পরিচ্ছেদঃ ৬৩. দুশমনকে তাদের দলভূক্ত হওয়ার ভান করে অসতর্ক অবস্থায় হত্যা করা।
২৭৫৯. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ...... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ কা’ব ইবন আশরাফকে কে হত্যা করবে? কেননা, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে। তখন মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা দাঁড়িয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তাকে হত্যা করব। আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি? জবাবে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমি এটা-ই চাই। তখন তিনি (ইবন মাসলামা) বলেনঃ তবে আমাকে অনুমতি দিন; যাতে আমি তার সাথে আপনার ব্যাপারে কিছু বলতে পারি। তখন তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন।
তিনি তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ এই ব্যক্তি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কাছে সাদকা চেয়ে আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তখন সে (কা’ব) বলেঃ এতে আর কি বিপদ, তোমরা আরো বিপদের সম্মুখিন হবে। ইবন মাসলামা বলেনঃ আমরা তো কেবলই তাঁর অনুসরণ শুরু করেছি, কাজেই তাঁর পরিণতি কি হয় তা না দেখা পর্যন্ত আমরা তাঁকে পরিত্যাগ করবনা। এখন আমি তোমার কাছে এই ইরাদা নিয়ে এসেছি যে, তুমি আমাকে এক বা দুই ’ওসক’ পরিমাণ খাদ্য-শস্য করয দিবে।
তখন সে (কা’ব) জিজ্ঞাসা করেঃ এর বিনিময়ে তুমি আমার কাছে কি বন্ধক রাখবে? তখন ইবন মাসলামা বলেনঃ তুমি আমার নিকট হতে বন্ধক হিসাবে কি রাখতে চাও? তখন সে বলেঃ তোমারদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখ। এতে তারা আশ্চর্য হয়ে বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! তুমি আরবের সুন্দরতম পুরুয়, যদি আমরা তোমার নিকট আমাদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখি, তবে তা তো আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হবে!
তখন কা’ব বলেঃ তবে তোমার সন্তানদের আমার কাছে বন্ধক রাখ। তাঁরা বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! (তুমি কি চাও) আমাদের কারও সন্তানকে এজন্য ভর্ৎসনা করা হোক যে, তাদের বলা হবে, তোমাকে এক বা দুই ওসক পরিমাণ খাদ্যের জন্য বন্ধক রাখা হয়েছিল! তখন তাঁরা বলেনঃ আমারা তোমার কাছে হাতিয়ার অর্থাৎ যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রাখতে চাই। তখন কা’ব বলেঃ আচ্ছা, তা-ই রাখ।
অতঃপর (রাতের বেলা) ইবন মাসলামা তার নিকট গিয়ে তাকে ডাকলেন। তখন কা’ব মাথায় তাঁর নিকট খুশবু লাগিয়ে তাঁর নিকট আসে। অতঃপর ইবন মাসলামা যখন কা’বের নিকট গিয়ে বসলেন, তখন তার সাথে আগমণকারী তিন বা চার ব্যক্তি কা’বের নিকট খুশবুর ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে। তখন সে (কা’ব) বলেঃ আমার নিকট অমুক নারী আছে, যে সব নারীদের চাইতে অধিক খুশবু ব্যবহার করে। তখন ইবন মাসলামা বলেনঃ আমাকে একটু অনুমতি দাও, যাতে আমি তোমার চুলের খুশবুর ঘ্রাণ নিতে পারি।
তখন সে (কা’ব) বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন ইবন মাসলামা কা’বের মাথার চুলে মাঝে হাত ঢুকিয়ে তার ঘ্রাণ গ্রহণ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি আবার ঘ্রাণ নিব? জবাবে কা’ব বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন তিনি (ইবন মাসলামা) কা’বের মাথার চুলের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকিয়ে দেন এবং তাকে কাবু করে ফেলেন। আর তাঁর সাথীদের (ইশারায়) বলেনঃ তোমরা একে হত্যা কর। তখন তারা (সাথীরা) তাকে (কা’বকে) এমনভাবে মারে যে, শেষ পর্যন্ত তারা তাকে কতল করে ফেলে।
باب فِي الْعَدُوِّ يُؤْتَى عَلَى غِرَّةٍ وَيُتَشَبَّهُ بِهِمْ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الأَشْرَفِ فَإِنَّهُ قَدْ آذَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ " . فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَهُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَأْذَنْ لِي أَنْ أَقُولَ شَيْئًا . قَالَ " نَعَمْ قُلْ " . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ سَأَلَنَا الصَّدَقَةَ وَقَدْ عَنَّانَا قَالَ وَأَيْضًا لَتَمَلُّنَّهُ . قَالَ اتَّبَعْنَاهُ فَنَحْنُ نَكْرَهُ أَنْ نَدَعَهُ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَى أَىِّ شَىْءٍ يَصِيرُ أَمْرُهُ وَقَدْ أَرَدْنَا أَنْ تُسْلِفَنَا وَسْقًا أَوْ وَسْقَيْنِ . قَالَ كَعْبٌ أَىَّ شَىْءٍ تَرْهَنُونِي قَالَ وَمَا تُرِيدُ مِنَّا قَالَ نِسَاءَكُمْ قَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ أَنْتَ أَجْمَلُ الْعَرَبِ نَرْهَنُكَ نِسَاءَنَا فَيَكُونُ ذَلِكَ عَارًا عَلَيْنَا . قَالَ فَتَرْهَنُونِي أَوْلاَدَكُمْ . قَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ يُسَبُّ ابْنُ أَحَدِنَا فَيُقَالُ رُهِنْتَ بِوَسْقٍ أَوْ وَسْقَيْنِ . قَالُوا نَرْهَنُكَ اللأْمَةَ يُرِيدُ السِّلاَحَ قَالَ نَعَمْ . فَلَمَّا أَتَاهُ نَادَاهُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَهُوَ مُتَطَيِّبٌ يَنْضَخُ رَأْسُهُ فَلَمَّا أَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ وَقَدْ كَانَ جَاءَ مَعَهُ بِنَفَرٍ ثَلاَثَةٍ أَوْ أَرْبَعَةٍ فَذَكَرُوا لَهُ قَالَ عِنْدِي فُلاَنَةُ وَهِيَ أَعْطَرُ نِسَاءِ النَّاسِ . قَالَ تَأْذَنُ لِي فَأَشُمُّ قَالَ نَعَمْ . فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي رَأْسِهِ فَشَمَّهُ قَالَ أَعُودُ قَالَ نَعَمْ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي رَأْسِهِ فَلَمَّا اسْتَمْكَنَ مِنْهُ قَالَ دُونَكُمْ . فَضَرَبُوهُ حَتَّى قَتَلُوهُ .
Jabir reported:
The Messenger of Allah ( may peace be upon him) said : Who will pursue Ka’b bin Al-Ashraf, for he has caused trouble to Allah and His Apostle? Muhammad bin Maslamah stood up and said: I (shall do), Messenger of Allah. Do you want that I should kill him? He said: Yes. He said: So permit me to say something (against you). He said: Yes say. He then came to him (Ka’b b. al-Ashraf) and said to him: This man has asked us for sadaqah (alms) and has put us into trouble. He (Ka’b) said: You will be more grieved. He (Muhammad bin Maslamah) said: We have followed him and we do not like to forsake him until we see what will be the consequences of his matter. We wished if you could lend us one or two wasqs. Ka’b said: What will you mortgage with me? He asked: what do you want from us? He replied : your Women. They said: Glory be to Allah: You are the most beautiful of the Arabs. If we mortgage our women with you, that will be a disgrace for us. He said “The mortgage your children.” They said “Glory be to Allaah, a son of us may abuse saying “You were mortgaged for one or two wasqs.” They said “We shall mortgage or coat of mail with you. By this he meant arms”. He said “Yes, when he came to him, he called him and he came out while he used perfume and his head was spreading fragrance. When he at with him and he came there accompanied by three or four persons who mentioned his perfume. He said “I have such and such woman with me. She is most fragrant of the women among the people. He (Muhammad bin Maslamah) asked “Do you permit me so that I may smell? He said “Yes. He then entered his hand through his hair and smell it.” He said “May I repeat?” He said “Yes. He again entered his hand through his hair. When he got his complete control, he said “Take him. So he struck him until they killed him.”
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. দুশমনকে তাদের দলভূক্ত হওয়ার ভান করে অসতর্ক অবস্থায় হত্যা করা।
২৭৬০. মুহাম্মদ ইবন মাখরামা (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ঈমানের দাবী এই যে, কাউকে ধোঁকা দিয়ে হত্যা করা যাবে না। কাজেই, কোন মু’মিন কাউকে ধোঁকা দিয়ে মারবে না।
باب فِي الْعَدُوِّ يُؤْتَى عَلَى غِرَّةٍ وَيُتَشَبَّهُ بِهِمْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُزَابَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ - حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ لاَ يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ " .
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: Faith prevented assassination. A believer should not assassinate.