পরিচ্ছেদঃ ১৯০. গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত।

২৩০০. সুলায়মান ইবন দাঊদ আল্ মাহরী .... ইবন শিহাব যু্হরী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উতবা তাঁকে বলেছেন যে, তাঁর পিতা উমার ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আরকাম আয যুহরীর নিকট এ মর্মে পত্র লেখেন, যেন তিনি তাকে সুবাইয়া বিনত আল হারিস আল্ আসলামীর নিকট গিয়ে তাঁর পক্ষ হতে বর্ণিত হাদীসটির ঘটনা শ্রবণ করতে নির্দেশ দেন। আর তাঁকে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন কী বলেছেন, যখন তিনি তাঁর নিকট একটি ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তা জানার জন্য পাঠান। উমার ইবন আবদুল্লাহ্ জবাবে আমাকে লেখেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন উতবা তাঁকে বলেছেন, সুবাইয়া তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি সা’আদ ইবন খাওলার স্ত্রী ছিলেন, যিনি বনী আমের লুয়ী গোত্রের লোক ছিলেন। আর তিনি বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী (সাহাবী) ছিলেন এবং তিনি বিদায় হজ্জের সময় মৃত্যুবরণ করেন, যখন তিনি (সুবাইয়া) গর্ভবতী ছিলেন। আর তাঁর মৃত্যুর পরপরই তিনি সন্তান প্রসব করেন। এরপর নিফসের রক্ত হতে পবিত্রতা হাসিলের পর তিনি বিবাহের পয়গাম প্রেরণের জন্য নিজেকে সুসজ্জিত করেন।

এ সময় তাঁর নিকট আবূ সানাবিল ইবন বা’কা, যিনি বনী আবদুদ্-দার গোত্রের লোক ছিলেন, এসে বলেন, আমি তোমাকে সুসজ্জিত অবস্থায় দেখেছি, মনে হয় তুমি পুনঃবিবাহের ইচ্ছা করছ? আল্লাহর শপথ! তুমি ততক্ষণ পুণঃবিবাহ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তুমি তোমার (মৃত স্বামীর) ইদ্দতকাল চার মাস দশদিন পূর্ণ না কর। সুবাইয়া বলেন, তার এরূপ উক্তি শ্রবণের পর, আমি রাতে কাপড়-চোপড় পরিধান করে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গমণ করি এবং এ সম্পর্কে তাঁকে জ্ঞিাসা করি। তিনি এরূপ ফাতওয়া দেন যে, আমি তখনই হালাল হয়েছি, যখন আমি সন্তান প্রসব করেছি। এরপর তিনি আমাকে প্রয়োজনে বিবাহ করার নির্দেশ দেন। রাবী ইবন শিহাব (রহঃ) বলেন, যদি সে এখন বিবাহ করে, তবে আমি এতে দোষের কিছু দেখি না; যখন সে তার সন্তান প্রসব করেছে। আর এখনও যদি তার নিফাসের রক্ত থাকে, এতেও বিবাহ বন্ধনে কোন বিপত্তি নেই। অবশ্য সে তা হতে পবিত্রতা হাসিলের পর তার স্বামীর সাথে সহবাস করতে পারবে। (অর্থাৎ গর্ভবতীর ইদ্দত সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। প্রসবের পর তার ইদ্দত শেষ হয়ে যায়।)

باب فِي عِدَّةِ الْحَامِلِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ، عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيثِهَا وَعَمَّا قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَفْتَتْهُ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ - وَهُوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَهُوَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا - فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهِيَ حَامِلٌ فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ - رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ - فَقَالَ لَهَا مَا لِي أَرَاكِ مُتَجَمِّلَةً لَعَلَّكِ تَرْتَجِينَ النِّكَاحَ إِنَّكِ وَاللَّهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ ‏.‏ قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي حِينَ أَمْسَيْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَأَفْتَانِي بِأَنِّي قَدْ حَلَلْتُ حِينَ وَضَعْتُ حَمْلِي وَأَمَرَنِي بِالتَّزْوِيجِ إِنْ بَدَا لِي ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلاَ أَرَى بَأْسًا أَنْ تَتَزَوَّجَ حِينَ وَضَعَتْ وَإِنْ كَانَتْ فِي دَمِهَا غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَقْرَبُهَا زَوْجُهَا حَتَّى تَطْهُرَ ‏.‏

حدثنا سليمان بن داود المهري، اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، حدثني عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، ان اباه، كتب الى عمر بن عبد الله بن الارقم الزهري يامره ان يدخل، على سبيعة بنت الحارث الاسلمية فيسالها عن حديثها وعما قال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم حين استفتته فكتب عمر بن عبد الله الى عبد الله بن عتبة يخبره ان سبيعة اخبرته انها كانت تحت سعد ابن خولة - وهو من بني عامر بن لوى وهو ممن شهد بدرا - فتوفي عنها في حجة الوداع وهي حامل فلم تنشب ان وضعت حملها بعد وفاته فلما تعلت من نفاسها تجملت للخطاب فدخل عليها ابو السنابل بن بعكك - رجل من بني عبد الدار - فقال لها ما لي اراك متجملة لعلك ترتجين النكاح انك والله ما انت بناكح حتى تمر عليك اربعة اشهر وعشر ‏.‏ قالت سبيعة فلما قال لي ذلك جمعت على ثيابي حين امسيت فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فسالته عن ذلك فافتاني باني قد حللت حين وضعت حملي وامرني بالتزويج ان بدا لي ‏.‏ قال ابن شهاب ولا ارى باسا ان تتزوج حين وضعت وان كانت في دمها غير انه لا يقربها زوجها حتى تطهر ‏.‏


‘Ubaid Allah bin ‘Abd Allah bin ‘Utbah said that his father wrote (a letter) to ‘Abd Allaah bin Al Arqam Al Zuhri asking him to visit Subai’ah daughter of Al Harith Al Aslamiyyah and ask her about her story and what the Apostle of Allaah(ﷺ) said to her when she asked his opinion (about her). So, ‘Umar bin Abd allah wrote in reply to ‘Abd Allah bin ‘Utbah informing him what she told him. She told that she was under (i.e., the wife of) Sa’d bin Khawlah who belonged to Banu Amir bin Luwayy. He was one of those who participated in the battle of Badr. He died at the Farwell Pilgrimage while she was pregnant. Soon after his death she gave birth to a child. When she was purified from her bleeding after child birth she adorned herself for seekers in marriage. Then Abu Al Sanabil bin Ba’kah a man from Banu Abd Al Dar entered upon her and said to her “What is the matter seeing you adorned, perhaps you are seeking marriage? I swear by Allah you cannot marry until four months and ten days pass away. Saubai’ah said “When she said this to me, I gathered my clothes on me when the evening came and I came to the Apostle of Allaah(ﷺ) and asked him about that. He told me that I became lawful when I had delivered a child. He suggested me to marry if I wished. Ibn Shihab said “I do not see any harm if she marries when she gives birth to the child, even though she had the bleeding after the child birth, but her husband should not have sexual intercourse till she is purified.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ তালাক (كتاب الطلاق) 7/ Divorce (Kitab Al-Talaq)

পরিচ্ছেদঃ ১৯০. গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত।

২৩০১. উসমান ইবন আবূ শায়বা ও মুহাম্মদ ইবন ’আলা ...... আবদুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি লি’আন (পরস্পর অভিসম্পাত) করতে চায়, আমি তার সাথে তা করতে প্রস্তুত। আল্লাহ শপথ! সূরা নিসা, যা তালাকের সূরা হিসাবেও পরিচিত, (স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর ইদ্দত সীমা) "চার মাস দশ দিন" এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর নাযিল হয়।

باب فِي عِدَّةِ الْحَامِلِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، - قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا وَقَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا - أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ شَاءَ لاَعَنْتُهُ لأُنْزِلَتْ سُورَةُ النِّسَاءِ الْقُصْرَى بَعْدَ الأَرْبَعَةِ الأَشْهُرِ وَعَشْرًا ‏.‏

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، ومحمد بن العلاء، - قال عثمان حدثنا وقال ابن العلاء، اخبرنا - ابو معاوية، حدثنا الاعمش، عن مسلم، عن مسروق، عن عبد الله، قال من شاء لاعنته لانزلت سورة النساء القصرى بعد الاربعة الاشهر وعشرا ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Mas'ud:

I can invoke the curse of Allah on anyone who wishes: The smaller surat an-Nisa (i.e. Surat at-Talaq) was revealed after the verse regarding the waiting period of four months and ten days had been revealed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ তালাক (كتاب الطلاق) 7/ Divorce (Kitab Al-Talaq)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে