দিতেন তখন তার চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করতো, তাঁর কণ্ঠস্বর উঁচু হত এবং কঠোর রাগ প্রকাশ পেত। মনে হত, তিনি যেন কোনো আক্রমণকারী বাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করছেন। তিনি বলতেন, তারা তোমাদের সকালে আক্রমণ করবে এবং বিকেলে আক্রমণ করবে। তিনি বলতেন, আমি প্রেরিত হয়েছি এমন অবস্থায় যে, আমি ও কিয়ামত এ দুটির ন্যায় এবং মধ্যম আঙ্গুলি ও শাহাদাত আঙ্গুলি মিলিয়ে দেখাতেন। বলতেন, উত্তম বাণী হল আল্লাহ তা’আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম হিদায়াত হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিদায়াত। নিকৃষ্ট বিষয় হলো বিদআত (দ্বীনে নতুন আবিষ্কৃত বিষয়সমূহ) সকল বিদআতই হল পথভ্রষ্টতা। এরপর বলতেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার প্রাণ হতে অধিক প্রিয়তর। যে মৃত ব্যাক্তি মাল সম্পদ রেখে যায়, তা তার পরিবার পরিজনদের জন্য। আর যে মৃতব্যাক্তি ঋণ অথবা ছোট ছেলেমেয়ে রেখে যায়, তা আমার প্রতি আরোপিত হবে এবং তাদের দায়িত্ব আমার উপর।[1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৩১০, ৩৩৮, ৩৭১; মুসলিম ৮৬৭ (৪৪) ও (৪৫); নাসাঈ, ৩/১৮৮; ইবনু খুযাইমা ১৭৮৫।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَوْصِلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ:
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم إذا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلَا صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ نَذِيرُ جَيْشٍ يَقُولُ:
صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ وَيَقُولُ:
(بُعثت أَنَا وَالسَّاعَةِ كَهَاتَيْنِ) - يُفَرِّقُ بَيْنَ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى - وَيَقُولُ:
(أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَإِنَّ شَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ) ثُمَّ يَقُولُ:
(أَنَا أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ مَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِأَهْلِهِ وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ [ص: 149] ضيعة فإلي وعلي)
= [66: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (الإرواء) (608 و 611) , (أحكام الجنائز) (ص29 - 30) , (خطبة الحاجة) (ص34 - 35).
الحديث: 10 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 148
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ إِثْبَاتِ الْفَلَاحِ لِمَنْ كَانَتْ شِرَّتُهُ إِلَى سُنَّةِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
যে ব্যক্তির উদ্দীপনা হতে নবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর দিকে, তা তার জন্য সফলতার প্রমাণ- এ মর্মে বর্ণনা:
১১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: প্রত্যেক কাজের উদ্দীপনা (এর সময়) রয়েছে এবং প্রত্যেক উদ্দীপনায় অবসাদ রয়েছে। আর যার উদ্দীপনা নিবেদিত হবে আমার সুন্নাতের দিকে, সে তো সফলতা লাভ করল। আর যার উদ্দীপনা নিবেদিত হবে এ ব্যতীত অন্যকিছুর দিকে, সে ধ্বংস হলো। [1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ২/১৫৮, ১৮৮, ২১০; তাহাবী, মুশকিলিল আসার ২/৮৮; মাজমা, ২/২৫৮-৫৯।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِنَّ لِكُلِّ عَمَلٍ شِرَّةً وَإِنَّ لِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةً فَمَنْ كَانَتْ شِرَّتُهُ إِلَى سُنَّتِي فَقَدْ أَفْلَحَ وَمَنْ كَانَتْ شِرَّتُهُ إلى غير ذلك فقد أهلك)
= [89: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (الظلال) (151)
الحديث: 11 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 149
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحِ بِأَنَّ سُنَنَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّهَا عَنِ اللَّهِ لَا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ
নবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ’র প্রত্যেকটি বিষয় আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে, তার নিজের পক্ষ হতে নয়- এ মর্মে বর্ণিত সুস্পষ্ট হাদীসসমূহ:
