পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৬. হারূন ইবন যায়দ ইবন আবূ যারকা (রহঃ) ..... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বরবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করেন এবং তাদের খেজুর বাগান ও যমীনের উপর আধিপত্য স্থাপন করেন এবং তাদেরকে তাদের গৃহে অবরোধ করেন। তখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এ শর্তে সন্ধি করে যে, সোনা, রূপা এবং যাবতীয় হাতিয়ার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিকারে থাকবে এবং অবশিষ্ট মালামাল হতে তাদের উট যা বহন করতে পারবে, তা তারা নিয়ে যাবে। কিন্তু তা এ শর্তে যে, তারা কিছুই গোপন করবে না এবং সরিয়েও রাখবে না। আর যদি তারা এরূপ করে, তবে মুসলিমদের পক্ষ হতে কোনরূপ যিম্মাদারী অথবা অঙ্গীকার (কার্যকর) থাকবে না। এ সময় তারা হুয়াই ইবন আখতাবের (স্বর্ণমুদ্রাপূর্ণ) চামড়ার থলি গায়েব করে দেয়, যে খায়বরের যুদ্ধের আগে নিহত হয়েছিল। আর সে বনূ নযীরের দেশ ত্যাগের সময় তাদের বহু গহনা-পত্র আত্মসাৎ করেছিল।
রাবী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা’ইয়াকে জিজ্ঞাসা করেন যে, হুয়াই ইবন আখতাবের থলি কোথায়? সে বলেঃ তা যুদ্ধে খরচ হয়ে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সাহাবীরা ঐ থলি পেয়ে যান। তখন তিনি ইবন আবূ হাকীককে (ইয়াহূদী) হত্যা করে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বন্দী করেন এবং তাদের দেশ হতে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন তারা বলেঃ হে মুহাম্মদ! আমাদের এখানে বসবাসের অনুমতি দিন। আমরা এ যমীনের উপর পরিশ্রম করে উপার্জন করব এবং এর অর্ধেক আমাদের এবং বাকী অর্ধেক আপনার। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খায়বরের এ সম্পদ হতে) তাঁর সব স্ত্রীদের আলাদাভাবে আশি ওসাক খেজুর এবং বিশ ওসাক যব প্রদান করতেন।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ - أَحْسِبُهُ - عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَاتَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ فَغَلَبَ عَلَى النَّخْلِ وَالأَرْضِ وَأَلْجَأَهُمْ إِلَى قَصْرِهِمْ فَصَالَحُوهُ عَلَى أَنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّفْرَاءَ وَالْبَيْضَاءَ وَالْحَلْقَةَ وَلَهُمْ مَا حَمَلَتْ رِكَابُهُمْ عَلَى أَنْ لاَ يَكْتُمُوا وَلاَ يُغَيِّبُوا شَيْئًا فَإِنْ فَعَلُوا فَلاَ ذِمَّةَ لَهُمْ وَلاَ عَهْدَ فَغَيَّبُوا مَسْكًا لِحُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ وَقَدْ كَانَ قُتِلَ قَبْلَ خَيْبَرَ كَانَ احْتَمَلَهُ مَعَهُ يَوْمَ بَنِي النَّضِيرِ حِينَ أُجْلِيَتِ النَّضِيرُ فِيهِ حُلِيُّهُمْ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِسَعْيَةَ " أَيْنَ مَسْكُ حُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ " . قَالَ أَذْهَبَتْهُ الْحُرُوبُ وَالنَّفَقَاتُ . فَوَجَدُوا الْمَسْكَ فَقَتَلَ ابْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ وَسَبَى نِسَاءَهُمْ وَذَرَارِيَّهُمْ وَأَرَادَ أَنْ يُجْلِيَهُمْ فَقَالُوا يَا مُحَمَّدُ دَعْنَا نَعْمَلْ فِي هَذِهِ الأَرْضِ وَلَنَا الشَّطْرُ مَا بَدَا لَكَ وَلَكُمُ الشَّطْرُ . وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْطِي كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ ثَمَانِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ .
Narrated Abdullah Ibn Umar:
The Prophet fought with the people of Khaybar, and captured their palm-trees and land, and forced them to remain confined to their fortresses. So they concluded a treaty of peace providing that gold, silver and weapons would go to the Messenger of Allah (ﷺ), and whatever they took away on their camels would belong to them, on condition that they would not hide and carry away anything. If they did (so), there would be no protection for them and no treaty (with Muslims).
They carried away a purse of Huyayy ibn Akhtab who was killed before (the battle of) Khaybar. He took away the ornaments of Banu an-Nadir when they were expelled.
The Prophet (ﷺ) asked Sa'yah: Where is the purse of Huyayy ibn Akhtab?
He replied: The contents of this purse were spent on battles and other expenses. (Later on) they found the purse. So he killed Ibn AbulHuqayq, captured their women and children, and intended to deport them.
They said: Muhammad, leave us to work on this land; we shall have half (of the produce) as you wish, and you will have half. The Messenger of Allah (ﷺ) used to make a contribution of eighty wasqs of dates and twenty wasqs of wheat to each of his wives.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৭. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) বলেনঃ হে জনগণ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বরের ইয়াহূদীদের সাথে এরূপ চুক্তি করেন যে, আমরা যখনই ইচ্ছা করব, তখনই তাদের বের করে দেব। কাজেই যদি কারও ধন-সস্পদ তাদের কাছে থাকে, তবে সে যেন তা নিয়ে নেয়। কেননা, আমি ইয়াহূদীদের দেশ হতে বের করে দেব। অবশেষে তিনি তাদের বের করে দেন।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَنَّا نُخْرِجُهُمْ إِذَا شِئْنَا فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَلْيَلْحَقْ بِهِ فَإِنِّي مُخْرِجٌ يَهُودَ . فَأَخْرَجَهُمْ .
Narrated Abdullah ibn Umar:
Umar said: The Messenger of Allah (ﷺ) had transaction with the Jews of Khaybar on condition that we should expel them when we wish. If anyone has property (with them), he should take it back, for I am going to expel the Jews. So he expelled them.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৮. সুলায়মান ইবন দাঊদ মাহরী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন খায়বর বিজয় হয়, তখন ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ মর্মে দরখাস্ত পেশ করে যে, আপনি আমাদের এ শর্তে এখানে বসবাসের অনুমতি দিন, যা আমরা উপার্জন করব, আপনি তার অর্ধেক পাবেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি তোমাদের এখানে এ শর্তে বসবাসের অনুমতি দিচ্ছি যে, আমরা যখনই চাব, তখনই তোমাদের বহিষ্কার করতে পারব। পরে তারা এ শর্ত অনুযায়ী সেখানে বসবাস করতে থাকে। খায়বরের খেজুর দু’ভাগে বিভক্ত হতো এবং খুমুস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রহণ করতেন। আর খুমুস হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সব বিবিকে একশত ওসাক খেজুর এবং বিশ ওসাক যব প্রদান করতেন।
অবশেষে উমার (রাঃ) যখন ইয়াহূদীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবিদের কাছে এ মর্মে খবর পাঠান যে, আপনারা যে কেউ চাইলে, আমি তাঁকে এতগুলি খেজুর গাছ দেব, যা থেকে একশত ওসাক খেজুর পাওয়া যাবে এবং ঐ গাছ ও যমীন আপনাদের মালিকানায় থাকবে এবং তার পানিও এর শামিল থাকবে। একই রূপে কৃষিক্ষেত্র হতে এ পরিমাণ যমীন দেব, যা থেকে বিশ ওয়াক পরিমাণ যব উৎপন্ন হবে। আর আপনাদের থেকে যদি কেউ চান যে, আমি খুমুস হতে আপনাদের অংশ দেই, তবে আমি তা দেব।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا افْتُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى النِّصْفِ مِمَّا خَرَجَ مِنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا " . فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ التَّمْرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ وَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخُمُسَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعَمَ كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ مِنَ الْخُمُسِ مِائَةَ وَسْقٍ تَمْرًا وَعِشْرِينَ وَسْقًا شَعِيرًا فَلَمَّا أَرَادَ عُمَرُ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ أَرْسَلَ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُنَّ مَنْ أَحَبَّ مِنْكُنَّ أَنْ أَقْسِمَ لَهَا نَخْلاً بِخَرْصِهَا مِائَةَ وَسْقٍ فَيَكُونَ لَهَا أَصْلُهَا وَأَرْضُهَا وَمَاؤُهَا وَمِنَ الزَّرْعِ مَزْرَعَةُ خَرْصٍ عِشْرِينَ وَسْقًا فَعَلْنَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ نَعْزِلَ الَّذِي لَهَا فِي الْخُمُسِ كَمَا هُوَ فَعَلْنَا .
‘Abd Allah bin ‘Umar reported that ‘Umar said “When Khaibar was conquered, the Jews asked the Apostle of Allaah(ﷺ) to confirm that they would do all the cultivation and have half the produce. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “I shall confirm you on that condition as long as we wish. So they were confirmed on that (condition). The dates from half the produce of Khaibar were divided into a number of portions. The Apostle of Allaah(ﷺ) would take the fifth. The Apostle of Allaah(ﷺ) used to contribute from the fifth one hundred wasqs of dates and twenty wasqs of wheat to each of his wives. When ‘Umar intended to expel the Jews from Khaibar he sent a message to the wives of the Prophet (ﷺ) and said to them “If any of you wishes that I divide the palm trees for her by their assessment that amounts one hundred wasqs (of dates) and to her belongs their root, their land and their water and (likewise) twenty wasqs from the produce of the cultivated land by assessment, I shall (do that). And if any of you wishes that we take out her portion from the fifth, we shall do (that).
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৯. দাঊদ ইবন মু’আয (রহঃ) ...... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বরের উপর যুদ্ধ পরিচালনা করেন। আমরা যুদ্ধ করে তা জয় করি। অবশেষে বন্দীদের একত্রিত করা হয় (যাতে মুসলিমদের মাঝে তা সহজে বন্টন করা যায়)।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا خَيْبَرَ فَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً فَجَمَعَ السَّبْىَ .
Anas bin Malik said “The Apostle of Allaah(ﷺ) attacked Khaibar and we captured it by conquest. He then gathered the captives of war.”
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০০. রাবী ইবন সুলায়মান মুআয্যিন (রহঃ) .... সাহল ইবন আবী হাছমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বর যুদ্ধে প্রাপ্ত সমস্ত মালামাল দু’ভাগে বিভক্ত করেন। যার একাংশ তিনি তাঁর নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য গ্রহণ করেন এবং বাকী অংশটি আঠার ভাগে বিভক্ত করে মুসলিমদের মাঝে বন্টন করে দেন।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ قَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا .
Sahl bin Abi Hathmah said “The Apostle of Allaah(ﷺ) divide Khaibar into two halves. One half was reserved for his emergency and needs, the other half was meant for the Muslims. He divided among them into eighteen portions.”
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০১. আবদুল্লাহ ইবন সা’ইদ কিনদী (রহঃ) ..... বশীর ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যখন খায়বরকে তাঁর নবীর জন্য গনীমত হিসাবে প্রদান করেন, তখন তিনি তাকে ৩৬ ভাগে বিভক্ত করেন। এর প্রত্যেক ভাগে একশো অংশ ছিল। এর অর্ধেক অংশ তিনি তাঁর নিজের প্রয়োজনের জন্য রাখেন-যার মাঝে অতীহা ও কুতায়বা নামক দুটি গ্রাম ছিল আর এর সংলগ্ন অন্যান্য সস্পদও। আর বাকী অর্ধাংশ মুসলিমদের মাঝে বণ্টন করে দেন, যার মাঝে শাক ও নাতা নামক দু’টি গ্রাম ছিল এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সম্পদও। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অংশ এ দু’টি ভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي سُلَيْمَانَ - عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ قَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمَعَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ فَعَزَلَ نِصْفَهَا لِنَوَائِبِهِ وَمَا يَنْزِلُ بِهِ الْوَطِيحَةَ وَالْكُتَيْبَةَ وَمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا وَعَزَلَ النِّصْفَ الآخَرَ فَقَسَمَهُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ الشَّقَّ وَالنَّطَاةَ وَمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا وَكَانَ سَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا .
Bashir bin Yasar said “When Allaah bestowed Khaibar on His Prophet (ﷺ) as fai’ (spoils), he divided it into thirty six lots. Each lot comprised one hundred portions. He separated its half for his emergent needs and whatever befalls him. Al Watih and Al Kutaibah and Al Salalim and whatever acquired with them. He separated the other half and he divided Al Shaqq and Nata’ and whatever acquired with them. The portion of the Apostle of Allaah(ﷺ) lay in the property acquired with them.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০২. হুসায়ন ইবন আলী ইবন আসওয়াদ (রহঃ) ..... বাশীর ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকজন সাহাবী থেকে শুনেছেন। তাঁরা এ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেনঃ খায়বরে প্রাপ্ত অর্ধেক মালে সমস্ত মুসলিমের অংশ ছিল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরও হিসসা ছিল। আর বাকী যে অর্ধেক মাল ছিল, তা মুসলিমদের বিশেষ প্রয়োজনে (বিপদাপদ, যুদ্ধ ইত্যাদি) রাখা হতো।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ آدَمَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي شِهَابٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ نَفَرًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَكَانَ النِّصْفُ سِهَامَ الْمُسْلِمِينَ وَسَهْمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَزَلَ النِّصْفَ لِلْمُسْلِمِينَ لِمَا يَنُوبُهُ مِنَ الأُمُورِ وَالنَّوَائِبِ .
Bashir bin Yasar said that he heard a number of the Companions of the Prophet (ﷺ) say. He then narrated the tradition (mentioned above). He said “One half comprised the portions of the Muslims and the portion of the Apostle of Allaah(ﷺ). He separated the other half for the Muslims for any calamity that befalls him and for emergent needs.”
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৩. হুসায়ন ইবন আলী (রহঃ) ..... বাশীর ইবন ইয়াসার (রাঃ), যিনি একজন আনসার সাহাবীর গোলাম ছিলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বর জয় করেন, তখন তিনি (সেখানে প্রাপ্ত মালকে) ছত্রিশ ভাগে বিভক্ত করেন। তিনি প্রত্যেক অংশকে একশত ভাগে বণ্টন করেন। এর থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুসলিমদের জন্য অর্ধেক মাল রাখা হয়, আর বাকী অর্ধেক তাদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ করা হয়, যারা প্রতিনিধি দলের সাথে আসবে এবং মানুযের বিপদাপদ ও প্রয়োজনে ব্যয় করা হবে।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رِجَالٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ قَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمَعَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِلْمُسْلِمِينَ النِّصْفُ مِنْ ذَلِكَ وَعَزَلَ النِّصْفَ الْبَاقِيَ لِمَنْ نَزَلَ بِهِ مِنَ الْوُفُودِ وَالأُمُورِ وَنَوَائِبِ النَّاسِ .
Narrated A Group of Companions of the Prophet:
Bashir ibn Yasar, the client of the Ansar, reported on the authority of a group of the Companions of the Prophet (ﷺ): When the Messenger of Allah (ﷺ) conquered Khaybar, he divided it into thirty-six lots, each lot comprising one hundred portions. One half of it was for the Messenger of Allah (ﷺ) and for the Muslims; and he separated the remaining half for the deputations which came to him, other matters and emergent needs of the people.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৪. মুহাম্মদ ইবন মিসকীন ইয়ামামী (রহঃ) .... বাশীর ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যখন আল্লাহ্ তাঁকে খায়বরকে মালে গনীমত হিসাবে প্রদান করেন, তখন তিনি এর সমস্ত মালামাল ছত্রিশ ভাগে বিভক্ত করেন। এরপর তিনি মুসলিমদের জন্য আঠার ভাগ আলাদা করে রাখেন, যার প্রত্যেক ভাগে একশ ব্যক্তি ছিল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও অন্যান্য সাহাবীদের ন্যায় ছিলেন, অর্থাৎ তিনিও একটি অংশ পান, য়েমন অন্য সাহাবীরা পেয়েছিলেন।
এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঠার অংশ, অর্থাৎ বাকী অর্ধাংশ তাদের জন্য বরাদ্দ করেন, যারা ছিল দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত এবং মুসলিমদের বিশেষ প্রয়োজনের জন্য। এ অর্ধাংশে ওয়াতীহ, কুতায়বা ও সালালিম (খায়বরের কিছু গ্রামের নাম) ছিল এবং এর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সম্পদও। অবশেষে খায়বরের সমস্ত মালামাল যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুসলিমদের করতলগত হয়, তখন এর তদারকির জন্য আর কোন কর্মচারী ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদীদের ডাকেন এবং তাদের এ শর্তে যমীন তোগ করতে দেন যে, তারা এর দেখাশুনা করবে এবং উৎপন্ন দ্রব্যের অর্ধেক তাঁকে দেবে।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ قَسَمَهَا سِتَّةً وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمْعًا فَعَزَلَ لِلْمُسْلِمِينَ الشَّطْرَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا يَجْمَعُ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةً النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ لَهُ سَهْمٌ كَسَهْمِ أَحَدِهِمْ وَعَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَهُوَ الشَّطْرُ لِنَوَائِبِهِ وَمَا يَنْزِلُ بِهِ مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ فَكَانَ ذَلِكَ الْوَطِيحَ وَالْكُتَيْبَةَ وَالسُّلاَلِمَ وَتَوَابِعَهَا فَلَمَّا صَارَتِ الأَمْوَالُ بِيَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالْمُسْلِمِينَ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ عُمَّالٌ يَكْفُونَهُمْ عَمَلَهَا فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيَهُودَ فَعَامَلَهُمْ .
Narrated Bashir ibn Yasar:
When Allah bestowed Khaybar on the Messenger of Allah (ﷺ) as fay' (spoils of war without fighting), he divided the whole into thirty six lots. He put aside a half, i.e. eighteen lots, for the Muslims. Each lot comprised one hundred shares, and the Prophet (ﷺ) was with them. He received a share like the share of one of them.
The Messenger of Allah (ﷺ) separated eighteen lots, that is, half, for his future needs and whatever befell the Muslims. These were al-Watih, al-Kutaybah, as-Salalim and their colleagues. When all this property came in the possession of the Prophet (ﷺ) and of the Muslims, they did not have sufficient labourers to work on it. The Messenger of Allah (ﷺ) called Jews and employed them on contract.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৫. মুহাম্মদ ইবন ঈসা (রহঃ) ..... মুজাম্মি ইবন ই’য়াকূব ইবন মুজাম্মি ইবন ইয়াযীদ আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতা ই’য়াকূব ইবন মুজাম্মি’কে কে বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি তাঁর চাচা আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তাঁর চাচা মুজাম্মি ইবন জারিয়া আনসারী হতে, আর তিনি আল-কুরআনের কারীদের মাঝে একজন কারী ছিলেন। তিনি বলেনঃ খায়বরের ধন-সম্পদ হুদায়বিয়ায় অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের মাঝে বণ্টন করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে আঠার ভাগে বিভক্ত করেন। আর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজার পাঁচ’শ, যার তিন’শ ছিল অশ্বারোহী, (এবং বাকী পদাতিক)। তিনি অশ্বারোহী সৈন্যদের দু’অংশ এবং পদাতিক বাহিনীর প্রত্যেককে এক অংশ হিসাবে প্রদান করেন।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُجَمِّعُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَمِّعِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَعْقُوبَ بْنَ مُجَمِّعٍ، يَذْكُرُ لِي عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمِّهِ، مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ الأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ أَحَدَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ قَرَءُوا الْقُرْآنَ - قَالَ قُسِمَتْ خَيْبَرُ عَلَى أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَكَانَ الْجَيْشُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ فِيهِمْ ثَلاَثُمِائَةِ فَارِسٍ فَأَعْطَى الْفَارِسَ سَهْمَيْنِ وَأَعْطَى الرَّاجِلَ سَهْمًا .
Narrated Mujammi' ibn Jariyah al-Ansari,:
Khaybar was divided among the people of al-Hudaybiyyah. The Messenger of Allah (ﷺ) divided it into eighteen portions. The army contained one thousand and five hundred people. There were three hundred horsemen among them. He gave double share to the horsemen, and a single to the footmen.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৬. হুসায়ন ইবন আলী আজালী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন আবী বকর এবং মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রাঃ) এর কোন এক ছেলে থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেনঃ খায়বর বিজয়ের পর সেখানে কিছু লোক অবশিষ্ট ছিল, যারা দূর্গের মাঝে অন্তরীণ ছিল। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ মর্মে আবেদন করে যে, তিনি যেন তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে ছেড়ে দেন। তিনি এ আবেদন গ্রহণ করেন। ফিদাকের অধিবাসীরা এ খবর জানতে পেরে, তারাও এ শর্তের উপর আত্মসমর্পণ করে। ফলে ফিদাকের মালামাল খাসভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রাপ্য হয়। কেননা, তা বিজয়ের জন্য ঘোড়া বা উট কিছুই দৌড়াতে হয়নি (অর্থাৎ কোন যুদ্ধ হয়নি)।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ آدَمَ - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَبَعْضِ، وَلَدِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالُوا بَقِيَتْ بَقِيَّةٌ مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ تَحَصَّنُوا فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ وَيُسَيِّرَهُمْ فَفَعَلَ فَسَمِعَ بِذَلِكَ أَهْلُ فَدَكَ فَنَزَلُوا عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً لأَنَّهُ لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهَا بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ .
Narrated Abdullah ibn AbuBakr:
Abdullah ibn AbuBakr and some children of Muhammad ibn Maslamah said: There remained some people of Khaybar and they confined themselves to the fortresses. They asked the Messenger of Allah (ﷺ) to protect their lives and let them go. He did so. The people of Fadak heard this; they also adopted a similar way. (Fadak) was, therefore, exclusively reserved for the Messenger of Allah (ﷺ), for it was not captured by the expedition of cavalry and camelry.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৭. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ...... যুহরী থেকে বর্ণিত। সা’ঈদ ইবন মুসাইয়াব (রহঃ) তাঁর নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বরের কিছু অংশ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জয় করেন। আবূ দাঊদ বলেনঃ হারিছ ইবন মিসকীন হতে বর্ণিত, যার সাক্ষী আমি। ইবন ওয়াহব তোমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। রাবী বলেনঃ মালিক ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খায়বরের কিছু অংশ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জয় করা হয় এবং কিছু সন্ধির মাধ্যমে। কুতায়বা নামক স্থানটির অধিকাংশ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিজিত হয় এবং কিছু সন্ধির দ্বারা। (রাবী বলেন,) আমি মালিককে জিজ্ঞাসা করিঃ কুতায়বা কি? তিনি বলেনঃ তা হলো, খায়বরের একটা জায়গা, যেখানে চল্লিশ হাজার খেজুর গাছ আছে।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم افْتَتَحَ بَعْضَ خَيْبَرَ عَنْوَةً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكُمُ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ خَيْبَرَ كَانَ بَعْضُهَا عَنْوَةً وَبَعْضُهَا صُلْحًا وَالْكُتَيْبَةُ أَكْثَرُهَا عَنْوَةً وَفِيهَا صُلْحٌ . قُلْتُ لِمَالِكٍ وَمَا الْكُتَيْبَةُ قَالَ أَرْضُ خَيْبَرَ وَهِيَ أَرْبَعُونَ أَلْفَ عَذْقٍ .
Sa’id bin Al Musayyab said “The Apostle of Allaah(ﷺ) conquered a portion of Khaibar by force.”
Abu Dawud said “This tradition was read out to Al Harith bin Miskin while I was a witness”. Ibn Wahb said “Malik told me on the authority of Ibn Shihab, Khaibar was captured by force in part and by peace in part. Most of Al Kutaibah was captured by force and a portion by peace.” I asked Malik “What is Al Kutaibah?” He replied “The land of Khaibar. It had forty thousand palm trees.”
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৮. ইবন সারহা (রহঃ) ..... ইবন শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ-বিগ্রহের পর শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে খায়বার জয় করেন। আর সেখান থেকে যারা বহিষ্কৃত হওয়ার জন্য বের হয়েছিল, তারা যুদ্ধের পর বেরিয়ে গিয়েছিল।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم افْتَتَحَ خَيْبَرَ عَنْوَةً بَعْدَ الْقِتَالِ وَنَزَلَ مَنْ نَزَلَ مِنْ أَهْلِهَا عَلَى الْجَلاَءِ بَعْدَ الْقِتَالِ .
Ibn Shihab said “It has reached me that the Apostle of Allaah(ﷺ) conquered Khaibar by force. Its inhabitants who came down (from their fortress) for expulsion came down after fighting.”
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৯. ইবন সারহা (রহঃ) .... ইবন শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বরের মাল হতে (যা গনীমত হিসাবে পান) এক-পঞ্চমাংশ আলাদা করে নেন। এরপর বাকী সমস্ত মালামাল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে এবং হুদায়বিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ঐ সমস্ত ব্যক্তির মাঝে বণ্টন করে দেন, যারা এ যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিল।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ خَمَّسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ ثُمَّ قَسَّمَ سَائِرَهَا عَلَى مَنْ شَهِدَهَا وَمَنْ غَابَ عَنْهَا مِنْ أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ .
Narrated Ibn Shihab:
The Messenger of Allah (ﷺ) took out his fifth from the booty of Khaybar, and divided the rest of it among those who attended the battle and among those who were away from it but attend the expedition of al-Hudaybiyyah.
পরিচ্ছেদঃ ১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০১০. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ..... উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যদি পরবর্তীকালের মুসলিমদের কথা খেয়াল না করতাম, তবে আমি যে শহর জয় করতাম, তা ঐভাবে বন্টন করে দিতাম, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বরের মালামাল বন্টন করে দিয়েছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ لَوْلاَ آخِرُ الْمُسْلِمِينَ مَا فَتَحْتُ قَرْيَةً إِلاَّ قَسَمْتُهَا كَمَا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ .
‘Umar said “Had I not considered the last Muslim, I would have any town I conquered divided as the Apostle of Allaah(ﷺ) had divided Khaibar.”