পরিচ্ছেদঃ ৭. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।

৪৯৭৮. হাফ্‌স ইবন উমার (রহঃ) ..... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার ফাতিমা (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে এ মর্মে অভিযোগ পেশ করেন যে, যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে তার হাতে ফোঁসকা পড়ে গেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছু যুদ্ধ বন্দী আসলে, ফাতিমা (রাঃ) তা থেকে একটা দাসী চাওয়ার জন্য আসেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে দেখা না হওয়ায়, তিনি ব্যাপারটি আইশা (রাঃ)-কে জানিয়ে যান। পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সময় আমাদের কাছে আসেন, যখন আমরা শুয়ে পড়েছিলাম। আমরা উঠতে চাইলে, তিনি বলেনঃ তোমরা দু’জন শুয়ে থাক। এরপর তিনি এসে আমাদের মাঝখানে বসে পড়েন, এমন কি আমি তাঁর পায়ের ঠান্ডা আমার বুকের মধ্যে অনুভব করতে থাকি। তারপর তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এর চাইতে উত্তম বিষয় সম্পর্কে অবহিত করবো না, যা তোমরা চেয়েছো-তার চাইতে? আর তা হলোঃ যখন তোমরা শয়ন করবে, তখন সুবহানাল্লাহ-৩৩ বার, আল-হামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার-৩৪ বার পাঠ করব। এটি তোমাদের জন্য দাস-দাসী থেকেও উত্তম।

باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، - الْمَعْنَى - عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، - قَالَ مُسَدَّدٌ - قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ شَكَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى فَأُتِيَ بِسَبْىٍ فَأَتَتْهُ تَسْأَلُهُ فَلَمْ تَرَهُ فَأَخْبَرَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ فَأَتَانَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا لِنَقُومَ فَقَالَ ‏"‏ عَلَى مَكَانِكُمَا ‏"‏ ‏.‏ فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا حفص بن عمر، حدثنا شعبة، ح وحدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن شعبة، - المعنى - عن الحكم، عن ابن ابي ليلى، - قال مسدد - قال حدثنا علي، قال شكت فاطمة الى النبي صلى الله عليه وسلم ما تلقى في يدها من الرحى فاتي بسبى فاتته تساله فلم تره فاخبرت بذلك عاىشة فلما جاء النبي صلى الله عليه وسلم اخبرته فاتانا وقد اخذنا مضاجعنا فذهبنا لنقوم فقال ‏"‏ على مكانكما ‏"‏ ‏.‏ فجاء فقعد بيننا حتى وجدت برد قدميه على صدري فقال ‏"‏ الا ادلكما على خير مما سالتما اذا اخذتما مضاجعكما فسبحا ثلاثا وثلاثين واحمدا ثلاثا وثلاثين وكبرا اربعا وثلاثين فهو خير لكما من خادم ‏"‏ ‏.‏


Ali said :
Fatimah complained to the Prophet (May peace be upon him) of the effect of the grinding stone on her hand. Then some slaves (prisoners of war) were brought to him. So she went to him to ask for (one of) them, but she did not find him. She mentioned the matter to ‘A’ishah. When the prophet (May peace be upon him) came, she informed him. He (the prophet) visited us (Ali) when we had gone to bed, and when we were about to get up, he said: stay where you are. He then came and sat down between us (her and me), and I felt the coldness of his feet on my chest. He then said; “Let me guide to something better than what you have asked. When you go bed, say: Glory be to Allah” thirty-three times.”Praise be to Allah” thirty-three times, and “ Allah is most Great” thirty-four times. That will be better for you than a servant.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ নিদ্রা সম্পর্কীয় (كتاب النوم) 37. Sleeping and others (General Behavior)

পরিচ্ছেদঃ ৭. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।

৪৯৭৯. মুআম্মাল ইবন হিশাম (রহঃ) ..... আবূ ওরদ ইবন ছুমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) ইবন আবুদ (রহঃ)-কে বলেন যে, আমি কি তোমাকে আমার ও ফাতিমা বিনত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘটনাটি বলবো না? যিনি তাঁর পরিবারের মধ্যে, তাঁর কাছে সবচাইতে প্রিয় ছিলেন, আর যিনি আমার কাছে থাকতেন, (অর্থাৎ আমার স্ত্রী ছিলেন।) যাঁতায় গম পেষার কারণে তাঁর হাতে ফোঁসকা পড়েছিল এবং মশকে পানি ভরার কারণে বুকে ব্যথা হয়েছিল, আর ঘর ঝাড়ু দেয়ার কারণে তাঁর কাপড়-চোপড় ধূলা-বালিতে ভরে যেত, আর রান্না-বান্না করার কারণে তাঁর কাপড় কাল হয়ে গিয়েছিল। এ সব কাজ নিজে করার কারণে তাঁর খুবই কষ্ট হতো। আমি শুনতে পাই যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু দাস-দাসী এসেছে। তখন আমি ফাতিমাকে বলিঃ তুমি যদি তোমার পিতার কাছে যেতে এবং তাঁর কাছে একটা দাস চেতে, তবে তোমার খিদমতের জন্য সে যথেষ্ট হতো।