১২. আল-মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রাখো! আমাকে কিতাব এবং তার সঙ্গে অনুরূপ কিছু দেয়া হয়েছে। জেনে রাখো! এমন এক সময় আসবে যখন কোনো পরিতৃপ্ত লোক তার গদিওয়ালা আসনে বসে বলবে, আমার ও তোমাদের মাঝে এ কিতাব (কুরআন)ই-রয়েছে। তাতে আমরা যা হালাল পাবো তা হালাল জানবো এবং যা হারাম পাবো, তা হারাম বলে গ্রহণ করবো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জেনে রাখো! বিষয়টি কিছুতেই তা নয়।[1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১৩১-৩২; আবূ দাউদ ৪৬০৪; তিরমিযী, ২৬৬৪; ইবনু মাজাহ ১২; দারেমী ১/১৪৪; হাকিম ১/১০৯। তিরমিযী হাসান এবং হাকিম ও যাহাবী সহীহ বলেছেন।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ الْكَلَاعِيُّ بِحِمْصَ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ عَنِ مَرْوَانَ بْنِ رُؤْبَةَ عَنِ ابْنِ أَبِي عَوْفٍ عن المقدام بن معدي كرب عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ:
(إِنِّي أُوتِيتُ الْكِتَابَ وَمَا يَعْدِلُهُ يُوشِكُ شَبْعَانٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ أَنْ يَقُولَ: بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ هَذَا الْكِتَابُ فَمَا كَانَ فِيهِ مِنْ حَلَالٍ أَحْلَلْنَاهُ وَمَا كَانَ فِيهِ مِنْ حَرَامٍ حرمناه ألا وإنه ليس كذلك) [ص: 150]
= [1: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (الصحيحة) (2869)، (المشكاة) (163).
الحديث: 12 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 149
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
১৩. আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি যেন (তোমাদের) কোনো ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় না জানি যে, তার নিকট আমার পক্ষ হতে কোনো বিষয় পৌঁছাবে- যা আমি আদেশ করেছি কিংবা যা থেকে আমি নিষেধ করেছি, তখন সে বলবে, আমি জানিনা, এটা কী। (শুধু জানি) আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব রয়েছে, আর এটি তাতে নেই।[1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ১/১৭; আবূ দাউদ ৪৬০৫; তিরমিযী, ২৬৬৩; ইবনু মাজাহ ১৩; হাকিম ১/১০৮। হাকিম ও যাহাবী সহীহ বলেছেন।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَا أَعْرِفَنَّ الرَّجُلَ يَأْتِيهِ الْأَمْرُ مِنْ أَمْرِي إِمَّا أَمَرْتُ بِهِ وَإِمَّا نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ: مَا نَدْرِي مَا هَذَا عِنْدَنَا كتاب الله ليس هذا فيه)
= [1: 2]
تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (المشكاة) (162)
[ الحديث: 13 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 150
পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ الرَّغْبَةِ عَنْ سُنَّةِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَقْوَالِهِ وَأَفْعَالِهِ جميعاً
নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল কথা ও কাজের সুন্নাহ থেকে যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার শাস্তির বর্ণনা:
১৪. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীদের নিকট তার গোপন ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ বললেন, আমি কখনও বিয়ে করব না, কেউ বললেন, আমি কখনও মাংস খাব না, কেউ বললেন, আমি কখনও বিছানায় ঘুমাব না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন অতঃপর বললেনঃ “লোকদের কী হল যে, তারা এরূপ এরূপ বলছে? অথচ আমি তো সালাত আদায় করি, আবার ঘুমাই আমি সওম পালন করি, আবার রোযা ভাঙিও এবং নারীদেরকে বিয়েও করি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে আমার কেউ নয়।"[1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/২৪১, ২৫৯, ২৮৫; মুসলিম ১৪০১; বুখারী, ৫০৬৩; নাসাঈ ৬/৬০।
بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ:
أَنَّ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلُوا أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَمَلِهِ فِي السِّرِّ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا أَتَزَوَّجُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا آكُلُ اللَّحْمَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا أَنَامُ عَلَى فِرَاشٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ:
(مَا بَالُ أَقْوَامٍ قَالُوا كَذَا وَكَذَا لَكِنِّي أُصَلِّي وَأَنَامُ وَأَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عن سنتي فليس مني)
= [61: 2]
تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الإرواء) (1782): ق.