পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৩. আহমদ ইবন ইউনুস (রহঃ) ..... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (আহলে সুন্নাহ ওয়াল) জামা’আত থেকে এক বিঘতও সরে যাবে, সে তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি নিক্ষেপ করবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ وَمَنْدَلٌ عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي جَهْمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ وَهْبَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ "‏ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإِسْلاَمِ مِنْ عُنُقِهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن يونس، حدثنا زهير، وابو بكر بن عياش ومندل عن مطرف، عن ابي جهم، عن خالد بن وهبان، عن ابي ذر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ "‏ من فارق الجماعة شبرا فقد خلع ربقة الاسلام من عنقه ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuDharr:

The Prophet (ﷺ) said: He who separates from the community within a span takes off the noose of Islam from his neck.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৪. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পরে সে সময় তোমাদের অবস্থা কিরূপ হবে, যখন শাসনকর্তা গনীমতের মালকে নিজের মাল হিসাবে মনে করবে? আমি বলিঃ ঐ জাতের কসম! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে পাঠিয়েছেন, তখন আমি আমার তরবারি কাঁধে ঝুলিয়ে রাখবো এবং তা দিয়ে জিহাদ করবো- যতক্ষণ না আমি আপনার সাথে মিলিত হই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চাইতে কোন উত্তম পন্থা জানিয়ে দেব না? আর তা হলো, তুমি আমার সাথে মেলার আগ পর্যন্ত সবর করবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ طَرِيفٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ وَهْبَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏ كَيْفَ أَنْتُمْ وَأَئِمَّةٌ مِنْ بَعْدِي يَسْتَأْثِرُونَ بِهَذَا الْفَىْءِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ ‏:‏ إِذًا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ أَضَعُ سَيْفِي عَلَى عَاتِقِي، ثُمَّ أَضْرِبُ بِهِ حَتَّى أَلْقَاكَ أَوْ أَلْحَقَكَ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَوَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ تَصْبِرُ حَتَّى تَلْقَانِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد النفيلي، حدثنا زهير، حدثنا مطرف بن طريف، عن ابي الجهم، عن خالد بن وهبان، عن ابي ذر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏ كيف انتم واىمة من بعدي يستاثرون بهذا الفىء ‏"‏ ‏.‏ قلت ‏:‏ اذا والذي بعثك بالحق اضع سيفي على عاتقي، ثم اضرب به حتى القاك او الحقك ‏.‏ قال ‏:‏ ‏"‏ اولا ادلك على خير من ذلك تصبر حتى تلقاني ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
How will you deal with the rulers (imams) who appropriate to themselves this booty? I said : I swear by him who sent you with the truth that at that time I shall put my sword on my shoulder and smite with it till I meet you, or I join you. He said: shall I not guide you to something better than that? You must show endurance till you meet me.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৫. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতিসত্ত্বর তোমাদের উপর এমন শাসক নিযুক্ত হবে যার- কাজকর্ম ভাল হবে এবং মন্দও হবে। সে সময় যে ব্যক্তি তার মন্দ-কাজের প্রতিবাদ মুখ দিয়ে করবে, সে দোষমুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি তা অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে, সে ও দোষমুক্ত হবে; আর যে ব্যক্তি তার কাজ-কর্মকে অস্বীকার করবে, সে নাজাত প্রাপ্ত হবে। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি তার অনুসরণ করবে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি তাদের হত্যা করবো না? তিনি বলেনঃ না, যতক্ষণ তারা সালাত আদায় করতে থাকবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ ضَبَّةَ بْنِ مِحْصَنٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏ سَتَكُونُ عَلَيْكُمْ أَئِمَّةٌ تَعْرِفُونَ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ أَنْكَرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ هِشَامٌ ‏:‏ ‏"‏ بِلِسَانِهِ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ كَرِهَ بِقَلْبِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ ‏"‏ ‏.‏ فَقِيلَ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نَقْتُلُهُمْ قَالَ ابْنُ دَاوُدَ ‏:‏ ‏"‏ أَفَلاَ نُقَاتِلُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ لاَ مَا صَلَّوْا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مسدد، وسليمان بن داود، - المعنى - قالا حدثنا حماد بن زيد، عن المعلى بن زياد، وهشام بن حسان، عن الحسن، عن ضبة بن محصن، عن ام سلمة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏ ستكون عليكم اىمة تعرفون منهم وتنكرون فمن انكر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود قال هشام ‏:‏ ‏"‏ بلسانه فقد برى، ومن كره بقلبه فقد سلم ولكن من رضي وتابع ‏"‏ ‏.‏ فقيل ‏:‏ يا رسول الله افلا نقتلهم قال ابن داود ‏:‏ ‏"‏ افلا نقاتلهم ‏"‏ ‏.‏ قال ‏:‏ ‏"‏ لا ما صلوا ‏"‏ ‏.‏


Umm Salamah, wife of the Prophet (May peace be upon him) is reported to have said:
The Messenger of Allah (May peace be upon him) said: You will have commanders some of whom you will approve and some of whom you will disapprove. He who expresses disapproval with his tongue (Abu Dawud said : This is Hisham’s version) is guiltless; and he who feels disapproval in his heart, is safe, but he who is pleased and follows them. He was asked; shall we not kill them, Messenger of Allah? Abu Dawud’s version has : Shall we not fight with them? He replied : No, so long as they pray.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৬. ইবন বাশশার (রহঃ) .... উম্মু সালামা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি তাকে খারাপ মনে করবে, সে দোষমুক্ত হবে; আর যে তাকে অস্বীকার করবে, সে নাজাত প্রাপ্ত হবে।

রাবী কাতাদা (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাকে অন্তর দিয়ে খারাপ জানবে এবং অস্বীকার করবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ ضَبَّةَ بْنِ مِحْصَنٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ ‏:‏ يَعْنِي مَنْ أَنْكَرَ بِقَلْبِهِ، وَمَنْ كَرِهَ بِقَلْبِهِ ‏.‏

حدثنا ابن بشار، حدثنا معاذ بن هشام، قال حدثني ابي، عن قتادة، قال حدثنا الحسن، عن ضبة بن محصن العنزي، عن ام سلمة، عن النبي صلى الله عليه وسلم بمعناه قال ‏:‏ ‏ "‏ فمن كره فقد برى، ومن انكر فقد سلم ‏"‏ ‏.‏ قال قتادة ‏:‏ يعني من انكر بقلبه، ومن كره بقلبه ‏.‏


The tradition mentioned above has also been transmitted by Umm Salamah through a different chain of narrators to the same effect. This version has :
He who disapproves is guiltless, and he who disapproves is safe. Qatadah said : it means one who feels its disapproval in his heart, and one who expresses disapproval in his heart.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৭. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... আরফাজা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ অতিসত্ত্বর আমার উম্মতের মধ্যে ফিতনা-ফ্যাসাদ হবে ফিতনার সৃষ্টি, ফ্যাসাদ হবে। এ সময় যে ব্যক্তি মুসলিমদের ঐক্যে ফাঁটল সৃষ্টি করতে চাবে, সে যে-ই হোক না কেন, তোমরা তাকে তরবারি দিয়ে হত্যা করবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عَلاَقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ "‏ سَتَكُونُ فِي أُمَّتِي هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ وَهَنَاتٌ، فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ الْمُسْلِمِينَ وَهُمْ جَمِيعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ كَائِنًا مَنْ كَانَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن شعبة، عن زياد بن علاقة، عن عرفجة، قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏:‏ ‏ "‏ ستكون في امتي هنات وهنات وهنات، فمن اراد ان يفرق امر المسلمين وهم جميع فاضربوه بالسيف كاىنا من كان ‏"‏ ‏.‏


‘Arfajah told that he heard the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
various corruptions will arise in my community, so strike with sword the one who tries to cause separation in the matter of Muslims when they are united, whoever he be.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৮. মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (রহঃ) ...... উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আলী (রাঃ) নাহরাওয়ানের লোকদের সম্পর্কে বলেনঃ তাদের মাঝে এক ব্যক্তি ছোট হাত বিশিষ্ট হবে। যদি তোমরা আমার কথা মানতে, তবে মহান আল্লাহ্‌ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যবানীতে তাদের হত্যা করলে যে ছওয়াবের কথা বলেছেনঃ সে সম্বন্ধে আমি তোমাদের অবহিত করতাম।

রাবী বলেন, তখন আমি আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ আপনি কি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ! কা’বার রবের শপথ! (আমি তা তাঁর কাছ থেকে শুনেছি।)

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، ‏:‏ أَنَّ عَلِيًّا، ذَكَرَ أَهْلَ النَّهْرَوَانِ فَقَالَ ‏:‏ فِيهِمْ رَجُلٌ مُودَنُ الْيَدِ أَوْ مُخْدَجُ الْيَدِ، أَوْ مَثْدُونُ الْيَدِ لَوْلاَ أَنْ تَبْطَرُوا لَنَبَّأْتُكُمْ مَا وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ يَقْتُلُونَهُمْ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْهُ قَالَ ‏:‏ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبيد، ومحمد بن عيسى، - المعنى - قالا حدثنا حماد، عن ايوب، عن محمد، عن عبيدة، ‏:‏ ان عليا، ذكر اهل النهروان فقال ‏:‏ فيهم رجل مودن اليد او مخدج اليد، او مثدون اليد لولا ان تبطروا لنباتكم ما وعد الله الذين يقتلونهم على لسان محمد صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال قلت ‏:‏ انت سمعت هذا منه قال ‏:‏ اي ورب الكعبة ‏.‏


‘Ubaidah (al-salman) said :
‘Ali mentioned about the people of al Nahrawan, saying: Among them there will be a man with a defective hand or with a small hand. if you were not to overjoy. I would inform you of what Allah has promised (the reward for) those who will kill them at the tongue of Muhammad (May peace be upon him). I asked : Have you heard this from him? He replied : Yes, by the lord of the Ka’bah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৮৯. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) .... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু মাটি মিশ্রিত সোনা পাঠান, যা তিনি আকরা ইবন হাবিস হানযালী (রাঃ), উয়ায়না ইবন বদর ফাযারী (রাঃ), বনূ নাবহানের এক ব্যক্তি যায়দ খায়ল তায়ী (রাঃ) এবং বনূ কিলাবের এক ব্যক্তি ইবন উলাছা আমিরী (রাঃ) এ চার ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দেন।

রাবী বলেনঃ এতে কুরায়শ ও আনসারগণ রাগান্বিত হন এবং বলেনঃ আপনি নজদের অধিপতিদের দিচ্ছেন, অথচ আমাদের কিছুই দিচ্ছেন না! তিনি বলেনঃ আমি এ দিয়ে তাদের দিলকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করছি। এ সময় সেখানে এমন এক ব্যক্তি আসে- যার চোখ কোঠরাগত, চোয়াল উঁচু, কপাল উন্নত, ঘন দাড়ি-বিশিষ্ট ও মস্তক মুণ্ডিত ছিল। সে বলেঃ হে মুহাম্মদ! তুমি আল্লাহ্‌কে ভয় কর। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি যদি আল্লাহ্‌র নাফরমানী করি, তবে আর কে তাঁর ফরমাবরদার হবে? মহান আল্লাহ্‌ যমীনের উপর আমাকে আমানতদার বানিয়েছেন, অথচ তুমি আমাকে আমানতদার মনে কর না।

রাবী বলেনঃ তখন এক ব্যক্তি, আমার ধারণায় তিনি হলেন- খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) তাকে কতল করার জন্য অনুমতি চাইলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেন।

রাবী বলেনঃ সে ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ ব্যক্তির বংশে এমন কিছু লোক জন্ম নেবে, যারা কুরআন পাঠ করবে সত্য, তবে তা তাদের গলার নীচে যাবে না, (অর্থাৎ তা তাদের অন্তরে কোন আছর করবে না।) তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, যেরুপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তারা মুসলিমদের হত্যা করবে এবং মূর্তি-পূজারীদের ছেড়ে দেবে। যদি আমি তাদের পাই, তবে আমি তাদের ’কাওমে আদের’ মত (পাইকারীহারে) কতল করবো।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ ‏:‏ بَعَثَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا، فَقَسَّمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةٍ بَيْنَ ‏:‏ الأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ ثُمَّ الْمُجَاشِعِيِّ، وَبَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَبَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ وَبَيْنَ عَلْقَمَةَ بْنِ عُلاَثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلاَبٍ قَالَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ وَقَالَتْ ‏:‏ يُعْطِي صَنَادِيدَ أَهْلِ نَجْدٍ وَيَدَعُنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏:‏ ‏"‏ إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِينِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقٌ قَالَ ‏:‏ اتَّقِ اللَّهَ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ فَقَالَ ‏:‏ ‏"‏ مَنْ يُطِعِ اللَّهَ إِذَا عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي اللَّهُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُونِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَسَأَلَ رَجُلٌ قَتْلَهُ أَحْسِبُهُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ - قَالَ - فَمَنَعَهُ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ ‏:‏ ‏"‏ إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا أَوْ فِي عَقِبِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَقْتُلُونَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الأَوْثَانِ لَئِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُمْ قَتَلْتُهُمْ قَتْلَ عَادٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، اخبرنا سفيان، عن ابيه، عن ابن ابي نعم، عن ابي سعيد الخدري، قال ‏:‏ بعث علي عليه السلام الى النبي صلى الله عليه وسلم بذهيبة في تربتها، فقسمها بين اربعة بين ‏:‏ الاقرع بن حابس الحنظلي ثم المجاشعي، وبين عيينة بن بدر الفزاري وبين زيد الخيل الطاىي ثم احد بني نبهان وبين علقمة بن علاثة العامري ثم احد بني كلاب قال فغضبت قريش والانصار وقالت ‏:‏ يعطي صناديد اهل نجد ويدعنا ‏.‏ فقال ‏:‏ ‏"‏ انما اتالفهم ‏"‏ ‏.‏ قال ‏:‏ فاقبل رجل غاىر العينين مشرف الوجنتين ناتى الجبين كث اللحية محلوق قال ‏:‏ اتق الله يا محمد ‏.‏ فقال ‏:‏ ‏"‏ من يطع الله اذا عصيته ايامنني الله على اهل الارض ولا تامنوني ‏"‏ ‏.‏ قال ‏:‏ فسال رجل قتله احسبه خالد بن الوليد - قال - فمنعه ‏.‏ قال ‏:‏ فلما ولى قال ‏:‏ ‏"‏ ان من ضىضى هذا او في عقب هذا قوما يقرءون القران لا يجاوز حناجرهم يمرقون من الاسلام مروق السهم من الرمية، يقتلون اهل الاسلام ويدعون اهل الاوثان لىن انا ادركتهم قتلتهم قتل عاد ‏"‏ ‏.‏


Abu sa’id al-khudri said :
‘Ali sent some gold-mixed dust to the prophet (May peace be upon him). He divided it among the four : al-Aqra b. Habis al-Hanzall and then al-Mujashi, uyainah b. Badr al-fazari, zaid al-khail al-Ta’l, next to one of Banu nabhan, and ‘Alqamah b. ‘Ulathat al-Amiri (in general), next to one of Banu kulaib. The Quraish and the ansar became angry and said : He is giving to the chiefs of the people of Najd and leaving us. He said : I am giving them for reconciliation of their hearts. Then a man with deep-seated eyes, high cheek-bones, a projecting brow, a thick beard and a shaven head came forward and said: For Allah, Muhammad! He said : Who will obey Allah if I disobey Him? Allah entrusts me with power over the inhabitants of the earth, but you do not. A man asked to be allowed to kill him and I think he was Khalid b. al-Walid but he prevented him. Then when the man turned away, he said: From this one’s stock there will be people who recite the Quran, but it will not pass down their throats. They will sever from Islam and leave the worshippers of Idols alone; but if I live up to their time I shall certainly kill them as 'Ad were killed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৯০. নাসর ইবন আসিম (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ খুদরী ও আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে মত-পাথর্ক্য ও মতানৈক্য সৃষ্টির ফলে এমন কিছু ফিরকার সৃষ্টি হবে, যারা ভাল কথা বলবে, কিন্তু খারাপ কাজ করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের গলার নীচে যাবে না। বস্তুত তারা দীন থেকে এরূপ বেরিয়ে, যাবে যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায় এবং তারা তাদের রাস্তা (মতবাদ) থেকে ফিরে আসবে না, যেরূপ নিক্ষিপ্ত তীর নিক্ষেপের স্থানে ফিরে আসে না। তারা সমস্ত মাখলূকের মাঝে এবং সমস্ত মানুষের মধ্যে নিকৃষ্টতম হবে। এরপর যারা তাদের হত্যা করবে, বা তাদের হাতে নিহত হবে- তারা সৌভাগ্যবান। তারা লোকদের আল্লাহর কিতাবের প্রতি আহবান করবে, কিন্তু এর (কুরআনের) সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। আমার উম্মতের মধ্যে যারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা আল্লাহ্‌র কাছে খুবই প্রিয়পাত্র হবে। তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাদের পরিচয় কি? তিনি বলেনঃ তারা হবে মাথা মুণ্ডনকারী।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، وَمُبَشِّرٌ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيَّ عَنْ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ - يَعْنِي الْوَلِيدَ - حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏"‏ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي اخْتِلاَفٌ وَفُرْقَةٌ، قَوْمٌ يُحْسِنُونَ الْقِيلَ وَيُسِيئُونَ الْفِعْلَ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ لاَ يَرْجِعُونَ حَتَّى يَرْتَدَّ عَلَى فُوقِهِ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ طُوبَى لِمَنْ قَتَلَهُمْ وَقَتَلُوهُ، يَدْعُونَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَلَيْسُوا مِنْهُ فِي شَىْءٍ، مَنْ قَاتَلَهُمْ كَانَ أَوْلَى بِاللَّهِ مِنْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا سِيمَاهُمْ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ التَّحْلِيقُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا نصر بن عاصم الانطاكي، حدثنا الوليد، ومبشر، - يعني ابن اسماعيل الحلبي عن ابي عمرو، قال - يعني الوليد - حدثنا ابو عمرو، قال حدثني قتادة، عن ابي سعيد الخدري، وانس بن مالك، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏:‏ ‏"‏ سيكون في امتي اختلاف وفرقة، قوم يحسنون القيل ويسيىون الفعل ويقرءون القران لا يجاوز تراقيهم، يمرقون من الدين مروق السهم من الرمية لا يرجعون حتى يرتد على فوقه هم شر الخلق والخليقة طوبى لمن قتلهم وقتلوه، يدعون الى كتاب الله وليسوا منه في شىء، من قاتلهم كان اولى بالله منهم ‏"‏ ‏.‏ قالوا ‏:‏ يا رسول الله ما سيماهم قال ‏:‏ ‏"‏ التحليق ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuSa'id al-Khudri ; Anas ibn Malik:

The Prophet (ﷺ) said: Soon there will appear disagreement and dissension in my people; there will be people who will be good in speech and bad in work. They recite the Qur'an, but it does not pass their collar-bones. They will swerve from the religion as an animal goes through the animal shot at. They will not return to it till the arrow comes back to its notch. They are worst of the people and animals. Happy is the one who kills them and they kill him. They call to the book of Allah, but they have nothing to do with it. He who fights against them will be nearer to Allah than them (the rest of the people). The people asked: What is their sign? He replied: They shave the head.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৯১. হাসান ইবন আলী (রহঃ) .... আনাস (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তাদের পরিচয় হলো তারা হবে মস্তকমুণ্ডনকারী এবং চুল পরিষ্কারকারী। আর তোমরা যখন তাদের দেখবে, তখন অবশ্যই তাদের কতল করবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ وَالتَّسْبِيدُ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَأَنِيمُوهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ‏:‏ التَّسْبِيدُ اسْتِئْصَالُ الشَّعْرِ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن قتادة، عن انس، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نحوه قال ‏:‏ ‏ "‏ سيماهم التحليق والتسبيد، فاذا رايتموهم فانيموهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود ‏:‏ التسبيد استىصال الشعر ‏.‏


The tradition mentioned above has also been transmitted by Anas through a different chain of narrators in a similar manner. This version adds; Their sign is shaving the head and eliminating the hair. If you see them, kill them.

Abu Dawud said:
Tasmid means uprooting the hair.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৯২. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ... সুওয়াদ ইবন গাফলা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যখন তোমাদের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন হাদীছ বর্ণনা করি, তখন তাঁর হাদীছ সম্পর্কে মিথ্যা বলার চাইতে আসমান থেকে পতিত হওয়াকে আমি শ্রেয় মনে করি। আর আমি যখন তোমাদের কাছে আমার নিজের পক্ষ থেকে কিছু বর্ণনা করি, তখন বুঝবে যে যুদ্ধের অপর নাম তো কৌশল অবলম্বন করা। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ শেষ যামানায় এমন কিছু লোক জন্ম নেবে, যাদের বয়স কম হবে এবং বুদ্ধি ও কম হবে। তারা সমস্ত মাখলূকের মধ্যে উত্তম কথাবার্তা বলবে, কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এরূপ বেরিয়ে যাবে, যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের গলার নীচে যাবে না। কাজেই তোমরা এ ধরনের লোকদের যেখানেই পাবে, সেখানেই হত্যা করবে। কেননা, যারা তাদের হত্যা করবে, তারা কিয়ামত পর্যন্ত এর ছওয়াব পেতে থাকবে।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ ‏:‏ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا فَلأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَكْذِبَ عَلَيْهِ وَإِذَا حَدَّثْتُكُمْ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فَإِنَّمَا الْحَرْبُ خُدْعَةٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ "‏ يَأْتِي فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ حُدَثَاءُ الأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الأَحْلاَمِ، يَقُولُونَ مِنْ قَوْلِ خَيْرِ الْبَرِيَّةِ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لاَ يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ، فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّ قَتْلَهُمْ أَجْرٌ لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، اخبرنا سفيان، حدثنا الاعمش، عن خيثمة، عن سويد بن غفلة، قال قال علي ‏:‏ اذا حدثتكم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم حديثا فلان اخر من السماء احب الى من ان اكذب عليه واذا حدثتكم فيما بيني وبينكم فانما الحرب خدعة سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏:‏ ‏ "‏ ياتي في اخر الزمان قوم حدثاء الاسنان سفهاء الاحلام، يقولون من قول خير البرية يمرقون من الاسلام كما يمرق السهم من الرمية، لا يجاوز ايمانهم حناجرهم، فاينما لقيتموهم فاقتلوهم، فان قتلهم اجر لمن قتلهم يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏


‘Ali said:
When I mention a tradition to you from the Messenger of Allah (May peace be upon him), it is dearer to me that I fall from the heaven than I lie on him. But when I talk to you about matters between me and you, then war is a deception. I heard the Messenger of Allah (May peace be upon him) say: Towards the end of the time there will be people who are young in age and from Islam as an arrow goes through the animal aimed at, and their faith will not pass their throats. Wherever you meet them kill them, for their killing will bring a reward for him who kills them on the day of Resurrection.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৯৩. হাসান ইবন আলী (রহঃ) ..... যায়দ ইবন ওয়াহাব যুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আলী (রাঃ)-এর ঐ সেনাবাহিনীর সাথে ছিলাম, যারা খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গিয়েছিল। তখন আলী (রাঃ) বলেনঃ হে লোকগণ! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা কুরআন এমন সুন্দরভাবে পড়বে যে, তাদের তুলনায় তোমাদের কিরাত কিছুই হবে না। তাদের সালাতের তুলনায় তোমাদের সালাত কিছুই হবে না এবং তাদের রোযার তুলনায় তোমাদের রোযা কিছুই হবে না। বস্তুত তারা এ মনে করে কুরআন পড়ে যে, তারা এর ছওয়াব পাবে, কিন্তু আসলে তারা এর কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। তাদের নামায তাদের গলার নীচে নামবে না এবং তারা ইসলাম থেকে এরুপ বেরিয়ে যাবে, যেরূপ ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়।

যারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, তাদের বিনিময় সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার নবীর যবানীতে যা বর্ণনা করেছেন, তা যদি তারা জানতো, তবে তারা সব ধরনের আমল ছেড়ে দিত। তাদের পরিচয় এই যে, তাদের মাঝে এমন এক ব্যক্তি থাকবে, যারা বাহুমূল থাকবে, কিন্তু তার হাত থাকবে না। তার সে বাহুতে স্তনের বোঁটার মত থাকবে, যার উপর সাদা পশম হবে। কী ব্যাপার! তোমরা মুআবিয়া এবং শামবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যাচ্ছ, অথচ তোমরা তাদেরকে তোমাদের মাল ও সন্তান-সন্ততিদের কাছে রেখে যাচ্ছ! (যারা তাদের ক্ষতি করবে।) আল্লাহ্‌র শপথ! আমার মনে হয়, এরাই তারা, (যাদের সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন), যারা হারাম রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং লোকদের চারণভূমি লুন্ঠন করেছে। কাজেই, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গমন কর।

রাবী সালামা ইবন কুহায়ল (রহঃ) বলেনঃ যায়দ ইবন ওয়াহাব (রহঃ) আমাকে এমন একস্থানে নিয়ে যান, যেখানে আমরা একটা পুলের উপর দিয়ে যাই; সেখানে দু’পক্ষের সৈন্যরা মুখোমুখি হয় এবং সেখানে খারিজীদের নেতা আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহাবও উপস্থিত ছিল। সে তার সেনাবাহিনীর প্রতি এরূপ নির্দেশ দেয়ঃ তোমরা বল্লম ফেলে দাও এবং খাপ থেকে তরবারি বের কর। কেননা, আমার আশংকা হচ্ছে, এরা তোমাদের সেরূপ বিচ্ছিন্ন করবে, যেরূপ ’হারুরার’ দিন করেছিল।

রাবী বলেনঃ তার এ নির্দেশ পাওয়ার পর সৈন্যরা তাদের বল্লম ফেলে দিয়ে তরবারি ধারণ করে। তখন মুসলিমরা বল্লম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তাদের হত্যা করে গাদা দিয়ে রাখে।

রাবী বলেনঃ এ দিনের যুদ্ধে আলী (রাঃ)-এর পক্ষে মাত্র দু’জন শহীদ হন। এরপর আলী (রাঃ) এরূপ নির্দেশ দেনঃ লাশের স্তুপের মধ্য থেকে মাখদাজ অর্থাৎ ছোট হাত-বিশিষ্ট ব্যক্তির লাশ বের কর। কিন্তু সৈন্যরা তার লাশের সন্ধান পায় না।

রাবী বলেনঃ অবশেষে আলী (রাঃ) সেখানে যান, যেখানে লাশ গাদা দেয়া ছিল এবং বলেনঃ এদের আলাদা করে রাখ। এরপর সমস্ত লাশকে আলাদা করে রাখার পর দেখা যায় যে, সে ব্যক্তির লাশ সবার নীচে মাটির উপর পড়ে আছে। এ সময় তিনি ’আল্লাহ্‌ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে বলেনঃ মহান আল্লাহ্‌ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসূল তা আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন। একথা শুনে উবায়দা সালমানী (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ ইয়া আমীরুল মু’মিনীন। ঐ জাতের কসম! যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আপনি কি ইহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? জবাবে তিনি বলেনঃ ঐ আল্লাহ্‌ যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আমি ইহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। বাকী তিনবার শপথপূর্বক এর জবাব দেন।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ الْجُهَنِيُّ، ‏:‏ أَنَّهُ كَانَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ الَّذِينَ سَارُوا إِلَى الْخَوَارِجِ فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏:‏ أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ "‏ يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَيْسَتْ قِرَاءَتُكُمْ إِلَى قِرَاءَتِهِمْ شَيْئًا وَلاَ صَلاَتُكُمْ إِلَى صَلاَتِهِمْ شَيْئًا وَلاَ صِيَامُكُمْ إِلَى صِيَامِهِمْ شَيْئًا، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَحْسَبُونَ أَنَّهُ لَهُمْ وَهُوَ عَلَيْهِمْ، لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لَوْ يَعْلَمُ الْجَيْشُ الَّذِينَ يُصِيبُونَهُمْ مَا قُضِيَ لَهُمْ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم لَنَكَلُوا عَلَى الْعَمَلِ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّ فِيهِمْ رَجُلاً لَهُ عَضُدٌ وَلَيْسَتْ لَهُ ذِرَاعٌ، عَلَى عَضُدِهِ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شَعَرَاتٌ بِيضٌ ‏"‏ ‏.‏ أَفَتَذْهَبُونَ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَأَهْلِ الشَّامِ وَتَتْرُكُونَ هَؤُلاَءِ يَخْلُفُونَكُمْ فِي ذَرَارِيِّكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونُوا هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ، فَإِنَّهُمْ قَدْ سَفَكُوا الدَّمَ الْحَرَامَ، وَأَغَارُوا فِي سَرْحِ النَّاسِ فَسِيرُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ ‏:‏ فَنَزَّلَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ مَنْزِلاً مَنْزِلاً حَتَّى مَرَّ بِنَا عَلَى قَنْطَرَةٍ قَالَ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا وَعَلَى الْخَوَارِجِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ فَقَالَ لَهُمْ ‏:‏ أَلْقُوا الرِّمَاحَ وَسُلُّوا السُّيُوفَ مِنْ جُفُونِهَا، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يُنَاشِدُوكُمْ كَمَا نَاشَدُوكُمْ يَوْمَ حَرُورَاءَ قَالَ ‏:‏ فَوَحَّشُوا بِرِمَاحِهِمْ وَاسْتَلُّوا السُّيُوفَ وَشَجَرَهُمُ النَّاسُ بِرِمَاحِهِمْ - قَالَ - وَقَتَلُوا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضِهِمْ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ وَمَا أُصِيبَ مِنَ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ رَجُلاَنِ فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏:‏ الْتَمِسُوا فِيهِمُ الْمُخْدَجَ فَلَمْ يَجِدُوا قَالَ ‏:‏ فَقَامَ عَلِيٌّ رضى الله عنه بِنَفْسِهِ حَتَّى أَتَى نَاسًا قَدْ قُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ فَقَالَ ‏:‏ أَخْرِجُوهُمْ فَوَجَدُوهُ مِمَّا يَلِي الأَرْضَ فَكَبَّرَ وَقَالَ ‏:‏ صَدَقَ اللَّهُ وَبَلَّغَ رَسُولُهُ ‏.‏ فَقَامَ إِلَيْهِ عَبِيدَةُ السَّلْمَانِيُّ فَقَالَ ‏:‏ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏:‏ إِي وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ حَتَّى اسْتَحْلَفَهُ ثَلاَثًا وَهُوَ يَحْلِفُ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عبد الرزاق، عن عبد الملك بن ابي سليمان، عن سلمة بن كهيل، قال اخبرني زيد بن وهب الجهني، ‏:‏ انه كان في الجيش الذين كانوا مع علي عليه السلام الذين ساروا الى الخوارج فقال علي عليه السلام ‏:‏ ايها الناس اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏:‏ ‏ "‏ يخرج قوم من امتي يقرءون القران ليست قراءتكم الى قراءتهم شيىا ولا صلاتكم الى صلاتهم شيىا ولا صيامكم الى صيامهم شيىا، يقرءون القران يحسبون انه لهم وهو عليهم، لا تجاوز صلاتهم تراقيهم يمرقون من الاسلام كما يمرق السهم من الرمية، لو يعلم الجيش الذين يصيبونهم ما قضي لهم على لسان نبيهم صلى الله عليه وسلم لنكلوا على العمل، واية ذلك ان فيهم رجلا له عضد وليست له ذراع، على عضده مثل حلمة الثدى عليه شعرات بيض ‏"‏ ‏.‏ افتذهبون الى معاوية واهل الشام وتتركون هولاء يخلفونكم في ذراريكم واموالكم والله اني لارجو ان يكونوا هولاء القوم، فانهم قد سفكوا الدم الحرام، واغاروا في سرح الناس فسيروا على اسم الله ‏.‏ قال ‏:‏ سلمة بن كهيل ‏:‏ فنزلني زيد بن وهب منزلا منزلا حتى مر بنا على قنطرة قال فلما التقينا وعلى الخوارج عبد الله بن وهب الراسبي فقال لهم ‏:‏ القوا الرماح وسلوا السيوف من جفونها، فاني اخاف ان يناشدوكم كما ناشدوكم يوم حروراء قال ‏:‏ فوحشوا برماحهم واستلوا السيوف وشجرهم الناس برماحهم - قال - وقتلوا بعضهم على بعضهم ‏.‏ قال ‏:‏ وما اصيب من الناس يومىذ الا رجلان فقال علي عليه السلام ‏:‏ التمسوا فيهم المخدج فلم يجدوا قال ‏:‏ فقام علي رضى الله عنه بنفسه حتى اتى ناسا قد قتل بعضهم على بعض فقال ‏:‏ اخرجوهم فوجدوه مما يلي الارض فكبر وقال ‏:‏ صدق الله وبلغ رسوله ‏.‏ فقام اليه عبيدة السلماني فقال ‏:‏ يا امير المومنين والله الذي لا اله الا هو لقد سمعت هذا من رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏:‏ اي والله الذي لا اله الا هو حتى استحلفه ثلاثا وهو يحلف ‏.‏


Salamah b. Kuhail said:
Zaid b. Wahb al-Juhani told us that he was in the army which proceeded to (fight with) the Khawarij in the company of `Ali. `Ali then said: O people! I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: there will appear from among my community people who recite the Qur'an, and your recitation has no comparison with their recitation, and your prayer has no comparison with their prayer, and your fasts have no comparison with their fasts. They will recite the Qur'an thinking that it is beneficial for them, while it is harmful for them. Their prayer will not pass their collar-bones. They will swerve from Islam as an arrow goes through the animal shot at. If the army that is approaching them knows what (reward) has been decided for them at the tongue of their Prophet (ﷺ), they would leave (other good) activities. The sign of that is that among them there will be a man who has an upper arm, but not hand; on his upper arm there will be something like the nipple of a female breast, having white hair thereon. Will you go to Mu`awiyah and the people of Syria, and leave them behind among your children and property? I swear by Allah, I hope these are the same people, for they shed the blood unlawfully, and attacked the cattle of the people so go on in the name of Allah. Salamah b. Kuhail said: Zaid b. Wahb then informed me of all the halting places one by one, (saying): Until we passed a bridge. When we fought with each other, `Abd Allah b. Wahb al-Rasibi, who was the leader of the Khawarij, said to them: Throw away the lances and pull out the swords from their sheaths, for I am afraid they will adjure you as they had adjured on the day of Harura. So they threw away their lances and pulled out their swords, and the people pierced them with their lances. They were killed (lying one on the other). On that day only two persons of the partisans (of `Ali) were afflicted. `Ali said: Search for the man with the crippled hand. But they could not find him. Then `Ali got up himself and went to the people who had been killed and were lying on one another. He said: Take them out. They found him just near the ground. So he shouted: Allah is Most Great! He said: Allah spoke the truth, and His Apostle has conveyed. `Ubaidat al-Salmani stood up to him, saying: Commander of the Faithful! Have you heard it from the Messenger of Allah (ﷺ)? He said: Yes, by him, there is no God but He. He put to swear thrice and he swore.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৯৪. মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (রহঃ) ..... আবূ ওযযী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) সে যুদ্ধের সময় বলেনঃ তোমরা মাখদাজকে অনুসন্ধান কর। এরপর তিনি এ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তখন লোকেরা তার লাশকে মৃতদের লাশের নীচে যমীন থেকে উদ্ধার করে।