এ কথা শুনে ফাতিমা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যায়, কিন্তু সে তাঁকে লোকদের সাথে কথাবার্তা বলতে দেখে, লজ্জায় কিছু না বলে ফিরে আসে। পরদিন সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসেন, আর এ সময় আমরা লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিলাম। তিনি ফাতিমা (রাঃ)-এর মাথার কাছে বসেন। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ হে মুহাম্মদের পরিবার! গতকাল তুমি কিসের প্রয়োজনে আমার কাছে গিয়েছিলে? ফাতিমা (রাঃ) দুবার এ কথা শুনে চুপ থাকে। তখন আলী (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার কাছে বর্ণনা করবো। আমার ঘরে যাঁতায় গম-পেষার কারণে তাঁর হাতে ফোঁসকা পড়ে গেছে, মশক ভরে পানি টানতে টানতে তার বুকে ব্যথা হয়েছে, ঘর ঝাড়ু দেয়ার কারণে তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেছে এবং রান্না-বান্না করার কারণে তাঁর বস্ত্র কাল হয়ে গেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনার কাছে কিছু দাস-দাসী এসেছে; তাই একটা দাসী চাওয়ার জন্য আমি তাকে আপনার কাছে পাঠাই। এরপর তিনি হাদীছের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে।

باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ الْيَشْكُرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ بْنِ ثُمَامَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ لاِبْنِ أَعْبَدَ أَلاَ أُحَدِّثُكَ عَنِّي وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ أَحَبَّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ وَكَانَتْ عِنْدِي فَجَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ بِيَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَقَمَّتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا وَأَصَابَهَا مِنْ ذَلِكَ ضُرٌّ فَسَمِعْنَا أَنَّ رَقِيقًا أُتِيَ بِهِمْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا يَكْفِيكِ ‏.‏ فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَاسْتَحْيَتْ فَرَجَعَتْ فَغَدَا عَلَيْنَا وَنَحْنُ فِي لِفَاعِنَا فَجَلَسَ عِنْدَ رَأْسِهَا فَأَدْخَلَتْ رَأْسَهَا فِي اللِّفَاعِ حَيَاءً مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ ‏ "‏ مَا كَانَ حَاجَتُكِ أَمْسِ إِلَى آلِ مُحَمَّدٍ ‏"‏ ‏.‏ فَسَكَتَتْ مَرَّتَيْنِ فَقُلْتُ أَنَا وَاللَّهِ أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ جَرَّتْ عِنْدِي بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَكَسَحَتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا وَبَلَغَنَا أَنَّهُ قَدْ أَتَاكَ رَقِيقٌ أَوْ خَدَمٌ فَقُلْتُ لَهَا سَلِيهِ خَادِمًا ‏.‏ فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ الْحَكَمِ وَأَتَمَّ ‏.‏

حدثنا مومل بن هشام اليشكري، حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، عن الجريري، عن ابي الورد بن ثمامة، قال قال علي لابن اعبد الا احدثك عني وعن فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم وكانت احب اهله اليه وكانت عندي فجرت بالرحى حتى اثرت بيدها واستقت بالقربة حتى اثرت في نحرها وقمت البيت حتى اغبرت ثيابها واوقدت القدر حتى دكنت ثيابها واصابها من ذلك ضر فسمعنا ان رقيقا اتي بهم الى النبي صلى الله عليه وسلم فقلت لو اتيت اباك فسالتيه خادما يكفيك ‏.‏ فاتته فوجدت عنده حداثا فاستحيت فرجعت فغدا علينا ونحن في لفاعنا فجلس عند راسها فادخلت راسها في اللفاع حياء من ابيها فقال ‏ "‏ ما كان حاجتك امس الى ال محمد ‏"‏ ‏.‏ فسكتت مرتين فقلت انا والله احدثك يا رسول الله ان هذه جرت عندي بالرحى حتى اثرت في يدها واستقت بالقربة حتى اثرت في نحرها وكسحت البيت حتى اغبرت ثيابها واوقدت القدر حتى دكنت ثيابها وبلغنا انه قد اتاك رقيق او خدم فقلت لها سليه خادما ‏.‏ فذكر معنى حديث الحكم واتم ‏.‏


‘Ali said to Ibn A’bad :
should I not tell you about me and about Fatimah, daughter of the Messenger of Allah (May peace be upon him). She was dearest to him of his family. When she was with me, she pulled mill-stone which affected her hand; she carried water with the water-bag which affected the upper portion of her chest: She swept the house so much so that her clothes became dusty; and she cooked food by which her clothes became black, and it harmed her. We heard that some slaves had been brought to the prophet (May peace be upon him). I said: if you go to your father and ask him for a servant, that will be sufficient for you. She came to him and found some people talking to him. She felt shy and returned. Next morning he visited us when we were in our quilt. He sat beside her head, and she took her head into the quilt out of shame from her father. He asked: What need had you with me, O family of Muhammad? She kept silence twice. I then said : I swear by Allah, I shall tell you. She pulls the mile-stone which has affected her hand; she carrys water with the water-bag which has affected the upper portion of her chest; she sweeps the house by which her clothes have become dusty, and she cooks food by which her clothes have become black. We were told that some slaves or servants had come to you. So I said to her; ask him for a servant. He then mentioned the rest of the tradition to the same effect as mentioned by al-Hakam rather more perfectly.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ নিদ্রা সম্পর্কীয় (كتاب النوم) 37. Sleeping and others (General Behavior)

পরিচ্ছেদঃ ৭. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।

৪৯৮০. আব্বাস আনবারী (রহঃ) .... আলী (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি একথাগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যখন বর্ণনা করতে শুনেছি, তখন থেকে তা পাঠ করতে ভুলিনি, তবে সিফফীনের-যুদ্ধের রাতে তা পড়তে ভুলে যাই। কিন্তু শেষ রাতে স্মরণ হওয়ায়, তখন আমি তা পাঠ করি।

باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ شَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فِيهِ قَالَ عَلِيٌّ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ لَيْلَةَ صِفِّينَ فَإِنِّي ذَكَرْتُهَا مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَقُلْتُهَا ‏.‏

حدثنا عباس العنبري، حدثنا عبد الملك بن عمرو، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن يزيد بن الهاد، عن محمد بن كعب القرظي، عن شبث بن ربعي، عن علي، عليه السلام عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا الخبر قال فيه قال علي فما تركتهن منذ سمعتهن من رسول الله صلى الله عليه وسلم الا ليلة صفين فاني ذكرتها من اخر الليل فقلتها ‏.‏


Narrated Ali ibn AbuTalib:

The tradition (about Tasbih Fatimah) has been transmitted by Ali to the same effect through a different chain of narrators.

This version adds: Ali said: I did not leave them (Tasbih Fatimah) since I heard them from the Messenger of Allah (ﷺ) except on the night of Siffin, for I remembered them towards the end of the night and then I uttered them.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ নিদ্রা সম্পর্কীয় (كتاب النوم) 37. Sleeping and others (General Behavior)

পরিচ্ছেদঃ ৭. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।

৪৯৮১. হাফ্‌স ইবন উমার (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্‌ ইবন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’টি বিষয় এমন, যদি কোন মুসলিম সব সময় তা হিফায়ত করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ দু’টি ব্যাপার (কাজ) খুবই সহজ, কিন্তু এর উপর আমলকারীর সংখ্যা খুবই কম! তা হলোঃ প্রত্যেক সালাতের পর ১০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ১০ বার আল্লাহু আকবর পাঠ করা। যা সারা দিনে মোট ১৫০ বার হয়ে থাকে মুখে পাঠ করাতে। আর কিয়ামতের দিন এর ছাওয়াব মীযানে ১,৫০০ বার পাঠের সম-পরিমাণ হবে।

(তিনি আরো বলেনঃ) আর শয়নকালে আল্লাহু-আকবর- ৩৪ বার, আল- হামদুলিল্লাহ-৩৩ বার এবং সুবহানাল্লাহ- ৩৩ বার মুখে ১০০ বার পাঠ করার বিনিময়, কিয়ামতের দিন মীযানে ১০০০ বার পাঠের ছাওয়াবের অনুরূপ হবে।

রাবী আবদুল্লাহ্‌ ইবন আমর (রাঃ) বলেনঃ আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তাসবীহ তাঁর হাতের আংগুলে আদায় করতেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দু’টি কাজ তো সহজ, কিন্তু এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন হবে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শয়নকালে শয়তান তোমাদের কাছে আসে এবং তা পাঠের আগেই সে তোমাদের তদ্রাচ্ছন্ন করে দেয়। আর সালাত আদায়কালে সে নামাযীর কাছে উপস্থিত হয়ে ঐ তাসবীহগুলো পাঠের আগেই তাকে কোন কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (যার ফলে সে আর তা পাঠ করতে পারে না।)

باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لاَ يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ ‏"‏ ‏.‏ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ ‏"‏ يَأْتِي أَحَدَكُمْ - يَعْنِي الشَّيْطَانَ - فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلاَتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا حفص بن عمر، حدثنا شعبة، عن عطاء بن الساىب، عن ابيه، عن عبد الله بن عمرو، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ خصلتان او خلتان لا يحافظ عليهما عبد مسلم الا دخل الجنة هما يسير ومن يعمل بهما قليل يسبح في دبر كل صلاة عشرا ويحمد عشرا ويكبر عشرا فذلك خمسون وماىة باللسان والف وخمسماىة في الميزان ويكبر اربعا وثلاثين اذا اخذ مضجعه ويحمد ثلاثا وثلاثين ويسبح ثلاثا وثلاثين فذلك ماىة باللسان والف في الميزان ‏"‏ ‏.‏ فلقد رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يعقدها بيده قالوا يا رسول الله كيف هما يسير ومن يعمل بهما قليل قال ‏"‏ ياتي احدكم - يعني الشيطان - في منامه فينومه قبل ان يقوله وياتيه في صلاته فيذكره حاجة قبل ان يقولها ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Amr:

The Prophet (ﷺ) said: There are two qualities or characteristics which will not be returned by any Muslim without his entering Paradise. While they are easy, those who act upon them are few. One should say: "Glory be to Allah" ten times after every prayer, "Praise be to Allah" ten times and "Allah is Most Great" ten times. That is a hundred and fifty on the tongue, but one thousand and five hundred on the scale. When he goes to bed, he should say: "Allah is Most Great" thirty-four times, "Praise be to Allah" thirty-three times, and Glory be to Allah thirty-three times, for that is a hundred on the tongue and a thousand on the scale. (He said:) I saw the Messenger of Allah (ﷺ) counting them on his hand.

The people asked: Messenger of Allah! How is it that while they are easy, those who act upon them are few?

He replied: The Devil comes to one of you when he goes to bed and he makes him sleep, before he utters them, and he comes to him while he is engaged in prayer and calls a need to his mind before he utters them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ নিদ্রা সম্পর্কীয় (كتاب النوم) 37. Sleeping and others (General Behavior)

পরিচ্ছেদঃ ৭. শোবার সময় তাসবীহ পাঠ- সম্পর্কে।

৪৯৮২. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ......... উম্মু হাকাম অথবা দুবাআ বিনত যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এদের একজন বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছু বন্দী আসে। তখন আমি, আমার বোন এবং ফাতিমা বিনত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাই এবং আমাদের কষ্টের কথা তাঁকে বলি। আমরা তাকে আমাদের জন্য অনুরোধ করি। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের আগে বদর যুদ্ধে শহীদ সাহাবীদের ইয়াতীম মেয়েরা এসেছিল; (তাদের মধ্যে সব বন্টিত হয়ে গেছে।) এরপর তাসবীহ পাঠের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেনঃ এ হাদীছে প্রত্যেক সালাতের পর তাসবীহ পাঠের বিষয় উল্লেখ হয়েছে, তবে শোবার সময় তাসবীহ পাঠের বিষয়টি এখানে উল্লেখ নেই।

باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ حَسَنٍ الضَّمْرِيِّ، أَنَّ ابْنَ أُمِّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَىِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ عَنْ إِحْدَاهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْيًا فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي وَفَاطِمَةُ بِنْتُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ السَّبْىِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ التَّسْبِيحِ قَالَ عَلَى أَثَرِ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يَذْكُرِ النَّوْمَ ‏.‏

حدثنا احمد بن صالح، حدثنا عبد الله بن وهب، قال حدثني عياش بن عقبة الحضرمي، عن الفضل بن حسن الضمري، ان ابن ام الحكم، او ضباعة ابنتى الزبير حدثه عن احداهما، انها قالت اصاب رسول الله صلى الله عليه وسلم سبيا فذهبت انا واختي وفاطمة بنت النبي صلى الله عليه وسلم الى النبي صلى الله عليه وسلم فشكونا اليه ما نحن فيه وسالناه ان يامر لنا بشىء من السبى ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ سبقكن يتامى بدر ‏"‏ ‏.‏ ثم ذكر قصة التسبيح قال على اثر كل صلاة لم يذكر النوم ‏.‏


Umm al-Hakam or Duba’ah, daughter of al-Zubair, said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) got some prisoners of war (slaves). I my sister and Fatimah, daughter of the prophet (May peace be upon him), went to the prophet (May peace be upon him). We complained to him about our condition, and asked him to command for giving us some prisoners (slaves). The Messenger of Allah (May peace be upon him) said; The orphans of Badr came before you (and took the slaves). The transmitter then mentioned the story of glorifying Allah after every prayer. He did not mention sleeping.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ নিদ্রা সম্পর্কীয় (كتاب النوم) 37. Sleeping and others (General Behavior)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে