পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৪৬. হারুন ইবন মারুফ (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা পরস্পর এরূপ জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকবে যে, এ সৃষ্টি জগৎ তো আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন; কিন্তু মহান আল্লাহ্কে কে সৃষ্টি করেছেন। আর যার অন্তরে এরূপ সন্দেহ সৃষ্টি হবে, সে যেন বলেঃ আমি আল্লাহ্র উপর ঈমান এনেছি।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَزَالُ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يُقَالَ هَذَا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ " .
Abu Hurairah reported to the Messenger of Allah( may peace be upon him) as sayings:
People will continue to ask one another(questions) till this is pronounced: Allah created all things, but who created Allah ? Whoever comes across anything of that, he should say: I believe in Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৪৭. মুহাম্মদ ইবন আমর (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছি। এরপর তিনি পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ লোকেরা যখন এরূপ বলবে তখন তোমরা বলবেঃ আল্লাহ্ একক ও অদ্বিতীয়, আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি, তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ - قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - قَالَ حَدَّثَنِي عُتْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، مَوْلَى بَنِي تَيْمٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ " فَإِذَا قَالُوا ذَلِكَ فَقُولُوا ( اللَّهُ أَحَدٌ * اللَّهُ الصَّمَدُ * لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ * وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ ) ثُمَّ لْيَتْفُلْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلاَثًا وَلْيَسْتَعِذْ مِنَ الشَّيْطَانِ " .
Narrated AbuHurayrah:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: He then mentioned a tradition like it. This version adds: When they propound that, say: "Say Allah is one. Allah is He to Whom men repair. He has not begotten and He has not been begotten, and no one is equal to Him." Then one should spit three times on his left side and seek refuge in Allah from Satan.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৪৮. মুহাম্মদ ইবন সাব্বাহ (রহঃ) ..... আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ’বাতহা’ নামকস্থানে একদল লোকের সাথে বসেছিলাম, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এক মেঘ টুকরা ভেসে গেলে, তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা একে কিনামে অভিহিত কর? তারা বলেনঃ ’সাহাব’ বা মেঘখণ্ড। তিনি বলেনঃ মুয্ন নয় কি? তারা বলেনঃ আমরা মুয্নও বলি। এরপর জিজ্ঞাসা করেনঃ আনান নয় কি? তারা বলেনঃ আমরা আনানও বলি।
আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ আনান সম্পর্কিত বর্ণনাটি তেমন জোরাল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আসমান ও যমীনের মাঝে দূরত্ব কতটুকু? তারা বলেনঃ আমরা জানি না। তখন তিনি বলেনঃ এর দূরত্ব হলো একাত্তর, বাহাত্তর বা তিয়াত্তর বছরের রাস্তার সমান। এর সমান দূরত্বে দ্বিতীয় আসমান অবস্থিত। আর এভাবে তিনি সাত আসমানের দূরত্বের বর্ণনা দেন।
এরপর তিনি বলেনঃ সাত আসমানের উপর একটা সমুদ্র আছে, যার উপর ও নীচের দূরত্ব হলো, এক আসমান থেকে অপর আসমানের সমান। এর উপর আটটি বকরি আছে, যাদের পায়ের খুর ও কাধের দূরত্ব হলো এক আসমান থেকে অপর আসমানের সমান। এদের পিঠের উপর আল্লাহ্ তা’আলার আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নীচের দূরত্ব হলো, এক আসমান থেকে অপর আসমান পর্যন্ত। মহান আল্লাহ্ এর উপর অবস্থান করেন।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ كُنْتُ فِي الْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ بِهِمْ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ " مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ " . قَالُوا السَّحَابَ . قَالَ " وَالْمُزْنَ " . قَالُوا وَالْمُزْنَ . قَالَ " وَالْعَنَانَ " . قَالُوا وَالْعَنَانَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ أُتْقِنِ الْعَنَانَ جَيِّدًا قَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَا بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . قَالُوا لاَ نَدْرِي . قَالَ " إِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ أَوِ اثْنَتَانِ أَوْ ثَلاَثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً ثُمَّ السَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ " . حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ " ثُمَّ فَوْقَ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِمْ وَرُكَبِهِمْ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِمُ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ ذَلِكَ " .
Narrated Al-Abbas ibn AbdulMuttalib:
I was sitting in al-Batha with a company among whom the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting, when a cloud passed above them.
The Messenger of Allah (ﷺ) looked at it and said: What do you call this? They said: Sahab.
He said: And muzn? They said: And muzn. He said: And anan? They said: And anan. AbuDawud said: I am not quite confident about the word anan. He asked: Do you know the distance between Heaven and Earth? They replied: We do not know. He then said: The distance between them is seventy-one, seventy-two, or seventy-three years. The heaven which is above it is at a similar distance (going on till he counted seven heavens). Above the seventh heaven there is a sea, the distance between whose surface and bottom is like that between one heaven and the next. Above that there are eight mountain goats the distance between whose hoofs and haunches is like the distance between one heaven and the next. Then Allah, the Blessed and the Exalted, is above that.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৪৯. আমহদ ইবন আবূ শুরায়হ (রহঃ) ..... সিমাক (রহঃ) থেকে এরূপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ سِمَاكٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Simak through a different chain of narrators to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৫০. আমহদ ইবন আবূ হাফ্স (রহঃ) .... সিমাক (রহঃ) থেকে এরূপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ الطَّوِيلِ .
The tradition mentioned above has again been transmitted by Simak through a different chain of narrators and to the same effect as this lengthy tradition.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৫১. আবদুল আলা ইবন হাম্মাদ (রহঃ) ..... জু্বায়র ইবন মুত’ঈম (রাঃ) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গ্রাম্য একটা লোক এসে বলেঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! দুর্ভিক্ষের কারণে লোকেরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, পরিবার-পরিজন বরবাদ হচ্ছে, ধন-সম্পদ নষ্ট হচ্ছে এবং পশু মারা যাচ্ছে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে জন্য দু’আ করুন। আমরা আপনার মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে সুপারিশ করতে চাই এবং আপনার সামনেও আমরা আল্লাহ্র সুপারিশ পেশ করছি।
একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আহমক, তোমার সর্বনাশ হোক! তুমি কি জান তুমি কী বলছো? এরপর তিনি তাসবীহ পাঠ শুরু করেন এবং অনেক্ষণ তাসবীহ পাঠে রত থাকেন। এমনকি তাঁর সাহাবীদের চেহারায় সে ব্যক্তির কথার প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে থাকে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ওহে মূর্খ! আল্লাহ্ তা’আলার কোন মাখলুকের সামনে তাঁর সুপারিশ করা যায় না। আল্লাহর মর্যাদা এ থেকে অনেক বড়। হে অজ্ঞ ব্যক্তি! তোমার সর্বনাশ হোক। তুমি কি আল্লাহ্র মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে কিছু জান? মহান আল্লাহ্র আরশ তাঁর আসমানের উপর এরূপ। এ বলে তিনি তাঁর আগুলসমূহে গম্বুজের মত করে ইশারা করেন। এতদসত্ত্বেও আসমান তাঁর মর্যাদার কারণে এমন চির-চির শব্দ করে, যেমন আরোহীর নীচে তার পালানোর শব্দ হয়।
রাবী ইবন বিশশার (রহঃ) তার বর্ণনায় এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ মহান আল্লাহ্ তাঁর আরশের উপর এবং তাঁর আরশ তাঁর সৃষ্ট আসমানের উপর।
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الرِّبَاطِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، - قَالَ أَحْمَدُ كَتَبْنَاهُ مِنْ نُسْخَتِهِ وَهَذَا لَفْظُهُ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جُهِدَتِ الأَنْفُسُ وَضَاعَتِ الْعِيَالُ وَنُهِكَتِ الأَمْوَالُ وَهَلَكَتِ الأَنْعَامُ فَاسْتَسْقِ اللَّهَ لَنَا فَإِنَّا نَسْتَشْفِعُ بِكَ عَلَى اللَّهِ وَنَسْتَشْفِعُ بِاللَّهِ عَلَيْكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا تَقُولُ " وَسَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا زَالَ يُسَبِّحُ حَتَّى عُرِفَ ذَلِكَ فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ " وَيْحَكَ إِنَّهُ لاَ يُسْتَشْفَعُ بِاللَّهِ عَلَى أَحَدٍ مِنْ خَلْقِهِ شَأْنُ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا اللَّهُ إِنَّ عَرْشَهُ عَلَى سَمَوَاتِهِ لَهَكَذَا " . وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ مِثْلَ الْقُبَّةِ عَلَيْهِ " وَإِنَّهُ لَيَئِطُّ بِهِ أَطِيطَ الرَّحْلِ بِالرَّاكِبِ " . قَالَ ابْنُ بَشَّارٍ فِي حَدِيثِهِ " إِنَّ اللَّهَ فَوْقَ عَرْشِهِ وَعَرْشُهُ فَوْقَ سَمَوَاتِهِ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ عَبْدُ الأَعْلَى وَابْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ وَجُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَالْحَدِيثُ بِإِسْنَادِ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ هُوَ الصَّحِيحُ وَافَقَهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ كَمَا قَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا وَكَانَ سَمَاعُ عَبْدِ الأَعْلَى وَابْنِ الْمُثَنَّى وَابْنِ بَشَّارٍ مِنْ نُسْخَةٍ وَاحِدَةٍ فِيمَا بَلَغَنِي .
Muhammad b. Jubair b. Mut’im said from his father on the authority of his grandfather:
An A’rab(a nomadic Arab) came to the Messenger of Allah(ﷺ) and said: People suffering distress, the children are hungry, the crops are withered, and the animals are perished, so ask Allah to grant us rain, for we seek you as our intercessor with Allah, and Allah as intercessor with you. The Messenger of Allah(ﷺ) said: Woe to you: Do you know what you are saying? Then the Messenger of Allah(ﷺ) declared Allah’s glory and he continued declaring His glory till the effect of that was apparent in the faces of his Companions. He then said: Woe to you: Allah is not to be sought as intercessor with anyone. Allah’s state is greater than that. Woe to you! Do you know how great Allah is? His throne is above the heavens thus(indicating with his fingers like a dome over him), and it groans on account of Him as a saddle does because of the rider.
Ibn Bashshar said in his version: Allah is above the throne, and the throne is above the heavens. He then mentioned the rest of the tradition. ‘Abd al-A’la, Ibn al- Muthana and Ibn Bashshar transmitted it from Ya’qub b. ‘Utbah and Jubair b. Muhammad b. Jubair from his father on the authority of his grandfather.
Abu Dawud said: This tradition with the chain of Ahmad b. Sa’ad is sound. It has been approved by the body (of traditionists) , which includes Yahya b. Ma’in and ‘Ali b. al-Madani, and a group has transmitted it from Ibn Ishaq, as Ahmad also said. And so far as I have been informed ‘Abd al-A’la, Ibn al-Muthanna, and Ibn Bashshar had heard from the same copy(of the collection of tradition).
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৫২. আহমদ ইবন হাফ্স (রহঃ) ..... জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে আরশবাহী একজন ফেরেশতা সম্পর্কে কিছু বর্ণনা দেয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। তা এরূপঃ তার কানের নীচের অংশ থেকে কাঁধের দূরত্ব হলো, সাত শো বছরের রাস্তা!
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُذِنَ لِي أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ مَلَكٍ مِنْ مَلاَئِكَةِ اللَّهِ مِنْ حَمَلَةِ الْعَرْشِ إِنَّ مَا بَيْنَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ إِلَى عَاتِقِهِ مَسِيرَةُ سَبْعِمِائَةِ عَامٍ " .
Jabir b. ‘Abd Allah reported the Prophet (May peace be upon him) as saying :
I have been permitted to tell about one of Allah’s angels who bears the throne that the distance between the lobe of his ear and his shoulder is a journey of seven hundred years.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমীয়া সম্প্রদায় সস্পর্কে।
৪৬৫৩. আলী ইবন নাসর (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি এ আয়াত পড়তে থাকেন এবং বলতে থাকেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতের মাল তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে .... কেননা, তিনি সবকিছু শোনেন এবং সবকিছু দেখেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মধ্যম আংগুল কানের উপর এবং শাহাদাত আংগুল চোখের উপর রাখেন।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এ আয়াত পাঠ করতেনঃ তখন তিনি তাঁর আঙ্গুল কানে ও চোখে রাখতেন। মাক্রী (রহঃ) বলেনঃ এ বক্তব্যটি জাহমীয়া সম্প্রদায়ের মতবাদ খণ্ডনকারী। (কেননা, তারা ’আল্লাহ্র শ্রবণ ও দর্শনের’ অর্থ নেয়- তাঁর জ্ঞান দিয়ে।)
باب فِي الْجَهْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ، - يَعْنِي ابْنَ عِمْرَانَ - حَدَّثَنِي أَبُو يُونُسَ، سُلَيْمُ بْنُ جُبَيْرٍ مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقْرَأُ هَذِهِ الآيَةَ ( إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا ) إِلَى قَوْلِهِ تَعَالَى ( سَمِيعًا بَصِيرًا ) قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ إِبْهَامَهُ عَلَى أُذُنِهِ وَالَّتِي تَلِيهَا عَلَى عَيْنِهِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ . رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا وَيَضَعُ إِصْبَعَيْهِ قَالَ ابْنُ يُونُسَ قَالَ الْمُقْرِئُ يَعْنِي ( إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ ) يَعْنِي أَنَّ لِلَّهِ سَمْعًا وَبَصَرًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا رَدٌّ عَلَى الْجَهْمِيَّةِ .
Abu Yunus Sulaim b. Jubair, client of Abu Hurairah, said :
I heard Abu Hurairah recite this verse : “Allah doth command you to render back your trusts to those to whom they are due” up to “For Allah is he who heareth and seeth all things”. He said : I saw the Messenger of Allah (May peace be upon him) putting his thumb on his ear and finger on his eye.
Abu Hurairah said : I saw the Messenger of Allah (May peace be upon him) reciting this verse and putting his fingers. Ibn Yunus said that al-Muqri said. “Allah hears and sees” means that Allah has the power of hearing and seeing.
Abu Dawud said: This is a refutation of the Jahmiyyah.