রাবী আবূ ওযযী (রহঃ) বলেনঃ আমি যেন এখনো তার লাশকে দেখছি। সে একটা হাবশী কুর্তা (জামা) পরে ছিল এবং তার একটা বাহু স্ত্রীলোকের স্তনের বোঁটার মত ছিল, যার উপর বুনো ইদুরের চুলের মত পশম ছিল।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَضِيءِ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏:‏ اطْلُبُوا الْمُخْدَجَ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَاسْتَخْرَجُوهُ مِنْ تَحْتِ الْقَتْلَى فِي طِينٍ، قَالَ أَبُو الْوَضِيءِ ‏:‏ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حَبَشِيٌّ عَلَيْهِ قُرَيْطَقٌ لَهُ إِحْدَى يَدَيْنِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ عَلَيْهَا شُعَيْرَاتٌ مِثْلُ شُعَيْرَاتِ الَّتِي تَكُونُ عَلَى ذَنَبِ الْيَرْبُوعِ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبيد، حدثنا حماد بن زيد، عن جميل بن مرة، قال حدثنا ابو الوضيء، قال قال علي عليه السلام ‏:‏ اطلبوا المخدج ‏.‏ فذكر الحديث فاستخرجوه من تحت القتلى في طين، قال ابو الوضيء ‏:‏ فكاني انظر اليه حبشي عليه قريطق له احدى يدين مثل ثدى المراة عليها شعيرات مثل شعيرات التي تكون على ذنب اليربوع ‏.‏


‘Ali said:
Search for the man with crippled hand. He then mentioned the rest of the tradition. This version has: They took him out from beneath the slain in the dust. Abu al-wadi said: As if I am looking at an Abyssinian with a shirt on him. He had one of his hands like the nipple of the female breast, having hair on it like the hair on the tail of the jerboa.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে।

৪৬৯৫. বিশর ইবন খালিদ (রহঃ) ..... নু’আয়ম ইবন হাকীম (রহঃ) আবূ মারয়াম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এই মাখদাজ একদা আমাদের সাথে মসজিদে উপস্থিত ছিল এবং সে দিন-রাত মসজিদেই বসে থাকতো। সে ফকীর ছিল এবং আমি তাকে ফকীরদের সাথে আনতে দেখেছি। একদা আলী (রাঃ) যখন খানা খাচ্ছিলেন, তখন আমি তাকে একখানা কাপড় দেই।

রাবী আবূ মারয়াম (রহঃ) এ-ও বলেছেনঃ নাফি (রহঃ) তার নাম দিয়েছিল- ’যূ-ছাদিয়া অর্থাৎ স্তন-বিশিষ্ট ব্যক্তি। কেননা, তার হাতে স্ত্রীলোকদের স্তনের মত-স্তন ছিল। যার অগ্রভাগে স্ত্রীলোকদের স্তনের বোঁটার মত- বোঁটাও ছিল এবং তার উপর বিড়ালের গোঁফের মত -পশমও ছিল।

باب فِي قَتْلِ الْخَوَارِجِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ ‏:‏ إِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمُخْدَجَ لَمَعَنَا يَوْمَئِذٍ فِي الْمَسْجِدِ نُجَالِسُهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَكَانَ فَقِيرًا وَرَأَيْتُهُ مَعَ الْمَسَاكِينِ يَشْهَدُ طَعَامَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ مَعَ النَّاسِ وَقَدْ كَسَوْتُهُ بُرْنُسًا لِي ‏.‏ قَالَ أَبُو مَرْيَمَ ‏:‏ وَكَانَ الْمُخْدَجُ يُسَمَّى نَافِعًا ذَا الثُّدَيَّةِ، وَكَانَ فِي يَدِهِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ عَلَى رَأْسِهِ حَلَمَةٌ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شُعَيْرَاتٌ مِثْلُ سِبَالَةِ السِّنَّوْرِ ‏.‏

حدثنا بشر بن خالد، حدثنا شبابة بن سوار، عن نعيم بن حكيم، عن ابي مريم، قال ‏:‏ ان كان ذلك المخدج لمعنا يومىذ في المسجد نجالسه بالليل والنهار، وكان فقيرا ورايته مع المساكين يشهد طعام علي عليه السلام مع الناس وقد كسوته برنسا لي ‏.‏ قال ابو مريم ‏:‏ وكان المخدج يسمى نافعا ذا الثدية، وكان في يده مثل ثدى المراة على راسه حلمة مثل حلمة الثدى عليه شعيرات مثل سبالة السنور ‏.‏


Abu Maryam said:
This man with the crippled hand was on that day with us in the mosque. We would sit with him by day and by night, and he was a poor man. I saw him attending the meals of ‘Ali (ra) which he took with the people, and I clothed him with a cloak of mine.

Abu Maryam said: The man with the crippled hand was called Nafi` Dhu al-Thadyah (Nafi`, man of nipple). He had in his hand something like a female breast with a nipple at it ends like the nipple of the female breast. If had some hair on it like the whiskers of cat.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে